ভারত

ভারতবর্ষের ড্রোন নিয়ে চিন্তা বাড়ছে চীন, পাকিস্তানের

নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের সাথে ইসরায়েলের বন্ধুত্ব নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। এই দুই দেশ একের পর এক কাজ করে চলেছে জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে। তবে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়তে ইসরায়েল সবসময় ভারতবর্ষকে সাহায্য করেছে। সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে ইসরায়েলের অত্যাধুনিক টেকনোলোজির কাছে মাথা নত করতে হয়েছে আমেরিকার মতো দেশকেও। আর সেই কারনে ইসরায়েলের থেকে একের পর এক যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করে চলেছে ভারতবর্ষ।

কিছুদিনের মধ্যেই এবার ইসরায়েলের থেকে অত্যাধুনিক ড্রোন পেতে চলেছে ভারতের বিমানবাহিনী। হটাৎ এমন খবর পেয়ে অনেকেই হতচকিত হয়েছে। তার প্রধান কারন হল এই যে এই ড্রোনের চুক্তি কখন হয়েছিল তা কারও জানা ছিলনা। তবে এই হিরন টিপি ড্রোন গুলিকে অস্ত্র থাকবে নাকি শুধু মাত্র সারভিলেন্সের জন্য ক্রয় করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

বিমানবাহিনীর হাতে আসলে এই ড্রোন গুলিকে ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেইল্যন্স ও রিকন কেপেবিলিটিতে বিরাট উন্নতি হবে। ড্রোন গুলির ইচ্ছে মতো পেলোড পরিবর্তন করা যায়। এলিন্টি, নয়তো সিগনাল ইন্টেলিজেন্স বা মেরিটাইম রেডার, এয়ার সার্ভেইল্যন্স রেডার, ইলেকট্রো অপটিক্যল পেলোডকে পরিবর্তন করা যায়।

৫৬৭০ কেজির এই ড্রোন গুলির হর্স পাওয়ার ১২০০ এবং এতে PT6 Turbo Prop ইঞ্জিন রয়েছে পাশাপাশি ২৭০০ কেজি অতিরিক্ত পেলোড বহন করতে সক্ষম। ৪৫০০০ ফুট উচু থেকে একটানা ৩০ ঘণ্টা সার্ভিস দেওয়ার পাশাপাশি ১০০০ কিলোমিটার এলাকায় উড্ডয়ন করতে সক্ষম।

ড্রোন গুলিতে স্যাটকমের মতো ডাটা লিঙ্ক থাকায় ওভার দ্যি হরাইজনে(দিগন্তের শেষে) কাজ করতে পারে। মাঝ আকাশে কোন যুদ্ধবিমানের সম্মুখীন হলে নিজে থেকেই এরা দিক পরিবর্তন করতে পারে কারন এতে Traffic collision avoidance system এর মতো টেকনোলোজি রয়েছে।

সবথেকে বড় ব্যাপার ইসরায়েলের জ্যামিং ক্ষমতা, এতে ইসরায়েলের অত্যাধুনিক এ্যন্টিজ্যমিং সিস্টেম রয়েছে। আমেরিকার মতো দেশ নিজেদের নিউক্লিয়ার বেস গুলো প্রর্যন্ত আপতকালীন পরিস্থিতি তে কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ করতে শেষ মাধ্যম হিসাবে ইজ্রাইলের BNET SDR ব্যবহার করে। ভারতের বিমানবাহিনীও এই টেকনোলোজি ব্যবহার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.