রাশিয়া

গোটা পৃথিবীকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে ব্রিটেন এবং রাশিয়ার যে দুটি সাবমেরিন

নিউজ ডেস্কঃ ভবিষ্যতের যুদ্ধ স্থল নয় বেশিরভাগটা হতে চলেছে আকাশ পথে এবং জলপথে। আর সেই কারনে বিরাটভাবে জলপথে যুদ্ধজাহাজ থেকে শুরু করে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে বিভিন্ন দেশ। এবং সবথেকে বড় ব্যাপার হল সাবমেরিন গুলি জলের তলায় ঘাপটি দিয়ে বসে থাকলে বোঝার উপায় থাকেনা তাদের অবস্থান। আর সেই কারনে সাবমেরিন তৈরিতে বিশেষ টেকনোলোজির ব্যবহার করছে পৃথিবীর বহু দেশ।

এস্টুট ক্লাস (Astute class): ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির তৈরি  এই সাবমেরিনটি ভার্জিনিয়ার চেয়ে বেশি গভীরে ডুবতে পরে।এই সাবমেরিনের সর্বোচ্চ গতি ২৯ নট যা অন্যান্য সব সাবমেরিনের থেকে কম। এর গতি ২৯ নটের বেশি না হওয়ার কারণ হিসাবে জানা যায় যে এর  ডিজাইন। যার ফলে এর রিয়েক্টর আর টার্বাইন নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করতে পারে না।তবে এটি ৩০০ মিটার পর্যন্ত ডুবতে পারে।

এই সাবমেরিনে আছে জেট পাম্প যার সাহায্য শব্দের তীব্রতা একেবারেই নেই বললেই চলে। তবে এটি কি জানের যে এই ব্রিটিশরাই প্রথম জেট পাম্প ব্যবহার করে।এবং এই  জেট পাম্প ব্যবহার  করে শব্দের তীব্রতা কমানোর আইডিয়াও তাদের।

এই সাবমেরিনে রয়েছে সর্বমোট ৩৮ টি অস্ত্র যা ৫৩৩ মিমি ক্যালিবারের ৬ টি টর্পেডো দিয়ে ছোড়া যায়।এবং এর অস্ত্র ধারণ ক্ষমতা কম।এই সাবমেরিনটির জন্য  ক্রু প্রয়োজন হয়- মাত্র ৮৯ জন কর্মী ও অফিসার।এবং এর জন্য  খরচ হয় ১.৮ বিলিয়ন পাউন্ড প্রতি ইউনিটে।

আকুলা ক্লাস সাবমেরিন (Akula class submarine):  রাশিয়ান এই সাবমেরিনটির সর্বোচ্চ গতি ৩৫ নট এবং এর সর্বোচ্চ গভীরতা ৫০০ মিটার। যা ইয়াসেনের মতো সাবমেরিনের প্রায় সমতুল্য।

এই সাবমেরিনের  জেট পাম্পের নেয় তবে প্রপেলার ব্যবহার করে।যদিও Gepard (K-335) এর কল্যাণে শব্দ বাইরে যেতে পারে কম। তাই খুব একটা শব্দ করে না।

এই সাবমেরিনটির এটিও আকারে বড়, প্রায় ৯০০০ টন এবং এর জন্য ৭০ জন  ক্রু  প্রয়োজন যার ৩০ জনই অফিসার।এই সাবমেরিনটি সি উল্ফ ক্লাস সাবমেরিনে মতো

অস্ত্র বহন করতে সক্ষম।এই সাবমেরিনে রয়েছে ৫০ টি অস্ত্র বহন ক্ষমতা

যা ৪ টি ৫৩৩ মিমি ক্যালিবারের টিউব ও ৪ টি ৬৫০ মিমি ক্যালিবারের টিউব দিয়ে ব্যবহার করা হয়। তবে এর একটি সমস্যা হল যে এটি  দুই ধরণের ক্যালিবার ব্যবহার যার ফলে সুবিধার চেয়ে  অসুবিধাই বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.