পশ্চিমের দেশগুলোর মতো ভালো সাবমেরিন কেন তৈরি করতে পারেনা রাশিয়া!
আধুনিক যুদ্ধে জল থেকে শুরু করে স্থলে সমস্ত ক্ষেত্রে পারদর্শী হওয়াটা দরকার। তবে অ্যামেরিকা এবং রাশিয়ার একাধিক যুদ্ধাস্ত্র যেকোনো দেশের ভীত ধরাতে পারে যেকোনো সময়। তবে অ্যামেরিকার তৈরি এই সাবমেরিনটি সবচেয়ে বিশেষ দিক হল যে সেটি অনেক গভীরে যেতে সক্ষম। যা আগেকার সাবমেরিন বা বর্তমান দিনের রাশিয়ানরা পশ্চিমা দেশগুলোর সাবমেরিনের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠেনি।
সি উল্ফ ক্লাস (Seawolf class): অ্যামেরিকার সাবমেরিনটি হল পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সাবমেরিনের মধ্যে একটি।এই সাবমেরিনেই প্রথম পাম্প জেট ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে এই সাবমেরিনের আওয়াজ খুবই কমে যায়।এই পাম্প জেট আওয়াজ কমানোর পাশাপাশি উচ্চ গতিও সৃষ্টি করতে পারে। এর গতি ৩৫ নট বা ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ মিটার পর্যন্ত ডুবতে পারে। যা অন্যান্য পুরনো সাবমেরিনের সমস্যার কারন ছিল যে সেগুলি রাশিয়ান সাবমেরিনের মত বেশি গভীরতায় ডুবতে পারত না। এই সাবমেরিনটি রয়েছে বিএসওয়াই-২ সোনার টার্গেটিং স্যুইট- যা যে কোন সোর্স থেকে তথ্য নিয়ে আসতে পারে। এবং প্রায় ৫০ ধরণের অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। আর এই অস্ত্রগুলো ৮x৬৫০ মিমি টর্পেডো টিউব ব্যবহার করে ছোড়া হয়। এই টর্পেডো দিয়ে লোড করে অস্ত্র চালনা বেশ ধীরগতির আর সময়ও লাগে অনেক।
এই সাবমেরিনটি মূলত সোভিয়েত এট্যাক সাবমেরিন আকুলা (Akula) এবং সিয়েরা (Sierra) কে প্রতিহত করতে বানানো হয়েছিল। এবং এই সাবমেরিনটিকে স্টেট অব দি আর্ট বলা হয়।
সি উল্ফ ক্লাস যে একটি অত্যন্ত আধুনিক এবং চমৎকার সাবমেরিন তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই,তবে এই সাবমেরিনটিতে প্রায় ১৪০ জনেরও বেশি ক্রু প্রয়োজন হয়, যা রাশিয়ান এবং ব্রিটিশ সাবমেরিনগুলো থেকে অনেক বেশি। এই সাবমেরিনটির খরচ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার পার ইউনিট।