ভারত

৫০ বছরের পুরনো যুদ্ধজাহাজ আবারও সার্ভিসে? কোন ক্লাসের যুদ্ধজাহাজ?

নিউজ ডেস্কঃ ভারতের তৈরি হচ্ছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। বিশেষ করে কার্গিল যুদ্ধের পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সেইসময় দাঁড়িয়ে এর গুরুত্ব বুঝতে পারে। আর সেই কারনে একাধিক প্রকল্প হাতে নেন তিনি। আর সেই কারনে ফ্রেগেট বা ডেস্ট্রয়ার থেকে শুরু করে সাবমেরিন যাতে ভারতবর্ষেই তৈরি করা হয় সেই কারনে এক গুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করেন।

ভারতে তৈরি হওয়া অন্যতম সেরা ভেসেল্স বলা হয়ে থাকে এই ডেস্ট্রয়ারকে। কলকাতা বা ভিশাখাপত্তনামের মত ১৬ টি ব্রাহ্মোস অস্ত্র বহনে সক্ষম নয় এটি, তবুও এটিকে সেরা বলে থাকেন ডিফেন্স বিশেষজ্ঞেরা।

প্রথমত কলকাতা বা ভিশাখাপত্তনামের চেয়ে আধুনিক এসা সার্ভেইল্যন্স রেডার বহন করে আই এন এস নীলগিরি। দ্বিতীয়ত ঐ দুই ডেস্ট্রয়ারের চেয়ে রেডার সিগনেচার এর অনেক কম।

বিধ্বংসী ৮টি ব্রাহ্মোস মিসাইল, ৩২টি বারাক-৮, ১২৭এমএম মেইন গান ও ৫৩৩এমএম এর ৬টি টর্পেডো টিউবের সাথে নীলগিরির ফায়ার পাওয়ার ব্যলেন্স ফ্রিগেট হিসাবে দূর্দান্ত। অন্যদিকে ফায়ার কন্ট্রোল রেডার হিসাবে MF-STAR ও লং রেঞ্জ এয়ার সার্ভেইল্যন্স হিসাবে সম্ভবত 3D Lanza রয়েছে।

ভারত সেনাবাহিনীর জন্য মাত্র ৭টি অর্ডার করা হয়েছিল। এই ক্লাসের ফ্রিগেট প্রথমে ১৯৬৪ সালে অর্ডার করা হয়। ১৯৬৮ সালে কমিশনড হয়। কিন্তু ভারতীয় সেনার হাতে আসে ১৯৭২ সালে এবং ২০০৩ সালে অবসর করে।

মুম্বাইয়ের এক কোম্পানির সাথে যৌথভাবে তৈরি করার কথা ভাবে ইংল্যান্ডের রয়্যাল নেভি। মোট ১২ টি তৈরি করার কথা ঘোষণা করা হয় তার মধ্যে ৬ টি টেকনিক্যাল এবং ট্রেনিং র কাজে ব্যবহার করা হবে। নতুন করে এই ক্লাসের এই ভেসেলস গুলি।

 এই ফ্রিগেটস গুলির রেঞ্জ ৭৪০০ কিমি। এবং ৫২ কিমি/ঘণ্টার গতিবেগে চলতে পারে। এটিতে একটি হাল চেতাকের মতো হেলিকপ্টার রাখার ব্যবস্থাও আছে। নতুন করে আবারও আসতে চলেছে এই বিধ্বংসী জাহাজগুলি।

৭০ র দশকে এই ফ্রিগেটস এর ছবি আগে দেখা যেত ইন্ডিয়ান পোস্টের ২০ পয়সার ডাক টিকিটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.