ইংল্যান্ডের রানীর কি কি বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন?
রাজেশ রায়:— ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ মৃত্যু হয়েছে ব্রিটেনের মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয়র। ব্রিটেনের রাজ পরিবার এই খবর দেয়। মৃত্যুকালে ওনার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদেই ওনার মৃত্যু হয়েছে। ১৯৫২ সালে সিংহাসনে বসবার পর সত্তর বছর পর ব্রিটেনের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদি শাসক হিসাবে ওনার মৃত্যু হয়। মহারানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাকিংহাম প্রাসাদ থেকেই এই খবর প্রথম প্রকাশ করা হয়। ইংল্যান্ডের জাতীয় পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক রানির সম্মানে অর্ধনমিত রাখা হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারনে উনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওনার শারীরিক অবনতির খবর পাওয়ার পরই রাজপরিবারের সমস্ত সদস্যরা বালমোরা প্রসাদে আসতে শুরু করেছিলেন। ওনার মৃত্যুর একদিন আগেই ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সাথে ওনার সৌজন্যমূলক পরিচয় হয়। লিজ ট্রাস মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন ওনার উপর ভিত্তি করেই আধুনিক ব্রিটেন গড়ে উঠেছে। কেমন ছিল রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনকাল? কোন কোন বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি?
ব্রিটনের মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয়র পুরো নাম এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরী যিনি ২১ মে, ১৯২৬ সালে পশ্চিম লন্ডনের মেফেয়ার অঞ্চলে জন্মগ্রহন করেন। মেফায়ারে ওনার দাদুর বাড়ি ছিল। ইয়র্কের ডিউক এবং ডাচেসের কন্যারূপে জন্মগ্রহন করেন তিনি। ওনার বাবা মা পরে ইংল্যান্ডের রাজা ষষ্ঠ জর্জ এবং মহারানী এলিজাবেথ হন। কিন্তু ওনার বাবা প্রথমে ব্রিটেনের সিংহাসনের অধিকারী ছিলেননা। ব্রিটেনের রাজা ছিল তখন রাজা ষষ্ঠ জর্জের দাদা অষ্টম এডওয়ার্ড। কিন্তু ১৯৩৬ সালে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা এক আমেরিকান মহিলার জন্য সিংহাসন ত্যাগ করেন অষ্টম এডওয়ার্ড, তারপরেই মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয়র বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ নিযুক্ত হন। না হলে তিনি কখনও মহারানী হতে পারতেন না বরং রাজ পরিবারের একজন সদস্য রূপেই থেকে যেতেন। কিন্তু ওনার ভাগ্যে ইংল্যান্ডের রাজমুকুটই ছিল। ষষ্ঠ জর্জ রাজা হবার তিন বছরের মধ্যেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় ১৯৩৯ সালে। অ্যাডলফ হিটলারের নাজি সেনা গোটা ইউরোপে ভয়ানক যুদ্ধ শুরু করে, একে একে সব ইউরোপীয়ান দেশ তার সামনে মাথা নত করতে থাকে। একমাত্র ব্রিটেনই জার্মানির সাথে যুদ্ধ করতে থাকে কারন হিটলার ব্রিটেন বাদে গোটা ইউরোপ দখল করে নিয়েছিল। যুদ্ধকালীন সময়ে ঘরেতেই ওনার পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়। ছোটবেলায় ওনার ডাকনাম ছিল লিলিবেট যা পরিবারের ঘনিষ্ঠরাই ওনাকে বলেন। ওনার একমাত্র বোন হচ্ছেন রাজকুমারী মার্গারেট যিনি ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহন করেন। এলিজাবেথ দ্বিতীয় এবং ওনার বোনের শিক্ষা শুরু হয় ওনাদের মা এবং ব্যাক্তিগত শিক্ষক মারিওন ক্রফোর্ডের তত্বাবধানে। মারিওন ক্রফোর্ড ১৯৫০ সালে দি লিটল প্রিন্সেস নামে একটি বই লেখেন যেখানে এলিজাবেথ দ্বিতীয় এবং মার্গারেটের ছোটবেলার কথা লিখেছেন। এই বইয়ে জানা যায় ঘোড়া এবং কুকুরের প্রতি প্রচুর ভালোবাসা ছিল মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয়র এবং মহারানী নিজে ইতিহাস, সাহিত্যে দক্ষ থাকার পাশাপাশি একজন বিশিষ্ট মিউজিশিয়ান ছিলেন।
মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয় বিয়ে করেন রাজকুমার ফিলিপকে। তবে ওনাদের প্রেমকাহিনীর সূত্রপাত হয় ১৯৩৪ সালে যখন ওনার সাথে প্রথম দেখা হয় রাজকুমার ফিলিপের। ডেনমার্ক ও গ্রীসের রাজকুমার ছিলেন ফিলিপ, তিনি সম্পর্কে ব্রিটিশ রাজপরিবারের খুব নিকট আত্মীয় ছিলেন। ১৯৩৭ সালে আবারও ওনাদের সাক্ষাৎ হয়। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের ডার্টমাউথের রয়েল নেভাল কলেজে ওনাদের তৃতীয় সাক্ষাৎকার হয় তখন থেকেই তাদের প্রেমের সূচনা হয় তখন দ্বীতীয় এলিজাবেথের বয়স ছিল ১৩ বছর। দুজনের মধ্যে চিঠি আদানপ্রদান হয়। অবশেষে ২১ বছর বয়সে ১৯৪৭ সালে দুজন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে ওনাদের বিবাহ এতটাও সহজ ছিলনা। রাজকুমার ফিলিপের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলনা, তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ডের নৌবাহিনীতে কাজ করতেন মানে তিনি রাজার অধীনে কর্মচারী ছিলেন। উপরন্তু রাজকুমার ফিলিপের বোন এমন এক জার্মানকে বিয়ে করেছিলেন যার সাথে নাজি সেনার যোগাযোগ ছিল। সেজন্য দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবার অনেক পরামর্শদাতার মতে তিনি সঠিক ব্যাক্তি ছিলেন না বিয়ের জন্য। রাজকুমার ফিলিপের কোন রাজত্ব ও ঘর পর্যন্ত ছিলনা। তবে এলিজাবেথ দ্বিতীয়র মা ফিলিপকে পচ্ছন্দ করতেন। বিয়ের আগে রাজকুমার ফিলিপ তার সব গ্রীক ও দানিশ উপাধি ছেড়ে লিউটেন্যান্ট ফিলিপ মাউন্টব্যাটেন নাম নেন যা তার মায়ের টাইটেল ছিল। রাজকুমার ফিলিপ ডিউক অফ এডিনবার্গ উপাধি পান। অবশেষে ১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে গির্জায় রাজকুমার ফিলিপ ও এলিজাবেথ দ্বিতীয়র বিবাহ হয়। সেসময় গোটা বিশ্ব থেকে তাঁরা প্রায় ২৫০০ উপহার পেয়েছিলেন। ৭৪ বছরের দীর্ঘ বিবাহিত জীবনের পর ২০২১ সালে ৯৯ বছর বয়সে মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয়র স্বামী রাজা ফিলিপের মৃত্যু হয়। ওনাদের চার সন্তান আছেন। ১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর ওনাদের প্রথম পুত্র রাজকুমার চার্লসের জন্ম হয় এবং ১৯৫০ সালের ১৫ আগস্ট দ্বিতীয় সন্তান রাজকুমারী অ্যানের জন্ম হয়, ১৯৬০ সালে রাজকুমার অ্যান্ড্রু এবং ১৯৬৪ সালে রাজকুমার এডওয়ার্ড জন্মগ্রহন করেন। রাজা ষষ্ঠ জর্জের শরীর ১৯৫১ সাল থেকেই খারাপ হতে শুরু করে তখম এলিজাবেথ দ্বিতীয় ও ফিলিপ কানাডা সফরে ছিলেন। এরপর ওনারা ১৯৫২ সালে কেনিয় সফরে যা সেখানেই তিনি খবর পান তার বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ মারা গোছেন এবং তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। ১৯৫৩ সালের ২ জুন ২৭ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের মহারানী হন এলিজাবেথ দ্বিতীয়।
মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয়র বিশেষ কিছু ক্ষমতা ছিল। মহারানী কোন ড্রাইভিং লাইসেন্সের দরকার পড়তনা। তাঁর গাড়ির জন্য নাম্বার প্লেট লাগতনা। ব্রিটিশ রাজপরিবারের রাজকীয় পোশাক নির্বাচনের দায়িত্ব ওনারই ছিল। ব্রিটিশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয় ভোট দিতেননা বা সরাসরি কোন রাজনৈতিক মতামত রাখতেন না কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে অপসারন করার ক্ষমতা তাঁর ছিল। মহারানীকে কোনদিন গ্রেফতার করা যাবেনা এটাই নিয়ম ইংল্যান্ডে। তিনি তার টাইটেল ছাড়াই নাম ব্যবহার করতে পারতেন। রানী এলিজাবেথ দ্বিতীয় চাইলে তার নাতি নাতনিদের দায়িত্ব নিজেই নিতে পারতেন এব্যাপারে কেউ প্রতিবাদও করতে পারবেনা। আসলে ১৭০০ সালে ইংল্যান্ডের রাজা জর্জ এই নিয়ম চালু করেছিল কারন তার ছেলের সাথে তার সম্পর্ক খারাপ ছিল এবং সেই থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। ব্রিটেনের মহারানীকে কোন ট্যাক্স দিতে হয়না। মহারনীর গাড়ি বহরের কোন নির্দিষ্ট স্পিড লিমিট ছিলনা এক্ষেত্রে সড়ক আইনের উর্ধে তিনি। মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয় বছরে দুবার জন্মদিন পালন করতেন একটি ২১ এপ্রিল ব্যাক্তিগত ভাবে এবং আরেকটি জুন মাসের দ্বিতীয় শনিবার রাজকীয় জন্মদিন। ব্রিটেনের মহারানীর উপার্জন সম্পূর্ণ গোপন রাখার অধিকার ছিল, সেব্যাপারে দেশের আইন ব্যাবস্থাও কীছু করতে পারবেনা। ব্রিটেনের মহারানীর কোন দেশ ভ্রমনে কোন পাসপোর্ট লাগে না। শুধু ইংল্যান্ডই নন, অস্ট্রেলিয়া, জামাইকা, কানাডা, নিউজিল্যান্ড সহ ১৫ টি দেশের সম্মানীয় প্রধান তিনিই। তিনি চাইলে ইংল্যান্ডের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে অপসারন করার ক্ষমতাও রাখেন।
১৯৭৫ সালে এমনই হয়েছিল। ব্রিটেনের সংসদে যেকোনও আইন পাশ করতে ব্রিটেনের মহারানীর সম্মতি লাগবেই। ব্রিটেনের সমস্ত ডলফিন ও টেমস নদীর হাঁসের মালিক মহারানী। বিশ্বের ৩৫ টি দেশের মুদ্রায় মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয়র ছবি আছে এবং তিনি যখন কোথাও কেনাকটা করতেন ক্যাশলেস করতেন মানে পুরোনো ঐতিহ্য অনুযায়ী বিল দিতেন। বাকিংহাম রাজপ্রাসাদে দেশের সম্মানীয় ব্যাক্তিদের নাইটহুড উপাধি দিতেন তিনিই। রাজপরিবারের খাদ্য তালিকা তিনিই ঠিক করতেন। তিনি চাইলে কোন সংস্থার বিরুদ্ধে রাজকীয় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারতেন। ব্রিটেনের মহারানীর কাছে পূর্ন ক্ষমতা ছিল যুদ্ধের আদেশ দেওয়ার কিংবা শান্তি স্থাপনের। তিনি কোন কয়েদিকে মুক্তি দিতে পারতেন। ব্রিটেনের মহারানীকে কোনদিন ব্যাংঙ্কে যেতে হয়না, বাকিংহাম প্রাসাদে ওনার জন্য একটি ব্যাক্তিগত এটিএম রয়েছে। মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয় তার দীর্ঘ শাসনকালে উইনস্টন চার্চিল থেকে শুরু করে ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস অবধি ১৫ জন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, ২০ টি অলিম্পিক এবং ছয়জন পোপকে দেখেছেন। প্রায় ৬০০ এর বেশী সংস্থা ও চ্যারিটিতে যুক্ত ছিলেন এলিজাবেথ দ্বিতীয়।
মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের মৃত্যুর সাথে সাথে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে শুরু হয়ে যায় অপারেশন লন্ডন ব্রিজ। এই অপারেশনের প্রস্তুতি কয়েকমাস ধরেই নেওয়া হচ্ছিল। মহারানী এলিজাবেথ দ্বিতীয়র মৃত্যুর সাথে সাথে মহরানীর সেক্রেটারি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে জানায় লন্ডন ব্রিজের পতন হয়েছে মানে মহারানী মারা গেছে। এরপরই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ফোনে যে ১৫ টি দেশের সম্মানীয় প্রধান ছিলেন মহারানী তাদের জানায় এখবর এবং তারপর ৩৬ টি কমনওয়েলথ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে এখবর জানানো হয়, ভারতও কমনওয়েলথ দেশ। বাকিংহাম প্রাসাদের দরজা বন্ধ করে সেখানে কালো হরফে মহারানীর মৃত্যু সংবাদ লেখা হয়েছে। ব্রিটেনের সমস্ত সংবাদ চ্যানেলে, রেডিওতে এই খবর সবসময় প্রচার করা হচ্ছে এবং বিবিসি তার সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করে শুধু মহারানীর খবরই প্রকাশ করছে। খবর পরিবেশকরা কালো পোষাক পড়ে আছে এবং বিবিসির লাল লোগো কালো করা হয়েছে। আগামী দুসপ্তাহ ধরে এইসব খবরই চলবে। অপারেশন লন্ডন ব্রিজের সাথে সাথে আরও একটি অপারেশন চালানো হচ্ছে যার নাম অপারেশন স্প্রিং টাইড যাতে যত দ্রুত মহারানীর বড় ছেলে রাজকুমার চার্লসকে রাজা নিযুক্ত করা হবে। মহারানীকে ৪১ তোপের স্যালুট দেওয়া হবে। মহারানীর মৃত্যুর চারদিন পর ওনার কফিন বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে সেনা শোভাযাত্রার মাধ্যমে ওয়েস্টমিনস্টার হলে নিয়ে যাওয়া হবে। এখানে চারদিন মহারানীর কফিন থাকবে যেখানে রাজা চার্লস, সহ রাজ পরিবারের সদস্যরা ও সাধারন মানুষ রানীকে শ্রদ্ধা জানাবে। মহারানীর মৃত্যুর ১২ দিন পর অন্তেষ্টিক্রিয়া হবে। মৃত্যুর দিন এবং অন্তেষ্টিক্রিয়ার দিন লন্ডেনের সব ব্যাঙ্ক, স্টক এক্সচেঞ্জ, সরকারী অফিস বন্ধ থাকবে্ এতে কয়েক বিলিয়ন ডলার আর্থিক ক্ষতি হবে কিন্তু তবুও মহারানীর প্রতি সম্মান জানানো হবে। এরপর কফিনকে সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানেই পিতা জর্জ ষষ্ঠের কফিন রয়েছে, সেখানেই তাকে কবর দেওয়া হবে। রাজকুমার চার্লসের রাজ হবার পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে একবছর লাগবে। ইংল্যান্ডে অনেক পরিবর্তন আসবে যেমন ইংল্যান্ডের নোট রানীর ছবির বদলে রাজার ছবি দিয়ে ছাপা হবে এবং ধীরে ধীরে রানীর ছবি দেওয়া নোট বাজার থেকে উঠে যাবে। ইংল্যান্ডের পাসপোর্ট, পুলিশ, সেনার পোষাকেও রাজার ছাপ বসবে। ইংল্যান্সের জাতীয় সংগীতেও পরিবর্তন হবে সেখানে লেখা হবে গড সেভ দি কিং।