ব্যালেস্টিক মিসাইলকে আকাশ পথে রুখতে সক্ষম। পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইসরায়েলের কাছে
নিউজ ডেস্কঃ গাজার রকেট হামলা ঠেকাতে না পারলে আজ হয়ত ইসরায়েল শ্মশানে পরিনত হত।গাজার থেকে প্রায় ৪৫০০ রকেট হামলা করেছিল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। আর তার প্রায় ৯৫ শতাংশ আকাশ পথেই রুখে দেয় ইসরায়েল। মাত্র ৫০ টি রকেট ইসরায়েলের মূল ভুমিতে এসে পরে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে ইসরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কতোটা শক্তিশালী। তবে হটাত ইসরায়েল কেন এতো শক্তিশালী অস্ত্র তাদের সীমান্তে মোতায়েন করে রেখেছে জানেন? কি কারনে তাদের এই সিদ্ধান্ত?
আসলে ইরান যেকোনো সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমন করতে পারে তা বেশ ভালো করেই বুঝতে পেরেছিল ইসরায়েল। আর সেই কারনে লেসার ভিত্তিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরির কথা চিন্তা করেছিল ইসরায়েল। আসল ঘটনার সুত্রপাত অন্য জায়গায়।
ইরানের জেনারেল সলেমানি হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইরান হামলা করেছিল ইরাকে অবস্থিত আমেরিকার সেনাদের ঘাটি লক্ষ্য করে। তবে শুধু ইরাক নয় পাশাপাশি ইসরায়েলের বন্দর নগরী হাইফা লক্ষ্য করে ইরান মিসাইল হামলা চালাতে পারে এমনও পূর্বাভাস ছিল। কারন সিরিয়া এবং ইরাকে ইরানের অনেক স্থাপত্যের উপর আবার ইসরায়েল বেশ কয়েকবার হামলা চালায়। আর তারপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে এতোটাই তিক্ততা। আর তারপর থেকে ইরান প্রতিশোধ নিতে একাধিক পদক্ষেপ ও গ্রহন করেছিল। আর তারপর ইরানের জেনারেল সলেমানিকে ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হত্যার পর থেকে ইসরায়েল আরও সতর্ক হয়ে যায়।
তারপর ইসরায়েল লেসার ভিত্তিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম “আয়রন ডোম” নিয়ে সকলের সামনে নিয়ে আসে। এটি এতটাই শক্তিশালী যে ইরানের মতো দেশের ব্যালেস্টিক মিসাইলকেও আকাশ পথে রুখে দিতে পারে। পাশাপাশি এটির খরচ ও বেশ কম।
এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মর্টারশেল থেকে শুরু করে রকেট, ট্যাঙ্ক, বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইলকে আকাশ পথে রুখে দিতে পারে। পাঁচ কিলোমিটার দূরবর্তী আকাশে ভাসমান টার্গেটকে ধবংস করতে পারবে এই লেসার নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা।