ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাষক কিম জং উন এর সাথে ভালো সম্পর্ক করতে চেয়েছিলেন?
নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় স্বার্থ। কথাটির সাথে সবদেশের রাজনৈতিক মহলের যোগাযোগ আছে। অর্থাৎ যেকোনো দেশের যে রাজনৈতিক দল ই আসুক না কেন তাদের সাধারনত জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবেই প্রতিটা পদক্ষেপ নিতে হয়। আর আন্তর্জাতিক সমীকরণের কথা মাথায় রেখেই তাদেরকে প্রতিটা পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি দীর্ঘদিন ধরে লেগেই আছে। এবং সেই কারনে প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে সমীকরণ। তবে আমেরিকা এবং রাশিয়ার রাজনৈতিক দলগুলির উপর যে অনেক কিছু নির্ভর করে তা বলাই বাহুল্য। আর সেই কারনে অনেকে ভেবেছিলেন যে ট্রাম্প গিয়ে বিডেন এলে মধ্যেপ্রাচ্যে তাদের পক্ষে স্বস্তিকর ব্যাপার হতে পারে। তবে তাদের সমস্ত আশায় জল ঢেলে,হোয়াইট হাউস অফিসে বসার কিছু দিনের মাথায় জো বিডেনের নির্দেশে সিরিয়ায় হামলা চালায় আমেরিকান সেনাবাহিনী। আর তার ফলে ১৭ বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়।
তবে অনেকে জানেই না যে ডোনাল্ড ট্রাম্প হল আমেরিকার সেই ব্যাতিক্রমি রাষ্ট্রপতি যে,পৃথিবীতে নতুন করে কোন যুদ্ধ শুরু করেনি। পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্প চেষ্টা করেছিলেন যে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাষক কিম জং উন এর সাথে সম্পর্ক ভালো করার। এবং আফগানিস্তান সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আমেরিকার সৈন্যবাহীনি প্রত্যাহার করতে।
আসলে ট্রাম্প আমেরিকার জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা কিছু আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছলেন। তাঁর মতে পৃথিবীর উপর ছড়ি ঘোরানোর থেকে,আমেরিকার নিজস্ব অভ্যান্তরিন স্বার্থ কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া ভালো। আর সেই কারনে আমেরিকার তাদের বিভিন্ন বৈশ্বিক আর্থিক সহায়তা বন্ধ করতে থাকে। এর মধ্যে থাকত বিভিন্ন দেশে মিলিটারি আর্থিক সাহায্য, পরিবেশ উন্নয়নে আর্থিক সাহায্য, চিকিৎসা র জন্য আর্থিক সাহায্য। শুধু তাই নয় এর ফলে বিদেশীরা আমেরিকায় এসে উপার্জনের পথ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল।
অনেকে হয়ত বুঝতেই পারেনি যে এই ধরনের কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমেই আমেরিকা সারা বিশ্বে নিজেদের ছড়ি ঘোরাতো। আর ট্রাম্প তা চাইত না বলেই বিভিন্ন সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছিল। আমেরিকার অভ্যান্তরিন স্বার্থ রক্ষার কারনে তিন বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা ধীরে ধীরে কমাতে শুরু করেছিলেন।
ট্রাম্পের কিছু আলাদা নীতি ছিল একথা বলা বাহুল্য। আর সেই কারনে তিনি বেশ কিছু আলাদা করেছিলেন ও বটে, তিনি সরাসরি ‘ইসলামিক-জঙ্গিবাদ’ কে আক্রমণ করলেও,মধ্যে প্রাচ্যে অথবা আফগানিস্তান এ তার আমলে আমেরিকার আক্রমণ তুলনামূলক কম হয়েছিল, এবং তা একাধিক রিপোর্টে কার্যত স্পষ্ট। আন্তর্জাতিক মহলের মতে ট্রাম্প অনেক মুসলিম দেশের আমেরিকার থেকে পাওয়া সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছিলেন আর সেই কারনে বিশ্বে তার একটা মুসলিম বিরোধী ছবি তৈরী হয়।
অন্যদিকে জো বিডেন এসে ট্রাম্পের নেওয়া পদক্ষেপ গুলি বাতিল করতে শুরু করে দিয়েছে। অর্থাৎ বুশ এবং ওবামার দেখানো পথেই ফিরে আসে বিডেন। ফলস্বরূপ একটা কথা বলা যেতে পারে যে বিডেন আমেরিকাকে আবার বৈশ্বিক কর্তা রূপেই রাখতে চাইছে। যার ফলে বিশ্বে যেমন আমেরিকার ডলারের সহায়তা বাড়তে চলেছে, আবার সাথে সাথে পৃথিবীতে যুদ্ধের পরিমাণ ও পুনরায় বাড়তে চলেছে এমনটাই মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের।