১ লিটার জ্বালানীতে কতোটা পথ অতিক্রম করতে সক্ষম ভারতবর্ষের বিমান গুলি?
এই দুর্মূল্যের বাজারে জ্বালানির ও পেট্রোলের দাম আকাশছোঁয়া। গাড়ি কেনার আগে প্রথমেই আমাদের চিন্তা করতে হয় তেল সার্ভিসের কথা। কোন গাড়ি কতটা মাইলেজ দেবে তা নির্ভর করে তার সাইজের ওপর।
কিন্তু যত বড় গাড়ি তেল সার্ভিস কত কম এবং জ্বালানি খরচ ততটাই বেশি তবে কখনও চিন্তা করে দেখেছেন একটি বিমানে কতটা জ্বালানি খরচ হতে পারে। বিভিন্ন রকম বিমানে বিভিন্ন রকম জ্বালানি খরচ হয় আজ আপনাদের বলব বিমানে কতটা জ্বালানি খরচ হতে পারে।
১) বোয়িং 747- বোয়িং 747 বিমানে প্রতি মিনিটে ২৪০ লিটার জ্বালানি খরচ হয় অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ৪ লিটার জ্বালানি খরচ হয়। বোয়িং 747 এর ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে প্রতি কিলোমিটারে ১২ লিটার জ্বালানি খরচ হয়। অর্থাৎ ১ লিটার জ্বালানিতে ০.৮ কিলোমিটার পথ যাত্রা করতে পারে।
এই বিমানে সর্বোচ্চ যাত্রী সংখ্যা ৫০০ জন এবং গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ কোন ১৩ ঘণ্টার যাত্রায় এই বিমানে মোট জ্বালানি খরচ হবে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ২০০ লিটার। এর জ্বালানি ক্যাপাসিটি হলো ২৩৮৮৪০ লিটার।
২) Airbus A321 neo- এটি প্রতি মিনিটে ৪১.৮ লিটার জ্বালানি খরচ করে অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ০.৬৮৩ লিটার জ্বালানি খরচ করে। তাদের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে এটি প্রতি কিলোমিটারে ৪.১৮লিটার জ্বালানি খরচ করে। এর সর্বোচ্চ যাত্রীসংখ্যা হল ১৯২ জন এবং এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০০ কিলোমিটার অর্থাৎ ১২০০ কিলোমিটারের একটি যাত্রায় জ্বালানি খরচ হবে ৫০১৬ লিটার। এর জ্বালানি ক্যাপাসিটি হল ৩২৯৪০ লিটার।