কাশ্মীর ইস্যু কোনোদিন সমাধান হবেনা পাকিস্তানের মিলিটারি অফিসারদের কারনে
নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তান ও ভারত এই নাম শুনলে প্রথমেই আমাদের মধ্যে যে চিন্তাভাবনা গুলি আছে সেগুলি হল পারস্পরিক দ্বন্দ্ব বিরোধ ও যুদ্ধ। কখনো কাশ্মীর ইস্যু বা কখনো সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এই দুই দেশ বহুবার ইতিহাসে যুদ্ধের সম্মুখীন হয়েছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত আমরা দুই দেশের মধ্যে দেখেছি তিনটি লড়াই এবং তিনবারই আমরা লক্ষ্য করেছি পাকিস্তান সর্বপ্রথম ভারতের উপর আঘাত হেনেছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় নির্লজ্জভাবে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনার আত্মসমর্পণের পর থেকে পাকিস্তান বুঝে গেছিল যে সমস্ত শক্তি দিয়ে ভারতকে পরাজিত করা প্রায় অসম্ভব। পাকিস্তান দুই ভাগে বিভক্ত হয় গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ এবং তার ঠিক তিন বছর বা দেড় হাজার ১৯৭৪সালে ভারত প্রথম শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করে বিশ্বের দরবারে নিজেকে আচ্ছন্ন পারমাণবিক শক্তি হিসেবে তুলে।
১৯৭৪ সালে ভারতের প্রথম পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষার পর থেকেই আমেরিকা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে যে ভারত একটি পারমাণবিক প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে যার পরিণামে ভারতের হাতে একাধিক আণবিক অস্ত্রের আসার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভাগ হওয়ার এবং ১৯৭৪ সালে ভারতের হাতে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষার পর পাকিস্তান খুব ভালোভাবে বুঝে গেছিল যে তাদের বর্তমানে আর কোনো সম্ভাবনাই নেই যুদ্ধের মাধ্যমে কাশ্মীরকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার।
এরপর ১৯৮৪ সাল ভারত খুব দক্ষতার সঙ্গে সিয়াচেন গ্লাসিয়ার দখল নেয়। যা ছিল ভারত চীন ও পাকিস্তানের বর্ডারের সংযোগ স্থল। কিন্তু আমরা খুব ভালোভাবে দেখেছি তখন ও পাকিস্তানের সাহস হয়নি ভারতের গায়ে হাত দেওয়ার। কারনটা ছিল ভারতের পরমাণু কার্যক্রম। পিছিয়ে থাকে নি পাকিস্তানও নেদ্যারল্যাণ্ড্স থেকে চুরি করা পরমানু অস্ত্রের প্রযুক্তি ও চীনের সরাসরি সহায়তায় ধিরে ধিরে পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর হয়ে ওঠে যার খবর ছিল ভারতের কাছে।
বিলম্ব না করে ১৯৯৮সালের ১১ই মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপাই এর নির্দেশে এবং ডক্টর এপিজে আবদুল কালামেরতত্ত্বাবধানে ভারত প্রথম সামরিক পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা সম্পন্ন করে। ১১ই মে যে তিনটি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়েছিল তার মধ্যে একটি ছিল থার্মোনিউক্লিয়ার ওয়ারহেড। ১৩ ই মে ভারত আরো দুটি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করে এগুলো ছিল মূলত ট্যাকটিক্যাল নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড। অর্থাৎ ছোট পরমাণু অস্ত্র। ২৮ মে পাকিস্তান পাঁচটি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করে।
এখানে দুটি গুরূত্বপূর্ণ পয়েন্ট লক্ষণীয়।
♦ পাকিস্তান যে সামরিকভাবে পরমাণু অস্ত্র জোগাড় করেছিল সেটি প্রমাণ করে দিতে সক্ষম হয় ভারত তার কারণ ভারতের পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষার মাত্র ১৭ দিনের মাথায় পাকিস্তানের নিজের পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করে। কোন দেশের পক্ষেই এত কম সময় পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব নয় যদি না তাদের কাছে আগে থেকে এই অস্ত্র মজুত থাকে। অর্থাৎ সোজা ভাষায় বলতে গেলে পাকিস্তানকে এক রকম ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়েছিল ভারত। আন্তর্জাতিকভাবে পুরো বিশ্ব এটা মানতে বাধ্য হয় যে হ্যাঁ পাকিস্তান আগে থেকে সামরিক ভাবে পরমাণু অস্ত্র সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছিল। ফলে ভারতকে একতরফাভাবে দোষ দিতে পারেনি কোন দেশই।
♦ রাষ্ট্রসঙ্ঘের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য অর্থাৎ আমেরিকা রাশিয়া চীন ফ্রান্স এবং ব্রিটেন এর বাইরে ভারত প্রথম দেশ যারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি এবং তার পরীক্ষা করার সাহস দেখিয়ে ছিল। পুরো বিশ্বে ভারতকে যখন তাচ্ছিল্য করা হতো এবং পুরো বিশ্বের এই পাঁচটি দেশ যখন নিজেদেরকে বিশ্বের কর্তা ভাবতে শুরু করেছিল তখন ভারতের দ্বারা এই চরম পদক্ষেপ তাদের ভাবতে বাধ্য করেছিল যে তৃতীয় বিশ্বের দেশ ও সুপারপাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন রাখে।
এখানে আরো একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ অনেকে ভেবে থাকে শুধু কাশ্মীরি সুর জন্য ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এতো বিবাদ। বিষয়টি মোটেই তা নয়। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদ মূলত তিনটি কারণে প্রথমত কাশ্মীর দ্বিতীয়তঃ ধর্মীয় ইস্যু এবং তৃতীয়ত পাকিস্তানের মিলিটারির পকেট।
মনে করুন কোন একটি অবাস্তব দুনিয়ায় ভারত-পাকিস্তানকে কাশ্মীর দিয়ে দিলো কিন্তু তাতে কি মনে হয় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হবে কখনোই নয়। কারনটা বুঝুন। প্রথমত পাকিস্তান ও ভারত ভাগ হয়েছিল ধার্মিক উন্মত্ততার কারণে।
১) পাকিস্তান ও ভারতের লড়াইকে পাকিস্তানের বেশিরভাগ অংশের মানুষ হিন্দু-মুসলিমের লড়াই হিসেবে ভেবে থাকে। তাদের ধারণা হিন্দুদের দেশ ভারত তাদের তুলনায় অনেক বেশি অংশ পেয়েছে। এছাড়া গাজওয়া হিন্দ তাদের অবচেতন মনে সব সময় কাজ করে।
২) পাকিস্তানের মিলিটারি কখনো চায়না কাশ্মীর ইস্যু সমাধান হোক কারণ পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে রেখেই নিজের মিলিটারি অফিসারদের পকেটে সবসময় গরম করে রেখেছে। প্রতিটি পাকিস্তানি মিলিটারি অফিসার যারা high-ranking চাকরির সুবিধা পেয়ে থাকে তাদের প্রত্যেকেরই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, লন্ডনে বাড়ি এবং তাদের সুইস ব্যাংকে প্রচুর টাকার কথা শোনা যায়। সত্যি বলতে পাকিস্তান মিলিটারি যে ১০ বিলিয়ন ডলারের মতো ডিফেন্স বাজেট দেওয়া হয়। তার বেশিরভাগ অংশই পাকিস্তানি মিলিটারিদের ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে থাকে। এই অর্থ পাকিস্তানের আর্মি ততদিন নিজের কাছে আনতে পারবে যতদিন পাকিস্তানের সাধারণ জনগণকে বোকা বানিয়ে রাখা যাবে। জনগণকে বোকা বানাতে গেলে পাকিস্তানি মিলিটারির এটা বোঝাতে হবে যে কাশ্মীর তাদের থেকে জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তান আক্রমণ হতে পারে তাই ডিফেন্স বাজেট প্রয়োজন। তাই ভারত চাইলেও পাকিস্তানে সেনা ও আইএসআই কোনদিন ভারতের সাথে সম্পর্ক ভালো করতে চাইবে না এবং তারা কখনোই চাইবেনা কাশ্মীর ইস্যু সমাধান হোক। কারণ কাশ্মীর ইস্যু থাকলে পাকিস্তানের মিলিটারি পকেটের টাকা থাকবে কাশ্মীর ইস্যু না থাকলে পাকিস্তানি মিলিটারিদের পকেটে টাকা থাকবে না
এবার ফিরে আসি ভারত ও পাকিস্তানের প্রেক্ষাপটে। এরপরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলো কবে ? ১৯৯৯ সালে কার্গিলে! বরাবরের মতো ভারত পাকিস্তানের সাথে সুসম্পর্ক চেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপাই বাসে চেপে গেল পাকিস্তানে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে। সাক্ষরিত হল লাহোর ডিক্লেয়ারেশান। স্থির হয় দুই দেশ শান্তিপূর্ণ ভাবে বিবাদ মেটাবে। আর যুদ্ধের বাতাবরণ থেকে দুরে থাকবে। কাশ্মীর ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে মিটবে একই সঙ্গে দুই দেশ একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না। এছাড়াও আলাদা অনেক বিষয় চুক্তিতে বলা হয়।
চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরেই সেটাই হয়েছিল যেটির আশা ছিল। আবারো মোশারফ সহ বিভিন্ন পাকিস্তানি জেনারেলদের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আরও একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূচনা হয় যা ছিল কারগিলের যুদ্ধ।
এর ফলে একটি বিষয়ে খুব ভালোভাবেই বিশ্বের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় যে ভারত বরাবর পাকিস্তানের সাথে সুসম্পর্ক যে এসেছে কিন্তু পাকিস্তানের জঙ্গির মনোভাব বরাবর দুই দেশকে যুদ্ধের আবহের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
এরই সাথে এই যুদ্ধের টাইমিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে একটিও যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। এর কারণ হলো ভারতের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকার সম্ভাবনা বরাবর পাকিস্তানকে আক্রমনাত্মক হতে বাধা দিয়েছে কিন্তু ১৯৯৮সালে পাকিস্তান যখন পরমাণু অস্ত্র বিশ্বের সামনে উন্মোচন করলো তখন পাকিস্তান আর কোনও ভয় না পেয়ে নিজের আসল রূপে ফিরে এলো। কিন্তু এখানে যদি পাকিস্তান ভেবে থাকে যে তারা অজেয় তাহলে আজকে পাকিস্তানের বোঝা উচিত যে পাকিস্তানের এটা কত বড় ভুল।
“Over militarized country will break economically”
এই সর্বনাশা বাস্তবটা হয়তো বুঝতে পারেনি পাকিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়নকে দেখার পরেও। অর্থনীতি, বিজ্ঞান চর্চা, মহাকাশবিদ্যা, এমনকি সমরাস্ত্র বিজ্ঞানেও ভারত আজ নিজের স্বনির্ভরতা বিশ্বের সামনে যেভাবে তুলে ধরছে পাকিস্তান তার আশেপাশেও নেই। ভারত যখন বুঝলো পাক পরমাণু অস্ত্র তাদেরকে অমরত্বের স্বাদ দিতে পারে ভারত তখন অর্থনীতিকেই অস্ত্র হিসাবে তুলে ধরে।
ভারত আয়তনে বড়। ভারতের মাথা পিছু আয় বা হাঙ্গার ইনডেক্স বহু দেশের থেকে পিছিয়ে থাকলেও ভারতের জিডিপি আর $৩+ ট্রিলিয়ন। পাকিস্তানের জিডিপি সেখানে $৩০০বিলিয়নও নয়। ভারত শুধু পাকিস্তানকে স্ট্রেচ করেছে। পাকিস্তানকে বাধ্য করেছে ভারতের সমরাস্ত্রের সাথে পাল্লা দিতে। যার ফলে জিডিপির বৃদ্ধির ওপর পড়েছে বিরুপ প্রভাব। যার একটা বড় প্রভাব আজ আমাদের সামনে।
♦ পাক অর্থনৈতিক সংকট ভারতের দানঃ
পাকিস্তানের জিডিপি গ্রোথ ২০২১সালে ১.৫শতাংশ। যেখানে ভারতের জিডিপি গ্রোথ ১০শতাংশ পেড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্বের অর্থনীতিবীদরা। প্রথমেই ভারত ও পাকিস্তানের জিডিপির বিস্তর ফারাক। ভারতের জিডিপি পাকিস্তিনের জিডিপির প্রায় ১১ গুন। সেখানে পাকিস্তানের ডিফেন্স বাজেট ভারতের সাত ভাগের এক ভাগ।
না এরকম কোনও কথা নেই যে পাকিস্তানের জিডিপ ভারতের যত ভাগ ঠিক তত ভাগ পাকিস্তানের ডিফেন্স বাজেট থাকা উচিত। বরং পাকিস্তানকে চিন্তা করতে হত তার মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক লোন, জিডিপি বৃদ্ধির হার কোথায়? সেই অনুযায়ী মাত্র $৩বিলিয়ন ডিফেন্সে দেওয়ার ক্ষমতাও নেই পাকিস্তানের। হিসাবটা বুঝুন
পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ $১২৭বিলিয়ন! যেখানে পাকিস্তানের ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ মাত্র $১৮.৫বিলিয়ন যার মধ্যে $৩বিলিয়ন সৌদি আরবের। অর্থাৎ পাকিস্তানের $১১১.৫বিলিয়ন ঋণ। পাকিস্তানের মূদ্রাস্ফিতি ৮.৯শতাংশ।
এবার আসি ভারত। ভারতের মোট ডেব্ট $৫৭০বিলিয়ন। হ্যাঁ আপত দৃষ্টিতে অনেক বেশি। কিন্তু ভারত এই চাপ বহনের ক্ষমতা রাখে। কারন ভারতের ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ প্রায় $৬৩৬বিলিয়ন। অর্থাৎ দেনা পরিশোধ করেও ভারতের হাতে প্রায় $৬৬বিলিয়ন ক্যশ রিসার্ভ আছে। ভারতের মূদ্রাস্ফিতি ৪.৯১শতাংশ।
এর থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় যে ভারত যদি বছরে $৭০বিলিয়নও খরচ করে তাও ভারতের এখন সেই খরচা করার সামর্থ্য আছে। কিন্তু ভারতের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে নিজের কবর খুড়ছে পাকিস্তান।
ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার উত্তরে পাকিস্তান কিনছে চীনের জে-১০ বিমান! রাশিয়া থেকে ভারতের এস-৪০০ কেনার উত্তরে পাকিস্তান কিনছে এইচকিউ-০৯ এর এক্সপোর্ট ভ্যরিয়েন্ট। একই ভাবে ভারতের ১২টি কনভেনশেনাল সাবমেরিন তৈরি করার উত্তরে তারা ৮টি সাবমেরিন কিনছে। ভারতের একে-২০৩ এ্যসল্ট রাইফেলের উত্তরে তারা চেজ রিপাব্লিক থেকে এ্যসল্ট রাইফেল কেনার কথা চলছে।
এই ধরনের ডিল পাকিস্তানকে হয়তো সাময়িক লাভ দেবে। কিন্তু আমেরিকা যেমন একটি গুলি না চালিয়ে পুরো সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভেঙে ফেলেছিল তেমনই পুরো পাকিস্তান ভেঙে পরবে। কারন তারা অর্থানীতিকে সমরনীতিতে ভাসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ভারত জানে সমরনীতি ও অর্থনীতি একে অপরের পরিপুরক। একটিকে অপরের জন্য বলিদান দেওয়া যায় না।