২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে কেন হেলমেট ক্রয় করা হচ্ছে বায়ুসেনার জন্য?
নিউজ ডেস্কঃ আধুনিক যুদ্ধ একেবারে যে অন্যভাবে হতে চলেছে তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। এবং সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে পরবর্তীতে কোন যুদ্ধ হলে তা মানুষ ছাড়াই হতে পারে। কারন যেভাবে আন্ম্যান্ড এরিয়াল ভেহিক্যাল হাতে আসতে চলেছে তা সত্যি প্রশংসনীয়। তবে শুধু UAV নয় পাশাপাশি যুদ্ধবিমান গুলির ক্ষমতাও বাড়ছে। যেমন বর্তমানে যুদ্ধবিমানের যে হেলমেট গুলি ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলি অত্যাধুনিক হেলমেট।
বর্তমানে যে যুদ্ধবিমান গুলি সার্ভিসে আসছে সেই যুদ্ধবিমান গুলির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হেলমেট। আমেরিকার হাতে থাকা এফ ১৮ হর্নেট থেকে শুরু করে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এফ ২২ র্যাপ্টর, রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সুখই সু ৫৭ এর পাশাপাশি চীনের জে-২০ এবং ইউরোফাইটার টাইফুনের মতো যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসা পালটের ব্যবহৃত হেলমেটটিকে কিন্তু অতি উচ্চ প্রযুক্তির হেলমেট_মাউন্টেড_ডিসপ্লে (এইচএমডি) প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করে ডিজাইন করা হয়ে থাকে। হেলমেট_মাউন্টেড_ডিসপ্লে (এইচএমডি) সিস্টেমটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যুদ্ধবিমানকে না ঘুরিয়েই বিমানের পাইলট যে কোনো দিকে তাকিয়ে সেই দিকের টার্গেটকে লক করে এয়ার টু এয়ার মিসাইল দ্বারা হামলা করা যেতে পারে।
হেলমেট-মাউন্টেড ডিসপ্লে (এইচএমডি) আসলে এমন একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হেলমেট সিস্টেম, যা বিমানের পাইলটের চোখের কাছে কমব্যাট মিশন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য একেবারে উপস্থাপন করে পাশাপাশি তাড়াতাড়ি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে থাকে। আর সেই কারনে আধুনিক যুদ্ধবিমানের এই জাতীয় প্রযুক্তি সমৃদ্ধ হেলমেটে আবার ভয়েস কমাণ্ডের মাধম্যেও পাইলট খুব সহজেই তার কাজটি করতে পারেন। আমেরিকার এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমানের পাইলটের একটি উচ্চ প্রযুক্তির (এইচএমডি) হেলমেট তৈরি করতে প্রায় ৪ লক্ষ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বা খরচ হয়ে থাকে। এটি তৈরি করে থাকে আমেরিকার Rockwell Collins and Elbit Systems of America। তবে ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ এণ্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) ভারতের দেশীয় যুদ্ধবিমান তেজাসের জন্য অত্যাধুনিক এবং উচ্চ প্রযুক্তির এইচএমডি হেলমেট ডিজাইন করেছে ইতিমধ্যে।