অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সার্ভিসে থাকলেও আফগানিস্থানের বিরুদ্ধে কেন ব্যবহার করতে পারেনি মার্কিন বিমানবাহিনী?
নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘ ২০ বছর লড়াইয়ের পর আফগানিস্থান ছেড়ে নিজেদের দেশে ফিরে গেছে আমেরিকা। ২০ বছর লড়াইয়ে আমেরিকার প্রধান টার্গেট অর্থাৎ লাদেনকে বহু বছর আগে মেরে দিলেও কিন্তু তালিবানদের ক্ষতম করতে পারেনি তারা। এতো অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র বিশেষ করে যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে ব্যাটেল ট্যাঙ্ক থাকলেও কেন আফগানিস্থানের বিরুদ্ধে তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেনি? আসলে এখানে কেন যুদ্ধবিমান কোন কাজে সেভাবে ব্যবহার করা যায়নি জানেন?
একটা কথা সর্বদা মাথায় রাখা উচিৎ যে এই ধরনের যুদ্ধ অর্থাৎ দেশ বনাম দেশ নয় দেশ বনাম জাতি বা ধর্মের লড়াইয়ে গেরিলার রুপ নেয়। সেখানে সেটা দেশ বনাম দেশের যুদ্ধের থেকেও বেশি কিছু হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এই ধরনের গেরিলাদের বিরুদ্ধে বিমানবাহিনী শক্তিশালী হলেও কিছু করার ক্ষমতা থাকেনা। এক্ষেত্রে বিমানবাহিনীর ক্ষমতাকে নিজের স্ট্যটাস নামিয়ে নিজেদেরকে এয়ার সাপোর্ট হিসাবে উল্লেখ করায়। কারন এই যুদ্ধে গ্রাউন্ড ফোর্স অর্থাৎ স্থলবাহিনী দরকার যারা ভুমিতে থাকবে। ঠিক সেই কারনে গ্রাউন্ড ফোর্স যাওয়ার ঘোষনার পরই তালিবান তান্ডব শুরু করে দেয়। আমেরিকার বিধ্বংসী বম্বার বি-৫২ এখানে একটা সাপোর্ট মাত্র ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে আমেরিকা কখনও আফগান সংস্কৃতিকে বোঝেনি। ফলে সেখানে এতদিন থাকা মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান থেকে কট্টরপন্থাকে মুছতে পারে নি। অতয়েব বুঝতেই পারছেন যে কোনোদিন কোনোভাবেই ভারতবর্ষের পক্ষে ও সম্ভব হতনা আফগানিস্থানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘনির পাশে দাড়িয়ে তালিবানদের বিরুদ্ধে নিজেদের বাহিনীদের কাজে লাগান।