চীনের ইকোনমি পুরাপুরি ধংস হতে চলেছে
কিছুদিন আগেও চীনের অর্থনৈতিক উত্থানকে কোনো উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখা হতো না। মনে করা হতো যে তাদের বিকাশমান অর্থনীতি ক্রমশই উদার-হতে-থাকা রাজনৈতিক ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলবে। মার্কিন বিশেষজ্ঞরা সে সময় বলতেন, “চীন একটি দায়িত্বশীল বৈশ্বিক অংশীদার হয়ে উঠছে।”
কিন্তু সে দিন আর নেই। একজন বিশ্লেষক জোনাথন মার্কাস লিখছেন, চীনকে এখন দেখা হচ্ছে এক হুমকি হিসেবে। অনেকেই ভয় পাচ্ছেন যে চীন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেভাবে বাড়ছে তাতে শেষ পর্যন্ত একটা যুদ্ধ না বেধে যায়!
তবে আশা করা যেতে পারে যে এখানে সরাসরি যুদ্ধ হবে না। লম্বা সময় পর্যন্ত কোল্ড-ওয়ার চলবে। এই সময়ে ২ দেশই ইকোনমি আর মিলিটারি প্যাক্ট কন্ট্রোল করার চেষ্টা করবে। বিভিন্ন গোয়েন্দা মিশন চালাবে, ইন্সারজেন্সি করার চেষ্টা করবে। প্রক্সিযুদ্ধ ও চালাবে নিজেদের প্রভাবের জন্য। সবশেষে যেকোন একজনের পতন হবে সোভিয়েতের মত বা যুদ্ধ হবে যখন তাদের যে কোন একজনের মনে হবে যে তারা চাইলে এখন যুদ্ধে জিততে পারে।
সম্ভাব্য ফলাফল ১: যদি চীন জয়ী হয় তাহলে-
- আমেরিকান ডলারের পতন ঘটবে। চীন ও তার মিত্র দেশগুলা ডলারে লেনদেন বন্ধ করে দেবে। গোন্ড বা চীনের ইউয়ান দিয়ে লেনদেন করতে বাধ্য করা হবে বা মাল্টি কারেন্সিতে আসবে, যুক্তরাষ্ট্রকেও অন্য দেশের মুদ্রায় লেনদেন এ বাধ্য করবে। কারণ পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশই এখন চীনের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশী পরিমাণ পণ্য ক্রয় করে।
- জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী মেম্বার পরিবর্তন হবে বা জাতিসংঘ এর বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন হবে।
- পৃথিবীর বেশীরভাগ পোর্ট, শিপিংরুট, এয়ারপোর্ট এ চিনের একক আধিপত্য থাকবে।
- যেহেতু ডলার থাকবে না। সেহেতু আমেরিকার ইকোনমিতে ধস নামবে। আমেরিকা এখন প্রচুর পাবলিক ডেপ্ট নিয়ে আছে। তখন এটা বিশাল সমস্যা হবে কারন নিজের ছাপানো টাকা অত শক্তিশালী থাকবে না।
সম্ভাব্য ফলাফল ২: যদি আমেরিকা জয়ী হয় তাহলে-
- আমেরিকা আগামী ৫০ বছরের জন্য নিজের সুপার পাওয়ার খেতাব টিকিয়ে রাখবে।
- চিনের কম্যুনিস্ট পার্টির পতন হবে।
- চীন ভেঙ্গে কয়েকটা রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে।
- চীন এ গণতান্ত্রিক সরকার আসতে পারে।
- চীনের ইকোনমি পুরাপুরি ধংস হবে আর তার বর্তমান ব্যবসার বেশিরভাগ অন্যান্য দেশ এ চলে যাবে। বিশেষ করে সাউথ এশিয়া, সাউথ ইস্ট এশিয়া এবং আফ্রিকাতে। আর সব কন্ট্রোল থাকবে আমেরিকা আর তাদের মিত্রদের হাতে।