গবেষণার কাজে চীনের থেকে বহু পিছিয়ে ভারতবর্ষ
নিউজ ডেস্কঃ রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্টই হচ্ছে একমাত্র উপায় যা কোন দেশকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ করে তুলতে পারার জন্য। তা সে যে কোন প্ল্যাটফর্মেই হোক না কেন ডিফেন্স, শিক্ষা, মেডিক্যাল সব সেক্টরেই। আজ আমেরিকা, রাশিয়া, ইসরাইল,ইউরোপের দেশগুলো ডিফেন্স প্রোডাক্ট এত ভাল তৈরি করে তার পেছনেও রয়েছে তাদের প্রচুর বিনিয়োগ। ভারত ICBM , সুপারসনিক মিসাইল তৈরি করে অথচ ভালমানের বন্দুক বাইরে থেকে ক্রয় করতে হয়, AK-203 ক্রয় করতে হচ্ছে, ভাবতে পারেন ভারত SSBN তৈরি করছে কিন্তু কনভেনশনাল ডিজেল ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন তৈরি করে না, যার জন্য ভারতবর্ষ ফ্রান্স থেকে স্করপিয়ান সাবমেরিন ক্রয় করছে। তার মানে কি ভারতের ক্ষমতা নেই বন্দুক বা সাবমেরিন তৈরির? ব্যপারটা হচ্ছে এইসব সেক্টরে কোন বিনিয়োগ নেই এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। এটা কিছুই নয়, ভারতবর্ষের ১২০০ এর উপর মিগ বিমান ক্রয় এবং ২৭০+ সুখোই ৩০ পরও ভারতবর্ষ কোন টেকনোলজি হাতে পাইনি। এটা ভারতের কূটনৈতিক ব্যর্থতা ছাড়া অন্য কিছু বলা যেতে পারে??
বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইকের সময় এয়ারফোর্স এর মাথায় আসল মিরাজ ২০০০ ছাড়া ভাল কোন গ্রাউন্ড অ্যাটাক যুদ্ধবিমান ই নেই!!! মিরাজ ২০০০ ২০২০ তেও এত প্রভাবশালী কিন্তু ভারতবর্ষ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৪৬ টা ক্রয় করে।অথচ মিগ সিরিজের প্রচুর বিমান ক্রয় করে গেছে! ১৫০ মিরাজ ২০০০ থাকলে এয়ারফোর্স এর চেহারাই অন্যরকম হত বলে মত বিশেষজ্ঞদের। প্রথমথেকেই কূটনৈতিক ব্যর্থতা। দেখা গেল ৩৬ টা রাফায়েল আসার পর আর হয়ত রাফায়েল ক্রয় হল না বরং আমেরিকা কে খুশি করতে F-15EX ক্রয় করা হল। কারন ভারতবর্ষের ইতিহাসে মিরাজ এর মত বিমানকেও অবহেলা করেছে।
এরজন্য বারবার বলা হয় স্বনির্ভর হতে গেলে রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট দরকার, যতবেশি বিনিয়োগ পরে তত ভাল ফল পাওয়া যায়। একটা কথা কি জানেন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পরার পর রাশিয়ার কাছে এমন সব প্রযুক্তি ছিল যা রীতিমতো অত্যাধুনিক যা অর্থের অভাবে সম্পূর্ন করতে পারে নি কিন্তু চীন রাশিয়া থেকে এমন অনেক প্রযুক্তি নিয়ে নিজেরা আরো বিনিয়োগ করে সম্পূর্ণ করেছে কিন্তু ভারতবর্ষ সেই সুযোগ টা নিতে পারি নি, কথাটা খারাপ হলেও সত্যি। ভারতবর্ষ বিনিয়োগ করতে পারেনি-
নীচে কয়েকটি দেশের নাম ও তারা রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট বাবদ কত খরচ করে তার হিসেব দেওয়া হল:——
১) ভারত :— জিডিপির 0.89% = 27 বিলিয়ন ডলার
২) চীন :— জিডিপির ১.৫২% = ২১৪ বিলিয়ন ডলার
৩) আমেরিকা:- জিডিপির ২.৬৮% = ৫৩২ বিলিয়ন ডলার
৪) ফ্রান্স :– জিডিপির ২.৪৫% = ৬৭ বিলিয়ন ডলার
৫) ইসরাইল :- জিডিপির ৪.৫৫% = ১৮ বিলিয়ন ডলার
তবে ইতিমধ্যে পরিমানু সাবমেরিন থেকে শুরু করে তেজাসের মতো যুদ্ধবিমানের প্রডাকশান রেট বাড়ানো হয়েছে। আসতে আসতে অর্থাৎ এই দশকে নৌসেনা থেকে শুরু করে বায়ুসেনা বিরাট অত্যধুনিক অস্ত্র পেতে চলেছে। তবে রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্টের জন্য আরও বিনিয়োগ দরকার বলে মত একাধিক সামরিক বিশেষজ্ঞদের।