সুখোই কে সুপার সুখইতে আপগ্রেড। কি কি বেশী সুবিধা পাবে ভারতবর্ষ?
নিউজ ডেস্কঃ সুখোই-৩০ এমকেআই ভারতবর্ষের বায়ুসেনার ব্যাকবোন যুদ্ধবিমান বলা হয়ে থাকে। যুদ্ধবিমানটি ভারতবর্ষের হাতে থাকলেও এর প্রজেক্ট শুরু হয় ১৯৯৫ সালের শুরুর দিকে। সুখোই-২৭ বিমানের উপর নির্ভর করে এবং সুখোই-৩৭ নামে একটি প্রোটোটাইপ এবং সুখোই -৩০ বিমানের টেকনোলজির মিশ্রনে সুখোই-৩০ এমকেআই বিমান তৈরি করা হয়েছে। সুখোই-৩৭ তৈরি করা হয়েছিল সুখোই-২৭ এম নামক একটি বিমানের পাইলট ট্রেনিং এর জন্য। এই সুখোই-২৭ এমকে এখন সুখোই-৩৫ বলা হয়। সুখোই-৩০ এমকেআই এবং সুখোই-৩৫ এ অনেক সাদৃশ্য আছে। এই সুখোই-৩০ এমকেআই চাইনিজ ভার্সন এমকেটু এর থেকেও অত্যাধুনিক। রাশিয়া নিজের বিমানবাহিনীতেও এই বিমান ব্যবহার করে যার নাম সুখোই-৩০ এসএম। ভারতীয় সুখোই-৩০ এমকেআই এর অ্যাভনিক্স, ডিসপ্লে, নেভিগেশন, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সুট তৈরি করেছে রাশিয়া, ভারত, ইসরায়েল ও ফ্রান্স।
১৯৯৬ সালের ৩০ নভেম্বর ভারত রাশিয়ার সাথে ১.৪৬২ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করে ৫০ টি সুখোই-৩০ এমকেআই ক্রয় করার। মোট পাচটি ব্যাচে এই সুখোই-৩০ এমকেআই সাপ্লাই দেওয়া হয় ভারত কে। প্রথম ব্যাচে আসে আটটি সুখোই-৩০ এমকে যা একদম বেসিক ভার্সন, দ্বিতীয় ব্যাচে আসে ১০ টি সুখোই -৩০ এমকেআই যাতে ইসরায়েল ও ফ্রান্সের অ্যাভনিক্স ছিল। তৃতীয় ব্যাচে আসে ১০ টি সুখোই -৩০ এমকেআই যাতে ক্যানার্ড ছিল, চতুর্থ ব্যাচে আসে ১২ টি সুখোই -৩০ এমকেআই এবং শেষ ব্যাচে আসে ১০ টি সুখোই -৩০ এমকেআই যাতে AL-31 ইঞ্জিন ছিল।
এই মহূর্তে ভারতীয় বিমানবাহিনীতে মোট ২৬০ টি সুখোই -৩০ এমকেআই রয়েছে। ভারত মোট ২৭২ টি সুখোই -৩০ এমকেআই অর্ডার দিয়েছিল কিন্তু ১২ টি সুখোই বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নষ্ট হয়ে যায়। ২৭২ টি সুখোই এর মধ্যে রাশিয়া থেকে সরাসরি কেনা হয় ৫০ টি এবং বাকী ২২২ টি লাইসেন্স নিয়ে ট্রান্সফার অফ টেকনোলজির মাধ্যমে হিন্দুস্তান এরোনটিকস লিমিটেড ভারতেই তৈরি করেছে। হ্যালের কোরাপুট ডিভিশনে সুখোই এর AL-31 ইন্জিন তৈরি হয়, লক্ষনৌ ও হায়দ্রাবাদে বিমানের অন্যান্য পার্টস তৈরি হয় এবং নাসিকে ফাইনাল ইন্ট্রিগেশন ও টেস্টিং হয়।
ভারত ১৯৯৬ সালে ৫০ টি সুখোই -৩০ এমকেআই অর্ডার দিয়েছিল, ২০০০ সালে ১৪০ টি সুখোই এর অর্ডার দেওয়া হয়, ২০০৭ সালে আরও ৪০ টি সুখোই এবং ২০১০ সালে ৪২ টি সুখোই ৩০ এমকেআই এর অর্ডার দেওয়া হয়।
বিমানটিতে ২ টি AL-31 ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে যা ১২৩ KN থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম। এর সর্বোচ্চ গতি ২১২০ কিমি/ঘন্টা। এর রেঞ্জ ৩০০০ কিমি।