রাশিয়া

রাশিয়ার ইঞ্জিনের মান নিয়ে কেন প্রশ্ন উঠছে বারবার?

নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়া তাদের সিঙ্গেল ইঞ্জিন পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সামনে নিয়ে এসেছে। এই যুদ্ধবিমান সামনে নিয়ে আসার পর সামরিক বিশেষজ্ঞদের পছন্দ হলেই এই যুদ্ধবিমান নিয়ে অনেক কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে। স্টেলথ ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য এর ডিসাইন দারুন হয়েছে, পাশাপাশি রেডার সিগনেচার কম করানোর উপর ও কাজ করা হয়েছে। 

তবে কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন আছে।

রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সুখই সু ৫৭ এর রেডার ভালো মানের হলেও রাশিয়ার এসা রেডার বেশ সন্দেহজনক। অতয়েব এই যুদ্ধবিমানটির রেডার ছোট হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। সেখানে রেডারে কতোটা টি আর মডিউল থাকবে সেই নিয়েও প্রশ্ন আছে। 

দ্বিতীয় এই যুদ্ধবিমানের ডিসাইন। যেমন ধরুন আমেরিকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এফ ৩৫ এর ডিসাইন এক্স ৩৫ এর ডিসাইন ৯০ এর দশকে হলেও এটি সার্ভিসে আসে ২০১৫ তে। অর্থাৎ প্রায় ২০ বছরের মতো সময় লেগেছিল এই যুদ্ধবিমানের এর সেন্সরের উন্নতির জন্য। পাশাপাশি ডাটা ফিউশান থেকে শুরু করে রেম কোটিং এর ক্ষেত্রে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে সাধারনত রাশিয়ার যুদ্ধবিমান গুলির ইঞ্জিনের লাইফ টাইম অনেকটা কম। পাশাপাশি “টাইম বিটুইন ওভারহলিং” ( TBO ) পশ্চিমি ইঞ্জিনের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে ৪ভাগের এক ভাগ কিছু তার থেকেও কম। 

সুতরাং এই সকল বিষয় মাথায় রেখে ভারতবর্ষ যদি এই যুদ্ধবিমান ক্রয় করে তাহলে বলে রাখা ভালো যে এই যুদ্ধবিমানের এ্যভিয়নিক্সে বড় সংখ্যায় পশ্চিমি (বিশেষত ফ্রেঞ্চ ও ইজ্রাইলি) সেন্সরের সাথে ভারতীয় সেন্সর যোগ করতে হবে। পাশাপাশি ইসরায়েলের BNET SDR কমিউনিকেশান লিংক আর ভারতর উত্তম এসা রেডার ভালো অপশান হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.