কেন ১৫ বছর সময় লেগেছিল তেজাসকে মোতায়েন করতে?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের দেশীয় টেকনোলোজিতে তৈরি যুদ্ধবিমান তেজাস। ইতিমধ্যে ভারতের বায়ুসেনায় সার্ভিসে আছে। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন যে তেজাস তৈরি করতে কেন এত সময় লেগে গেল? আসলে কোনোদিন ভেবে দেখেছেন যে সময় সেভাবে বেশি লাগেনি। অসুবিধাটা অন্য জায়গায়।
LCA তেজস প্রজেক্টে এত সময় কেন লাগল? একটা এয়ারক্রাফট রাতারাতি তৈরি হয় না, দীর্ঘ সময় লাগে লাগে। ইউরোফাইটার টাইফুন অর্থাৎ ইউরোপের অন্যতম সেরা যুদ্ধবিমান যা ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ ব্যবহার করে, ফ্রান্সের এই যুদ্ধবিমান পছন্দ না হওয়ায় রাফালে তৈরির পরিকল্পনা করে। তবে এই দুই যুদ্ধবিমান ই ১৯৮৬ সালে প্রথম ফ্লাইট টেস্ট হয় এবং যথাক্রমে ২০০৩ ও ২০০১ সালে সার্ভিসে আসে,অর্থাত ১৭ বছর এবং ১৫ বছর সময় লাগে।
আমেরিকার অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান F-35 ২০০০ সালে প্রথমবার আকাশে উড়তে দেখা যায় এবং ২০১৬ সালে অর্থাত ১৬ বছর পরে সার্ভিসে আসে। F-22 র্যাপ্টর অর্থাৎ আমেরিকার তৈরি বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম সেরা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ১৯৯০ সালে প্রথম ফ্লাইং করে যা ২০০৫ সালে সার্ভিসে আসে অর্থাত ১৫ বছর পর। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এলসিএ তেজস ২০০১ সালে প্রথম ফ্লাইং করে এবং ২০১৬ সালে সার্ভিসে আসে অর্থাত ১৫ বছর পর। সুতরাং কোথায় দেরি মনে হচ্ছে?
ইউরোফাইটার টাইফুন প্রজেক্ট শুরু হয় ১৯৭৭ সালে এবং ৯ বছর পর প্রথম ফ্লাইট হয়, সেখানে তেজস প্রজেক্ট শুরু হয় ১৯৯৩ সালে এবং ৮ বছর পর প্রথম ফ্লাইট টেস্ট হয় সত্যি কি দেরি হচ্ছে?। আসলে ভারতবর্ষের প্রডাকশান রেট বাড়ানো উচিৎ। তবে ইতিমধ্যে তেজাসের প্রডাকশান রেট বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবছর ১৬ টি করে তেজাস উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে।