পৃথিবী

গৃহযুদ্ধের ফলেই আরবের মতো দেশের জন্ম হয়েছিল

নিজস্ব সংবাদদাতা: ইয়েমেনের রাগট্যাগ বিদ্রোহীরা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য হয়ে উঠছে এক বড়োসড়ো বিপদ সংকেত। তারা প্রমাণ করছে যে সামরিক শক্তি যতোই ক্ষমতাশালী হোক না কেনো এক নির্দিষ্ট সীমা আছে তার ও। কিন্তু, পরিস্থিতি এতটা খারাপ হলো কিভাবে? সংঘর্ষের সূচনাই বা কোথায়? সেই সব বুঝতে গেলে শুরু করতে হয় একেবারে গোড়া থেকে। 

একেবারে ১৯০৪ সালের শুরু থেকেই, ইয়েমেনের মাটিতে ক্রমে তৈরি হতে থাকে এমন এক সেনাবাহিনী যা সংখ্যায় ছিলো সে দেশের পুরোনো যাবতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম। মেহমেত রেজা পাশার নেতৃত্বে সেই সময় একত্রিত করা হয়েছিল আধুনিক ইউরোপীয় কৌশলে প্রশিক্ষিত, আধুনিক রাইফেল ও আর্টিলারি দিয়ে সজ্জিত ২৬,০০০ সৈন্য বিশিষ্ঠ আলাদা আলাদা পাঁচটি ব্রিগেড। বিশাল এই বাহিনীর একমাত্র লক্ষ্য ছিল সশস্ত্র এবং অপ্রশিক্ষিত জায়েদি বিদ্রোহীদের সবংশে নির্মূল করা; কারণ, তারা সম্রাট দ্বিতীয় সুলতান আহমেদের শক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল।

ওই একই বছরে, ফেব্রুয়ারি মাসের এক বিকেলে, মরুভূমি গ্রাস করেছিল সেই বিশাল শক্তিকে। ইয়াজিল পর্বতমালার কাছে অতর্কিত হামলায় অটোমান ব্রিগেড পুরোপুরিভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এর ঠিক এক বছরের মধ্যেই, ১১০,০০০ জন তুর্কি সৈন্যর মধ্যে ইয়েমেনে হতাহতের শিকার হয় প্রায় ২৫,০০০ জন। এরপর, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সাম্রাজ্য ভেঙে যায় ঠিকই কিন্তু জায়েদীরা ঠিক টিকে যায়।

নতুন বছরের প্রথম মাসেই, হুথি বিদ্রোহীরা সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করলে দুই দেশের জেনারেলরা খুব সম্ভবত একবার হলেও পুরোনো সেই বিপর্যয়মূলক দিনগুলোর কথা স্মরণ করছিলেন। আমেরিকার তৈরি THAAD ইন্টারসেপ্টর সিস্টেম আগত মিসাইলগুলিকে গুলি করে মাটিতে নামতে সক্ষম হয়েছিলো ঠিকই, তবে, হুথিরা প্রমাণ করে দেখিয়েছে যে তারা তাদের শত্রুদের কাছে হার মানতে নারাজ বরং দরকারে শত্রুদের মেরে রক্তাক্ত করতেও ছাড়বে না তারা। এই মুহূর্তে হুথি ক্ষেপণাস্ত্রগুলি মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত তেল খনির পাশাপাশি পারস্য উপসাগর এবং লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের জন্যেও এক বড়সড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির জন্যও এই ঘটনাগুলো নেহাত ভালো খবর নয়।

২০১৫ সালে, সৌদি আরব যখন ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে, তখন বিশেষজ্ঞরা আন্দাজ করেছিলো যে সমগ্র বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে সৌদির সপ্তাহ ছয়েকের বেশি সময় লাগবে না। পূর্বের তুর্কি শাসকদের মতোই তারা নিজেরাও নিজেদের ক্ষমতা নিয়ে এতটাই মোহচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল যে চোখের সামনে থাকা সমস্যার আসল রূপ চিনতে ভুল হয়ে গেছিলো তাদের। অথচ, হাজার খানেক বোমা এবং কয়েক হাজার বেসামরিক মৃত্যুর পর পরিস্থিতি এমনই জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে সমস্যার সমাধান এক প্রকার প্রায় অসম্ভব। 

বিগত প্রায় দীর্ঘ এক হাজার বছরের মধ্যে বেশির ভাগ সময়টাই উত্তর ইয়েমেন শাসন করেছে হুথি জনগোষ্ঠী নামে পরিচিত শিয়া জায়েদি সম্প্রদায়ের অনুগামীরা।ন্যান্য অনেক ধর্মীয় মতাদর্শের মতোই জায়েদি বিশ্বাসও শক্তিশালী বহিরাগত শক্তির শিকারের মুখে পড়ে উত্তর ইয়েমেনের উপজাতীয় জোটগুলিকে একত্রিত করে তাদের রাজনৈতিক পরিচয়কে সুসংহত করতে সাহায্য করেছিল। বর্তমানে, আঞ্চলিক ও সাম্রাজ্যিক শক্তির চাপের মুখে পরে তাদের পুরোনো ইমাম মেনে চলা শাসন ব্যবস্থা হ্রাস পেয়েছে ঠিকই তবে তাদের শাসন কিন্তু বিলুপ্ত হয়নি সম্পূর্ণ ভাবে।

১৯৬২ সালে, আধুনিক সামরিক শিক্ষায় শিক্ষিত এক নতুন প্রজন্মের সামরিক বাহিনীর দ্বারা উৎখাত করা হয়েছিল ইমামতিকে। বহু বছর ধরে ক্রমাগত চলা গৃহযুদ্ধ শেষ পর্যন্ত ইয়েমেন আরব প্রজাতন্ত্রের জন্ম দেয়। নতুন এই জাতির জন্ম দক্ষিণে দীর্ঘ ব্রিটিশ ঔনিবেশিকতার অবসান ঘটিয়ে জন্ম দেয় ইয়েমেনের সমাজতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র-এর।

এই দুই নব্য গঠিত রাষ্ট্রের সম্পর্ক শান্তিপূর্ণ ভাবে শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত আলাদা আলাদা আঞ্চলিক স্পন্সরদের ওপর নির্ভরশীলতা, ঠান্ডা যুদ্ধের সময় দুই দেশের দুই আলাদা আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বশক্তির সমর্থন পাওয়া তাদের বন্ধুত্বকে যুদ্ধের কিনারায় দাঁড় করিয়েছিলো।

অপরদিকে,১৯৮০ এর দশক থেকে, সৌদি আরব উত্তর ইয়েমেনে তাদের ধর্মীয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা শুরু করে। দীর্ঘকালের সামরিক শাসক শক্তিশালী আলী আবদুল্লাহ সালেহের সঙ্গে সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে সৌদি আরব ইয়েমেনে ধর্ম প্রচার এবং হুথিদের ধর্মান্তরিত করার জন্য পাঠায় কিছু রাষ্ট্র-সমর্থিত ধর্ম প্রচারকদের। এতে হিতে বিপরীত হয়। জায়েদীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় এক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার। ইরান দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, আনসার আল্লাহ নামে পরিচিত প্রধান এক হুথি সশস্ত্র গোষ্ঠী লড়াই শুরু করে জায়েদি ধর্মতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য।

১৯৯০ সালে দুটি ইয়েমেনি রাষ্ট্র একীভূত হলেও সেই শান্তি স্থায়ী হয়নি খুব বেশিদিন। ২০০৪ সালে জায়েদি ধর্মগুরু হুসেইন বদরেদ্দিন, আল-হুথি সালেহ-নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, ২০১০ সাল পর্যন্ত সালেহ-নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলেছিল প্রায় ছয় দফায়। এই ডামাডোলের মাঝেই চিন্তা আরো বাড়িয়ে দক্ষিণ ইয়েমেনে নাটকীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে ফেলে আল-কায়েদা।

২০১১ সালে, যখন তথাকথিত আরব বসন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র পশ্চিম এশিয়া জুড়ে , তখন ইয়েমেনে এক ব্যাপক গণবিক্ষোভ সালেহকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য করে। পরিস্থিতির তীব্রতা অনুধাবন করে গলফ কো- অপারেশান কাউন্সিল একটি চুক্তির মাধ্যমে, আবদু রাব্বু মনসুর হাদিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়নি তার শাসনও।

দক্ষিণ সীমান্তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামে সৌদি আরব। তাদের বিশ্বাস ছিলো আরব একবার যুদ্ধে নামলেই তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র, উন্নত সামরিক শিক্ষার সামনে মাথা নত করে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য হবে হুথিরা। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে হুথিদের সানা থেকে বের করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে দীর্ঘস্থায়ী শত্রু সালেহের সাথে মিত্রতা করে একসাথে পরপর কয়েকটি বিমান হামলা চালানো হয় ইয়েমেনে। কিন্তু লাভ হয়নি কিছুই। ভেঙ্গে পরার পরিবর্তে সৌদি আরবের এই হস্তক্ষেপ ওই অঞ্চলে জন্ম দিয়েছে আরো প্রায় হাফ ডজন সংঘর্ষের। 

সংঘর্ষের মাঝেই হুথিরা ইয়েমেনের উত্তরে নিজেদের শক্তিকে করেছে সুসংহত। একই সাথে ইরানের ধর্মতন্ত্রের উপর তারা প্রতিষ্ঠা করেছে নিজস্ব এক আধা-রাষ্ট্রের মডেল। উল্লেখ্য, এক অস্থাবর, ছোট সেনাবাহিনী গঠন করে সৌদির প্রথাগত শ্রেষ্ঠত্বকে অপ্রাসঙ্গিক করে তোলা এই বিদ্রোহ কিন্তু সৌদিকে হারিয়ে বিজয়ী হয়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য নয় বরং সৌদির রাজত্বকে অস্বীকার করার জন্য। প্রশ্ন ওঠে হুথিদের এতো সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে কোন দেশ? উত্তর সহজ – ইরান। এই সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ড্রোন থেকে শুরু করে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের বিভিন্ন উপাদান। সৌদি রাজত্বের বিরুদ্ধে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার অংশ হিসাবেই যে ইরান হুথিদের সাহায্য করছে একথা আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আলী আবদুল্লাহ সালেহ তার হুথি শত্রুদের হাতে নিহত হওয়ার পর বর্তমানে লোহিত সাগরের কাছে হুদাইদাহতে হুথি ফ্রন্টলাইন বরাবর, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ভাতৃপুত্র তারিক সালেহ নিজের একটি ছোট রাজ্য পরিচালনা করছেন। উল্লেখ্য, শত্রুতে পরিণত হওয়া এই হুথিরাই কিন্তু এক সময় ছিলো রাষ্ট্রপতির খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ।

তাইজ শহরের চারপাশে, হুথিরা মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে সংযুক্ত ইসলাহের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অর্জনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত-সমর্থিত দক্ষিণ ট্রানজিশনাল কাউন্সিল দক্ষিণের বন্দর শহর এডেনের সঙ্গে সঙ্গে সোকোট্রা দ্বীপেরও অধিকারী। উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থনে নব্য-মৌলবাদী জায়ান্ট ব্রিগেড দ্বারা ক্ষমতার দখলের ঘটনাটি ঘটেছে একেবারে এডেনের উত্তরে অবস্থিত লাজের সম্মুখেই।

হাদরামাত প্রদেশটি UAE-সমর্থিত হাদরামি এলিট ফোর্সের মধ্যে বিভক্ত। তারা বর্তমানে উপকূল এবং ইসলাহ নিয়ন্ত্রণ করে। যেখানে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হাদিরের ইউনিটগুলি মারিব এবং শাবওয়ার অঞ্চলে গ্যাস ফিল্ডগুলিকে ধরে রাখতে ব্যস্ত সেখানে ইয়েমেনের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত আল-মাহরা সাক্ষী থাকছে স্থানীয় উপজাতিদের সাথে ওমান এবং সৌদি আরবের ক্ষমতা অধিকারের লড়াইয়ের।

এছাড়াও এখানে রয়েছে আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের একাধিক গোষ্ঠীর যোদ্ধারা। আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের এই সৈন্যরা বিভিন্ন অঞ্চলের বেশ খানিকটা অংশ যেমন নিয়ন্ত্রণ করে তেমনি নিয়ন্ত্রিত ওই প্রত্যেকটি অঞ্চলকে আবার ব্যবহার করা হচ্ছে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হামলা চালানোর সম্ভাব্য পটভূমি হিসাবে।

ইরান এবং সৌদি আরব এখন নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ঠিকই তবে, এক বার যুদ্ধ শুরু করে ফেলার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া আর কোনোভাবেই মনে হয়না সম্ভব। তেহরান এবং রিয়াদ উভয়ই তাদের প্রক্সি থেকে পিছিয়ে যেতে অনিচ্ছুক। তাদের বিশ্বাস যুদ্ধ বন্ধ হলে ব্যাপারটা পরিস্থিতির নিরিখে এমন এক বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক সংগ্রামে পরিণত হতে পারে, যাতে আখেরে উভয় শাসনের অস্তিত্বই ঝুঁকির মুখে পড়বে। সবচেয়ে বড় কথা, ইয়েমেনের অভ্যন্তরে এমন কিছু লোভী জাতিগত এবং ধর্মীয় শক্তির-দালালরা রয়েছে যারা নিজেদের সম্পদ এবং প্রভাব সুরক্ষিত করার জন্য পুরোপুরিভাবে নির্ভরশীল এই যুদ্ধের ওপর। ফলে, এতো সহজে যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

দুঃখজনকভাবে, বিশ্ব আজ এরকমই হাজারো সংকটের মুখোমুখি। আফগানিস্তান, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, সিরিয়া, লিবিয়া, মায়ানমার থেকে শুরু করে মেক্সিকো তালিকায় নেই নেহাত কম দেশের নাম। একের পর এক রাজ্য বিলুপ্ত হচ্ছে, শাসন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে। কিন্তু, এতো বড়ো সংকট মোকাবিলার জন্য না রয়েছে পর্যাপ্ত সম্পদ আর না তো ইচ্ছা! অথচ, ঠিক ভাবে সামাল দেওয়া না গেলে হয়তো এই রকম এক বিপর্যস্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থাই তৈরি করবে পরবর্তী আরেক ৯/১১ এর পটভূমি। সঙ্কট বৃদ্ধি পেলে কোনোরকম মদ্ধস্ততার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করে, সোজা যুদ্ধের ময়দানে নামা যে সংকটের অবসান ঘটানোর বদলে গোটা পরিস্থিতিকে আরো ভয়ংকর করে তোলে তার প্রমাণ বিশ্ব পেয়েছে বহুবার। তবু, একই ঘটনার পুনরবৃত্তি ঘটছে বারবার।

রোমের বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল ধরে চলা ডালমেশিয়ান বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়া বাটো এক সময় তার সাম্রাজ্য বন্দীদের বলেছিলেন: “তোমরা রোমানরাই তোমাদের এই অবস্থার জন্য দায়ী; ভেড়ার পালের রক্ষক হিসেবে তোমরা কুকুর বা মেষপালকের বদলে পাঠাও, নেকড়ে।” কথার তাৎপর্য কে কতটা বুঝেছিলো সন্দেহ তবে, বিশ্বশক্তিগুলোর এই কথা সব সময় স্মরণে রাখা প্রয়োজন। কেনো? তার উত্তর পাওয়া যায় চোখের সামনে ইয়েমেন সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমাগত ঘটে চলা বিভিন্ন সংঘর্ষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.