আকাশ থেকে আকাশে আক্রমণ করতে ভারতবর্ষের যুদ্ধবিমানে মিসাইলের রেঞ্জ বাড়ছে
নিউজ ডেস্কঃ দেশীয় মিসাইলের চাহিদা আসতে আসতে বাড়ছে সেনাবাহিনীতে। পাশাপাশি ডি আর ডি ও এবং হ্যাল যেভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে তা আগামি দিনে ভারতীয় সেনাকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। ভারতের দেশীয় প্রযুক্তির যুদ্ধবিমানে দেশীয় মিসাইল থেকে শুরু করে দেশীয় রেডার রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। আর সেই কারনে একাধিক দেশীয় মিসাইলের উপর নজর দেওয়া হচ্ছে। অস্ত্র মার্ক ২। কিছুদিনের মধ্যেই এই মিসাইলের পরীক্ষা করতে দেখা যাবে।
মার্ক ১ হাতে রয়েছে বর্তমানে সেনাবাহিনীর। এই মিসাইল ভারতের তৈরি প্রথম এয়ার টু এয়ার মিসাইল। ২০১৯ সালে সার্ভিসে আসে এই মিসাইল। ভারতের বায়ুসেনার এবং নৌসেনার কাছে রয়েছে। সেনাবাহিনীর সুখই সু ৩০, মিরাজ ২০০০, তেজাস, মিগ ২৯ এর মতো যুদ্ধবিমানে মোতায়েন করা আছে এই মিসাইল।
খুব শীঘ্রই ডিআরডিও এর তৈরি অস্ত্র মার্ক-২ এর ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে। ২০২২সালের মধ্যে বিমানবাহিনীতে যুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বেশ কিছু সূত্রের মতে এর রেঞ্জ ১৬০কিমি বলা হলেও তা বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। একাধিক সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে ইন্ডাক্সানের সময় এর রেঞ্জ বেড়ে ২০০+কিমি হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এর আগেও এমন হয়েছে বেশ কয়েকবার। অস্ত্র-১ এর রেঞ্জ ৮০কিমি বলা হয়েছিল। তবে শেষে তা বেড়ে দাড়ায় ১১০ কিমি। পরবর্তী প্রজন্মের এ্যন্টি রেডিয়েশান মিসাইল বা রূদ্রম-১ ১০০কিমি বলা হয়েছিল। পরে বেড়ে দাড়ায় ১২৫কিমি। বর্তমানে তা বলা হচ্ছে ২০০কিমি। আকাশ মার্ক-২ বা এনজি ৫০-৬০কিমি বলা হয়েছিল। তা ও বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৭০কিমি। প্রথম ডেভেলপমেন্ট ট্রায়ালের শেষে রেঞ্জ ৭০কিমি বলা হলেও ইউজার ট্রায়াল শেষে তা বেড়ে ৯০কিমি হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।