ইসরায়েল সাথে ভারতবর্ষের সম্পর্ক ভালো হওয়ার পেছনে কি কারন রয়েছে?
নিউজ ডেস্কঃ ইতিমধ্যে চীনের বেশ কিছু যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। পাকিস্তানের হাতে বেশ কিছু জে এফ ১৭ যুদ্ধবিমান গুলি রয়েছে তার মধ্যে ইতিমধ্যে বেশ কিছু ধ্বংস হয়েছে। এমনিতেই চীনের যুদ্ধাস্ত্র গুলিতে যে টেকনিক্যাল সমস্যা রয়েছে তা প্রকাশ্যে এসেছে। তবুও তাদের কাছ থেকে পাকিস্তানের পাশাপাশি আফ্রিকার প্রচুর দেশ যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করে, বিশেষ করে তাদের জিনিসের দাম কম হওয়ার কারনে। তবে তাদের এই জে এফ ১৭ বিমান গুলি এতো পরিমাণে ধ্বংস হয়েছে কেন?
জে এফ-১৭ এর সব থেকে বড় অসুবিধা হল এর নিজের ডিজাইন। জেএফ-১৭ কে প্রথমে সোভিয়েত তারপর চীন অনেক কারন বশতই বাতিল করেছে। যথেষ্ট কারন ছিল। তার মধ্যে একটি হল জেএফ-১৭ এর উইং বা ডানা প্রথমত তার বডির তুলনায় যথেষ্ট ছোট। দ্বিতীয়ত জেএফ-১৭ এর ডানা এয়ার ইনটেকের ওয়ালের সাথে যুক্ত। এর সব থেকে বড় অসুবিধা হল এর ফলে জেএফ-১৭ ১০০০কেজির বোম্ব কখনও বহন করতে পারে নি। কারন ডানার পুরো চাপটা এয়ার ইনটেকের ওপর পড়ে। যার ফলে বিমানের মূল বডির শুধু সেই অংশে চাপ পড়ে যেখানে এয়ার ইনটেকের ওয়াল বিমানের বডির সাথে যুক্ত হয়েছে। ওয়েট বডিতে ঠিক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে না। স্বাভাবিক ভাবে এর জন্য আজও জেএফ-১৭ পাকিস্তানের “রাদ” ক্রুজ মিসাইল নিয়ে কখনও উড়তে পারে নি। তার সব থেকে বেশি ভারি অস্ত্র যা এটা নিজের inner pylon hardpoint এ বহন করে তা হল ৭১৫কেজির সি-৮০২ ক্রুজ মিসাইল। যার প্রথমে ওজন ৮১৫কেজি। যাতে জেএফ-১৭ এটা বহন করতে পারে তাই এর ওজন কমানো হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে এর রেঞ্জের সাথেও অবশ্যই সামঞ্জস্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজসের উইং তেজসের বডির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। ফলে তেজস inner pylon hardpoint এ ২০০০পাউন্ড বা ১০০০কেজির বোম্বের সাথেও উড়তে দেখা গেছে। এবং ভবিষ্যতে ব্রাহ্মোস-এনজি বহন করবে। যদিও সেই ব্রাহ্মোস এনজি এ্যন্টি শিপ মিসাইল হবে না এ্যন্টি এ্যওয়াক্স তা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে তার ওজন যে ১০০০কেজির বেশি হবে সেটা অবশ্যই।
তেজসের সর্বচ্চ পেলোড কম করে দেখানো আছে । আসলে তেজাসের পেলোড ৩,৫০০কেজি নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে শেষ ছবিতে তেজসের ৪০৫০কেজি পেলোডের কনফিগারেশানের সাথে দেখা গেছে। আর ওটা লিমিটেড সিরিজ প্রোডাক্সানের তেজস যা টেস্টিং এর জন্য তৈরি হয়েছিল। যে তেজস প্রোডাক্সান ভ্যরিয়েন্টে সার্ভিসে তার পেলোড ৪৩৫০কেজি।