ভারত

ভারতবর্ষের সার্ভিসে থাকা বিশাখাপত্তনম এবং কলকাতা ক্লাস যুদ্ধজাহাজের মধ্যে কোথায় পার্থক্য জানা আছে?

নিউজ ডেস্কঃ বিশাখাপত্তনম ক্লাস কলকাতা ক্লাস ডেস্ট্রয়ারের আপগ্রেডেড ভার্সন তাই এই দুটি ক্লাসের ডেস্ট্রয়ারেরই ডিজাইন, ইন্জিন, সোনার এমনকী অস্ত্র সম্ভার সহ অনেক কিছু একই। তবুও কিছু পার্থক্য আছে। 

* প্রজেক্ট পি-১৫ আলফা বা,কলকাতা ক্লাস ডেস্ট্রয়ারের ৫৯% কম্পোনেন্ট ভারতীয় কিন্তু বিশাখাপত্তনম ক্লাস ডেস্ট্রয়ারের ৭২% কম্পোনেন্ট ভারতীয়। 

* বিশাখাপত্তনম ক্লাস ডেস্ট্রয়ারে সোনার পজিশন কলকাতা ক্লাস ডেস্ট্রয়ারের মতন হ্যালে না রেখে জাহাজের সামনের ভাগে রাখা হয়েছে। 

* বিশাখাপত্তনম ক্লাস ডেস্ট্রয়ারের সেন্সর ও স্টেলথ ফিচার আরও অ্যাডভান্সড। 

* বিশাখাপত্তনম ক্লাস ডেস্ট্রয়ারে মোট ক্রু ৩০০ জন, কলকাতা ক্লাস ডেস্ট্রয়ারে মোট ক্রু ৩৩০ জন। অর্থাৎ বিশাখাপত্তনম ক্লাস ডেস্ট্রয়ারে ডিজিটাল ও অটোমেশন টেকনোলজি বেশী যার জন্য অন্তত ৩০ জন ক্রু কম লাগে। 

* বিশাখাপত্তনম ক্লাস ডেস্ট্রয়ারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে রেল লেস হেলিকপ্টার ট্রাভ্যেরসিং সিস্টেম। ডেস্ট্রয়ার সমুদ্রে থাকে, সমুদ্রের উচ্চ জোয়ারে ডেস্ট্রয়ারের হেভি মুভমেন্টের জন্য হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং এ সমস্যা হয়, যার জন্য হেলিকপ্টার কে রেল ব্যবহার করে হ্যাংগারে নিয়ে যাওয়া হয় এই পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল। বিশাখাপত্তনম ক্লাস ডেস্ট্রয়ারে একটি আলাদা পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।

* নেটওয়ার্ক সেন্ট্রিক ওয়ারফেয়ার ক্যাপেবিলিটি থাকবে।

* কমব্যাট ব্যাটেল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও ডিজিটাল পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। 

* বিশাখাপত্তনম ক্লাস ডেস্ট্রয়ারের রেডার ক্রশ সেকশন বা আরসিএস কলকাতা ক্লাস ডেস্ট্রয়ারের থেকে কম, যার জন্য এটি আরও বেশী স্টেলথ।

** বিশাখাপত্তনম ক্লাস ডেস্ট্রয়ারে প্রথমে ঠিক ছিল BAE সিস্টেমের তৈরি ৫ ইঞ্চি ৬২ ক্যালিবারের মার্ক -৪৫ নেভাল গান ইনস্টল করা হবে, যা ১২৭ মিলিমিটার রাউন্ড ফায়ার করে। এর জন্য আমেরিকার সাথে চুক্তি ও হয়ে গেছিল। কলকাতা ক্লাস ডেস্ট্রয়ারে ব্যবহার করা হয় ৭৬ মিলিমিটার এর ইটালিয়ান অটো মেলেরা গান। মার্ক ৪৫ গান প্রতি মিনিটে ১৬-২০ রাইন্ড ফায়ার করতে পারে এবং এর রেঞ্জ ২৪-৩৭ কিমি। কিন্তু অতিরিক্ত দামের জন্য এই গানের বদলে ইটালিয়ান অটো মেলেরা গান ই ব্যবহার করা হচ্ছে, এই গান ভারতে ভেল তৈরি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.