ভারতবর্ষ-ইসরায়েলের যৌথভাবে তৈরি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চীন, পাকিস্তান কেন সমীহ করে?
নিউজ ডেস্কঃ ইসরায়েলের সাথে ভারতবর্ষের একাধিক চুক্তির ফলে যে আখেরে ভারতবর্ষের লাভ হতে চলেছে কমবেশি সকলের কাছেই স্পষ্ট। কারন পৃথিবীর একমাত্র দেশ ইসরায়েল যারা প্রতিনিয়ত যুদ্ধাস্ত্রের প্রয়োগ করেই চলেছে। আর সেই কারনে ইসরায়েলের টেকনোলোজির বা যুদ্ধাস্ত্র ভারতবর্ষের সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বিমানবাহিনী বা নৌবাহিনীর কাছে এক অ্যাসেট।
ভারতবর্ষের হাতে থাকা বারাক ৮ যে চীনের বিরুদ্ধে সবথেকে কঠিন অবস্থান নেবে তা ইতিমধ্যে একাধিক রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে। এস ৪০০ এর পুরো রেজিমেন্ট ভারতবর্ষের হাতে আসলেও কি রোল হিসাবে কাজ করবে বারাক ৮।
ভারতবর্ষের সেনাবাহিনীর হাতে ল্যান্ড বেসড অর্থাৎ ভুমিতেই মোতায়েন থাকবে বারাক ৮ এর অত্যাধুনিক ভার্সন অর্থাৎ যার রেঞ্জ হবে ১০০ কিমি। জানিয়ে রাখা ভালো যে এই বারাক ৮ ইতিমধ্যে ব্যাটেল প্রুভেন, অর্থাৎ যুদ্ধের ময়দানে এর নিজের ভূমিকা প্রমান করেছে।
আর্মেনিয়া আজারবাইজান যুদ্ধে এই বারাক-৮ আজারবাইজানের হয়ে আর্মেনিয়া থেকে ছোড়া একটি রাশিয়ান কোয়াজি ব্যলিস্টিক মিসাইলকে হাইপারসনিক ভেলোসিটিতে থাকা অবস্থায় ইন্টার্সেপ্ট করেছিল।
একটি বারাক-৮ এর ব্যটারিতে ৩২টা মিসাইল থাকে, একটি হাই রেজোলিউশান ফায়ারকন্ট্রোল রেডার এবং একটি উচ্চ প্রোসেসিং সিস্টেমের সাথে কম্যন্ড এ্যন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম। ক্যনিস্টার ব্যবহারের জন্য এর গ্রাউন্ড সিগনেচার কম আর অত্যন্ত দ্রুত এটি একটি জায়গা থেকে অপর জায়গায় স্থানন্তর করা যায় আর দ্রুত মোতায়েন করা যায়।
এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আগামীদিনের যুদ্ধে ভারতের দুই শত্রুকে বিপাকে ফেলতে পারে। কারন চীন এবং পাকিস্তান দুই শত্রুই এর নাগাল পায় নি। যেমন এস-৪০০ এর ক্ষেত্রে আলাদা। আর এমনিতেও বারাক-৮ রেঞ্জে কম হলেও বাস্তবে একটি দূর্দান্ত এফেক্টিভ সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল।
বারাক-৮ এর আরেকটা সুবিধা হল এর মিনিমাম এনগেজমেন্ট রেঞ্জ ৫০০মিটার। অর্থাৎ শত্রু সিস্কিমিং মিসাইলকে চিন্তা করে এটিতে কাউন্টারমেজর মোতায়েন করা রয়েছে। ভবিষ্যতে প্যসিভ সেন্সর যদি মোতায়েন করা হয় তবে এটি রেডার অন না করেও শত্রুর রেডার ওয়েভকে শনাক্ত করে খুব ভালোভাবে চুপি সারে নিজের কাজ করে দেবে।