যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে কেন চাপে রয়েছে ভারতবর্ষ?
নিউজ ডেস্কঃ ভারত যে মিসাইলের যেকোনো দেশকে টেক্কা দিতে পারে তা একাধিক সমীক্ষায় সামনে এসেছে। অত্যাধুনিক টেকনোলোজি রয়েছে ভারতের হাতে, সবকিছু থাকা সত্ত্বেও ভারত দেশীয় টেকনোলোজিতে তৈরি ডিফেন্সিভ ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করতে পারছেনা। যদিও এর পেছনে রয়েছে একাধিক কারন।
DRDO ও আর্মির মধ্যে খানিকটা দ্বন্দ্বের কারনেই একাধিক উন্নতমানের হেলিকপ্টার ভারতের সেনাবাহিনী পাচ্ছেনা।
হ্যাল রুদ্র এবং হ্যাল এলসিএইচ এর প্রধান সমস্যা হচ্ছে এর ওয়েপনস প্যাকেজ। দেশীয় টেকনোলোজিতে তৈরি এই দুটি হেলিকপ্টার এর জন্য কোন ATGM ছিলনা। আর সেই কারনে LCH(লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার) অর্ডার দেওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। হেলিকপ্টার দুটির প্রধান দুই অস্ত্র হচ্ছে বিদেশের। ফ্রান্সের নেক্সটার ২০ mm টুরেট গান ও বেলজিয়ান ৭০ mm রকেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই হেলিকপ্টার গুলি। কিন্তু অ্যাটাক হেলিকপ্টারের প্রধান অস্ত্রই হচ্ছে ATGM। সেটি এখনও নেই ভারতের। আর এই নিয়েই আর্মি ও DRDO এর মধ্যে ঝামেলা।
যদিও DRDO ইতিমিধ্যে হেলিনা ও স্যন্ট ATGM তৈরি করে দক্ষতার সাথে সাফলতা পেয়েগেছে। হেলিকপ্টার দুটিকে অসাধারণ ফায়ার পাওয়ার সাপ্লাই করবে এই ATGM। DRDO দাবি করেছে যে ATGM দুটি প্রোডাকশনের জন্য তৈরি। তবে ভারতীয় সেনা এই মিসাইল দুটিতে খুশি ছিলনা।
ভারতীয় সেনা বিদেশ থেকে এর জন্য যুদ্ধাস্ত্র নিচ্ছে। আমেরিকার AGM-114 হেলফায়ার মিসাইল অথবা ইসরাইলের Spike ER,নইলে MBDA Pars L3 এর। একাধিক বিশেষজ্ঞদের মতে সেনা বিদেশি অস্ত্র ক্রয় করতে চাইছে DRDO কে বাদ দিয়ে। এই কারনেই বহু দিন ধরে এতো ভালো হেলিকপ্টার গুলিকে সম্পূর্ণভাবে সার্ভিসে আনা সম্ভব হচ্ছিল না ।
হ্যাল এর ফেসেলিটি তে ১৫ টা LCH তৈরি হয়ে পড়েছিল বহু বছর ধরে। হ্যাল রুদ্র মার্ক ৪ এয়ারফোর্স ৮ টা ব্যবহার করে এবং ৮ টা অর্ডারে ছিল। অন্যদিকে ভারতীয় সেনা ৫০ টি ব্যবহার করে এবং ১০ টা অর্ডারে আছে। কিন্তু ATGM নেই। ২০১০ সালে প্রথমবার দেখা যায় এই হেলিকপ্টারটিকে। ২৬৯ কিমি/ঘণ্টা বেগে উড়তে সক্ষম এই হেলিকপ্টারটির রেঞ্জ ৫০০ মিটার এবং ৫৮০০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহনে সক্ষম। তবে এখন সব কিছুই মিটে গেছে বর্তমানে প্রায় ২০০ এই গোত্রের হেলি অর্ডারে আছে।