ভারতবর্ষের কাছেই ছিল পৃথিবীর সবথেকে ভয়ঙ্কর তলোয়ার। বাকী দেশে কি ধরনের তলোয়ার ব্যবহার করা হত?
নিউজ ডেস্কঃ বর্তমানে এক দেশ অপরদেশকে ভয় দেখায় সে দেশের কত পরমাণু বোম বা অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে তা দিয়ে। তবে একটা সময় ছিল ছুরি তরোয়াল নিয়েই লড়তে হত।
১) টাইগার হুক সোর্ডসঃ এই তলোয়ারটি বিশেষত্ব চাইনিস কুমফু মার্শাল আর্ট জানা লোকেদের একটা ঐতিহ্যবাহী হাতিয়ার। এটি সাধারণত এক জোড়া থাকে এবং এই তলোয়ারের সামনে হুকের মতো আংটা থাকে। যার দিয়ে শত্রুর অস্ত্র কেড়ে নেওয়া থেকে শুরু করে খুব সহজেই শত্রুকে আঘাত করা যায়। এই তলোয়ারটি ধরার কাছে একধরনের শিল্ড আছে যার উপরিভাগটি খুবই ধারালো। এই তলোয়ারটির আরেকটি বিশেষত্ব হল যে এই দুটি তলোয়ারের মাথার হুক পরস্পরযুক্ত করে দূরে থাকা শত্রুকেও আক্রমণ করতে পারে।
২) উরোমিঃ ভারতে প্রচলিত এই তলোয়ারটি অন্যান্য সব তলোয়ারের থেকে একেবারে আলাদা।এটির দেখতে অনেকটা চাবুকের মতো, পাতলা এবং অন্যসব তলোয়ারের চেয়ে লম্বাটে আকারের হয়ে থাকে।প্রায় দুই সহস্র বছরের এই পুরনো প্রচলিত নমনীয় এই তলোয়ারটি শত্রুদের শরীরে চাবুকের মতো ব্যবহার করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এই তলোয়ারটি শত্রুকে আঘাত করতে খুবই দক্ষ কারন শত্রুরা ঢাল ব্যবহার করলেও এই তলোয়ারের থেকে রক্ষা পায় না।তবে এই তলোয়ার ব্যবহার করার আগে নিজেকে এই তলোয়ার চালানো জন্য দক্ষ হতে হবে না হলে নিজেই এটিতে নিজেই আহত হবেন।
৩) সিমিটারঃ এটি একটি কিংবদন্তি মধ্যযুগীয় তলোয়ার।এই তলোয়ারের হালকা ব্লেডের জন্য অনেক আলোচিত ছিল।এই তলোয়ারটি বানানতে দামাস্কার ইস্পাত ব্যবহার করা হত।যার জন্য এই তলোয়ার অধিক শক্ত ও নমনীয় হিসাবে কাজ করে।এই তলোয়ারের আরেকটি বিশেষত্ব হল এটির বাঁকানো আকৃতি যা দিয়ে শত্রুকে দু খণ্ড করে দিতে সক্ষম।
৪)কোলপেসঃ এই তলোয়ারটি হল বিরল মিশরীয় যুদ্ধ তলোয়ার।যেটি একটি শক্তিশালী হাতলের সাথে উপরে অংশ অর্ধবৃত্তাকারভাবে বাঁকানো।যার ফলে এটি দিয়ে কোন কিছুকে নিমিষের মধ্যে দুই খণ্ড করে দিতে পারে।এই তলোয়ারটির পুরো ব্লেড সাধারণত হাফ মিটারের মতো লম্বা হয়ে থাকে।এছাড়াও এর ভিতরের অংশও খুবই ধারালো।যা শত্রুকে আঘাত করার জন্য একেবারে উপযুক্ত।