আমেরিকা গায়ের জোড়ে ভারতবর্ষের উপর জোরজুলুম করত যেভাবে
নিউজ ডেস্কঃ ফ্রান্সের তৈরি রাফালে ইতিমধ্যে ভারতের হাতে এসেছে। তবে শুধু রাফালে নয় ফ্রান্সের তৈরি মিরাজ ২০০০ এর মতো যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে সেনাবাহিনী। কার্গিল যুদ্ধ থেকে শুরু করে সারজিক্যাল স্ট্রাইক। একের পর এক যুদ্ধে ফ্রান্সের এই যুদ্ধবিমান যে কতোটা ঘাতক তা প্রমান করেছে। তবে শুধু এই যুদ্ধবিমান নয় ফ্রান্সের প্রথম বোম্বার ও ব্যবহার করেছিল ভারতবর্ষ। স্বাধিনতার পর থেকেই ফ্রান্সের সাথে ভালো সম্পর্ক ভারতের।
” ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি নতুন এয়ার সুপিউরিটি যুদ্ধবিমান ক্রয় করতে চলেছে, তবে এটা আমেরিকার F-16 নয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একজন সিনিয়র অফিসারের এর কথা অনুযায়ী বায়ুসেনা ফ্রান্সের মিরাজ-৪০০০ এর উপর আগ্রহী।
বায়ুসেনা ইতিমধ্যে মিরাজ -৪০০০ পরীক্ষা করেছে, এবং বায়ুসেনা মিরাজ ২০০০ ইতিমধ্যে ব্যবহার করেছে বলে এই মিরাজ ৪০০০ ক্রয় করলে অতিরক্ত সুবিধা পাবে। মিরাজের এই লেটেস্ট ভার্সন F-16 এর তুলনায় বেশ ভাল। বায়ুসেনা সুখোই- সু ৩০ এম কে আই এবং আপগ্রেডেড মিগ-২৯ এর থেকে মিরাজ-৪০০০ ও সাব গ্রিপিনের উপর বেশী আগ্রহী। ভারত মিগ-২৯ ও সুখোই -৩০ এর উপর সন্তুষ্ট, তবুও ভারতবর্ষ চাইছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের বিকল্প হিসাবে অন্য কোন যুদ্ধবিমান। ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়ের মিগের স্পেয়ার পার্টস নিয়ে ঝামেলার কারনে আর তাদের যুদ্ধবিমান ক্রয় করতে চাইছে না।”
দ্রিমি চৌধুরী
কলকাতা, ডিসেম্বর ৩, ২০০৫
প্রায় ১৬ বছর আগের এই রিপোর্টে স্পষ্ট প্রকাশ পেয়েছে যে ভারত মিরাজ-৪০০০ এর মতো যুদ্ধবিমানের উপর আগ্রহী। তবে একটা বড় ব্যাপার হল এই যে মিরাজ-৪০০০ প্রজেক্ট ১৯৮০ সালে বাতিল হয়ে গেছিল। আর সেইসময় ফ্রান্স ড্যাসল্ট রাফায়েল তৈরি করার কাজ শুরু করে। একটা প্রজেক্ট বাতিল হওয়ার ২৫ বছর পর সেই যুদ্ধবিমান কি করে ভারত কে অফার করা হয়? কখনও ভেবে দেখেছেন! কার্গিল যুদ্ধের পর ভারত কে Mirage 2000 V (dash 5) অফার করে হয়েছিল ফ্রান্সের পক্ষ থেকে।
মিরাজ-৪০০০ সত্যিই ভাল মানের যুদ্ধবিমান ছিল। ফ্রান্স ভেবেছিল মিরাজ-৪০০০ তৈরিতে যা খরচা সেই তুলনায় কম খরচে মিরাজ-২০০০ কে আপগ্রেড করা সম্ভব। আর সেই কারনে এই প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শুধুমাত্র আমেরিকার মত লবি না থাকার কারনে ফ্রান্স ভেবেছিল এর রপ্তানি হবেনা আন্তর্জাতিক বাজারে। বিশ্বের অন্যতম সেরা যুদ্ধবিমান হতে পারত ফ্রান্সের মিরাজ-৪০০০।