ইরানের পরমানু চুক্তি নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে এতো জল ঘোলা হওয়ার পেছনে কি কারন রয়েছে?
বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ইরান নিউক্লিয়ার ডিল। ২০১৫ সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে জাতিসংঘের বাকী চারটি স্থায়ী সদস্য দেশ চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ইরানের একটি চুক্তি হয় ২০১৫ সালে যার মূল লক্ষ্য ছিল ইরান যাতে পরমানু বোম্ব তৈরি করতে না পারে। তবে প্রাক্তন আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি ক্যানসেল করে দেয়। বর্তমান আমেরিকান রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন পুনরায় এই চুক্তি করতে চাইছে।
প্রথমেই জানা যাক ইরানের সাথো হওয়া পরমানু চুক্তির ভেতরে বলা কি ছিল? ইরানের সাথে হওয়া পরমানু চুক্তি কতগুলো ভাগে বিভক্ত ছিল যেমন ২০১৫ সালে এই চুক্তি হয়েছিল, আগামী ১০ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২৫ অবধি ইরান তার সমস্ত পরমানু সেন্ট্রিফিউজ, যা সংখ্যায় ৫০০০ এর মতন, তাদের নাতনাজ পরমানু ফেসিলিটি তে সীমাবদ্ধ রাখবে। পরমানু বোম্ব তৈরি করতে ইউরেনিয়ামের বিশুদ্ধকরন প্রয়োজন। ২০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম যথেষ্ট পরমাণু বোম্ব তৈরির জন্য। সেইজন্য এই চুক্তিতে ইরানকে বলা হয়েছিল আগামী ১৫ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ ২০৩০ পর্যন্ত ইরান মাত্র ৩.৬৭ শতাংশ ইউরেনিয়াম বিশুদ্ধকরন করতে পারবে। এটাও বলা হয়েছিল ইরান মাত্র ৩০০ কেজি ইউরেনিয়াম আগামী ১৫ বছরে ব্যবহার করতে পারবে এবং নাতনাজ সেন্টারেই কেবল এই ইউরেনিয়াম বিশুদ্ধকরন করা যাবে। ২০১৫ তে যখন এই চুক্তি হয়েছিল তখন ইরানের কাছে প্রায় ৩০০০ কেজি ইউরেনিয়াম ছিল এবং প্রচুর সেন্ট্রিফিউজ ছিল যা দিয়ে ইরান মাত্র ২-৩ মাসে প্রচুর পরমানু বোম্ব তৈরি করতে পারত, তাই এই চুক্তি করা হয়। এই চুক্তিতে বলা হয় আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন ইরানের নিউক্লিয়ার প্রজেক্ট পর্যবেক্ষণ করবে। ইরানকে পরমানু শক্তিধর হতে দিলে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হত।
মধ্যপ্রাচ্যে তিনটি শক্তিশালী দেশ হচ্ছে ইরান, ইসরায়েল ও সৌদি আরব। এবার সৌদি আরব ও ইসরায়েল উভয়ের সাথেই ইরানের ঝামেলা আছে, তাই যেকোন মূল্যে ইরানকে আটকাতেই হত। ইরান পরমানু চুক্তিকে দি জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন বা জেসিপিওএ বলা হয়। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই ভিয়েনাতে এই চুক্তি হয়। জেসিপিওএ এর আওতায় ইরান তার মাঝারি সমৃদ্ধ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম ভান্ডার সম্পূর্ণ নষ্ট করতে এবং একদম কম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ভান্ডার ৯৮ শতাংশ কমাতে সম্মত হয়েছিল। আগামী ১৩ বছরের মধ্যে ইরান তার গ্যাস সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমাতে সম্মত হয়েছিল এবং আগামী ১৫ বছরের জন্য ইরান শুধুমাত্র ৩.৬৭ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম বিশুদ্ধ করবে বলেও জানিয়েছিল। ইরান এই সময়ের জন্য আর নতুন কোন ইউরেনিয়াম বিশুদ্ধকরণ কার্যক্রম এবং নতুন পরমানু ফেসিলিটি না তৈরি করতেও রাজি হয়েছিল। চুক্তিতে এটা বলা হয়েছিল যদি আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন যদি সমস্ত পর্যবেক্ষণ করে চুক্তি অনুযায়ী কাজ হচ্ছে বলে অ্যাপ্রুভাল দেয় তাহলে আমেরিকা সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের থেকে বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহয়তা পাবে ইরান। সাথে সাথে ইরানের উপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হবে। এটাই ছিল ইরানের সাথে পরমানু চুক্তির প্রধান বিষয়। প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানিয়েছিলেন এটা তার জীবনে সবচেয়ে বড় কুটনৈতিক সাফল্য ছিল। তাহলেই বুঝতে পারছেন এই চুক্তির গুরুত্ব কতটা ছিল। আট বছর রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন বারাক ওবামা এই চুক্তি কে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ তে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশ্য ছিল ইরানের উপর আরও চাপ তৈরি করে নতুন করে আলোচনার মাধ্যমে ইরানের সাথে চুক্তি করা। আসলে ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইছিল ইরানের উপর আরও কিছু শর্ত প্রয়োগ করতে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ, জাতিসংঘের বাকি স্থায়ী নিরাপত্তা সদস্য দেশগুলো। ইরান প্রথমেই কোন পতিক্রিয়া দেয় নি কারন ইথ্রি দেশগুলো বিকল্প কোন পথের জন্য ইরানকে একটু অপেক্ষা করতে বলেছিল। এখানে একটা বলে রাখা ভাল যে ইউরোপের তিনটি সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি কে একসাথে ইথ্রি দেশ বলা হয়। কিন্তু এক বছর হয়ে যাবার পরও কোন বিকল্প ব্যবস্থা না পেয়ে ইরান ধীরে ধীরে নিউক্লিয়ার সংযোজন চুক্তি থেকে পীছু হটতে শুরু করে। চুক্তিতে থাকা ৩.৬৭ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম থেকে ৪.৫ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম তৈরি শুরু করে ইরান। নাতনাজ ছাড়াও ফোরডো নামেও একটি জায়গায় নিউক্লিয়ার ল্যাব তৈরি করে ইরান সাথে সাথে সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা বাড়ানো হয় এবং ৩০০ কেজির বেশী ইউরেনিয়াম তৈরি শুরু হয়। এর পতিক্রিয়ায় আমেরিকা ইরানের যাবতীয় বড় শিল্প ইন্ডাস্ট্রি, তেল ইরানের সমস্ত ব্যাঙ্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
২০২০ এর মধ্যে প্রায় ১৫০০ ইরানি কোম্পানি ও প্রতিনিধি এবং ৮০ জন রাজনৈতিল ব্যাক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় সৌদি আরব, ইসরায়েল হয়ত খুশী হয়েছিল কিন্তু ইরান আর আলোচনা সভায় যায় নি কারন আমেরিকা নিজেই চুক্তি করেছিল কিন্তু সরকার পাল্টাতেই আমেরিকা চুক্তি খেলাপ করেছিল তাই ইরান আসেনি। তবে গতবছর আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের প্রধান রাফায়েল গ্রোসি ইরানের রাজধানী তেহরানে গিয়ে তিনমাসের একটি সাময়িক চুক্তি করেছিল ইরানের সাথে, যাতে ইরান এই পরমানু চুক্তি অন্তত তিনমাস মেনে চলে, এর মধ্যেই কোন উপায় বার করা হবে কিন্তু এতেও কিছু লাভ হয় নি। একটা কথা এখানে জেনে রাখা দরকার ১৯৫০ সাল থেকেই ইরানে পরমানু পোগ্রাম শুরু হয়ে গেছিল তবে তখন এর উদ্দেশ্য ছিল জনগনের কাজে ব্যবহাররের জন্য। ১৯৭৯ সালের আগে পর্যন্ত ইরানের সাথে আমেরিকা সহ পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাপক ভাল সম্পর্ক ছিল। ইরানের অধিকাংশ প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমেরিকারই দেওয়া ছিল। কিন্তু ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের পর ইরান একটি শিয়া প্রধান দেশ হিসাবে পরিচিত হয়। তখন থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ইরানের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। ইরান প্রচুর সেন্ট্রিফিউজ তৈরি করতে থাকে। এই সেন্ট্রিফিউজের মাধ্যমেই ইউরেনিয়ামের বিশুদ্ধকরন হয়। ইরান নাতনাজ ছাড়াও তেহরান, প্রাচীন, ইসফাহান, ফরডো, রামসার, গাচেন সহ আরও অনেক জায়গায় পরমানু কেন্দ্র তৈরি করে।
আসলে ২০১৫ সালে ইরান যে পরমানু চুক্তি করেছিল সেটা বাধ্য হয়ে। কারন আমেরিকার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার কারনে ইরানে ব্যাপক অর্থনৈতিক বিপর্যয় হয়ে যায়, অবস্থা এমন হয়ে যায় যে ইরানে যুবকরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে শুরু করে কাজের জন্য। এবার অনেকেই হয়ত বলবেন আমেরিকাই সবসময় কেন আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দেয়? দেখুন আর্থিক নিষেধাজ্ঞা সবসময় শক্তিশালী দেশই দেয়। যেমন ধরুন একটি জায়গায় ৪ জন ব্যাবসায়ী ব্যাবসা করছে৷ এদের মধ্যে যে সবচেয়ে বড় ব্যাবসায়ী সে বাকী তিনজনের মধ্যে দুজন কে বলল অন্য একজনের সাথে ব্যাবসা না করতে। এবার ছোট ব্যাবসায়ীরা তা মানতে বাধ্য হবে। হ্যা যার উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সে চাইলে বড় ব্যবসায়ীর উপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে কিন্তু তাতে কোন লাভ হয় না। যেমন ২০১৪ সালে রাশিয়া যখন ক্রিমিয়া দখল করে নেয় তখন আমেরিকা রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল এবং রাশিয়া পাল্টা আমেরিকা থেকে আগত ডিয়ারি প্রোডাক্টে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল এতে রাশিয়ার নিজেরই বেশী ক্ষতি হয়েছিল। ইসরায়েল ও সৌদি আরব আমেরিকা কে বারবার বলছিল এই চুক্তি করবার কারন ঐতিহাসিক ভাবে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু ইসরায়েল। একবার ইরান জানিয়েছিল তারা ইসরায়েল কে ম্যাপ থেকে মুছে দিতে চায়। তাছাড়া ইরানে মাঝে মধ্যেই আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মিছিল হয় ও পতাকা পোড়ানো হয় সুতরাং এমন দেশকে পরমানু শক্তিধর হতে দেওয়া চলবে না। সৌদি আরবের সাথে ইরানের শত্রুতা ধর্মের কারনে। একটা কথা জানা যাক আমেরিকা কেনো এই নিউক্লিয়ার ডিল ক্যানসেল করে দিল? দেখুন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল এই নিউক্লিয়ার ডিল ছিল অসম্পূর্ণ। এই ডিলে মূলত ১৫ বছরের জন্য ইরানের পরমানু পোগ্রাম কে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৫ বছর পর কি হবে? এই ডিলে ১৫ বছর ইরান হয়ত তাদের পরমানু সক্ষমতা কমিয়ে রাখবে কিন্তু এই ১৫ বছরে তেল বিক্রি করে ও অনুদান পেয়ে, সাথে সাথে চীন ও রাশিয়ার সাথে জোট করে আর্থিক ভাবে অনেক শক্তিশালী হয়ে যাবে। সুতরাং ১৫ বছর পরে ইরান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, তখন তাকে আটকানো সমস্যা হয়ে যাবে অর্থাৎ এই চুক্তিতে ইরানকে সম্পূর্ণ আটকানোর কোন ব্যবস্থা নেই। সুতরাং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল নতুন করে চুক্তির মাধ্যমে ইরানকে পুরোপুরি পরমাণু প্রজেক্ট থেকে সরানো। তাছাড়া ২০১৫ থেকে ১৭ এর মধ্যে ইরান কয়েকটা মিসাইল পরীক্ষা করে যাতে এটা প্রশ্ন তুলে দেয় যদি ইরান শান্তি চায় তাহলে কেনো মিসাইল পরীক্ষা করছে। সুতরাং এসব কারনে এই ডিল বাতিল করে দেয় ট্রাম্প সরকার।
কিন্তু বর্তমানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চাইছে ইরানের সাথে নিউক্লিয়ার ডিল পুনরায় করতে। ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১ থেকে এখনও পর্যন্ত ইরানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ আমেরিকার আটবার বৈঠক হয়েছে। তবে এবার ইরান চাপ দিচ্ছে আমেরিকার উপর। যেমন ইরানের ইসলামিক রেজোলিউশন গার্ড কম্যান্ড বা আইআরজিসিকে আমেরিকা জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষনা করেছিল। ইরান চাইছে আমেরিকা এই ঘোষনা বাতিল করে নিক। বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে আমেরিকা রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গত ১১ মার্চ রাশিয়া জানায় যে ইরানের সাথে তাদের যে বানিজ্য এর উপর এই নিষেধাজ্ঞার কোন প্রভাব যেন না পড়ে। এরপরই ১৫ মার্চ ইরানের বিদেশমন্ত্রী হুসেন আমির আব্দুলহাইয়ান মস্কো গিয়ে রাশিয়ার সাথে আলোচনা করে। ওইদিনই রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরোভ জানায় আমেরিকা লিখিত গ্যারান্টি দিয়েছে রাশিয়া ও ইরানের বানিজ্যে কোন সমস্যা আসবে না। সুতরাং স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছে রাশিয়ার সহয়তায় ইরান আমেরিকাকে একটু হলেও ব্ল্যাকমেল করেছে, আর আমেরিকা সেটা মেনেও নিয়েছে। কারন এই মহূর্তে আমেরিকা চাইছে রাশিয়াকে আটকে ইরান থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে। এবার প্রশ্ন হল সত্যিই কী রাশিয়া কে বাদ দিয়ে ইরানের সাথে পরমানু চুক্তি সম্ভব। এর উত্তর হল না কারন ২০১১ তে ইরানে বুশেরা ১ নামে একটি পরমানু কেন্দ্র তৈরি করে রাশিয়া এবং ইরানের ফরডো কেন্দ্রে ১০০০ এর বেশী সেন্ট্রিফিউজ রাশিয়ার সাহায্যেই তৈরি করেছে ইরান। সুতরাং রাশিয়াকে বাদ দিয়ে এই চুক্তি সম্ভব নয়। ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সাইদ খাতিবাজদেহ জানিয়েছে রাশিয়া কে বাদ দিয়ে কোন চুক্তি সম্ভব না। এখানে আরও একটা ব্যাপার লক্ষ্য করার যে ৯ এপ্রিল, ২০২১ এ ইরান জাতীয় পরমানু দিবস পালন করে অ্যাডভান্সড সেন্ট্রিফিউজ প্রকাশ করে জনসমক্ষে। সুতরাং এবছর ৯ এপ্রিল আসার আগে এই চুক্তি হয় কিনা সেটা দেখার।