এশিয়ার সবথেকে বড় বায়ুসেনা ঘাঁটি ভারতবর্ষেই। কোথায় রয়েছে?
নিউজ ডেস্কঃ তাজিকিস্তানে রয়েছে ভারতবর্ষের বায়ুসেনার ঘাঁটি। বায়ুসেনা যারা আকাশ পথে শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশকে প্রতিরক্ষা করে।এই ভারতীয় বায়ুসেনারা তাদের পথ চলা শুরু করেছিল ১৯৩২ সালে।এর পর থেকে তারা তাদের বীরত্বের প্রমান দিয়ে চলেছে দেশবাসীর কাছে। আর এই বীর যোদ্ধাদের সম্পর্কে রয়েছে কিছু তথ্য যা আপনাদেরকে মুগ্ধ করবে।তাই জেনে নিন ভারতীয়দের বায়ুসেনাদের ১০ টি অজানা তথ্য।
১. তাজিকিস্তানের ফারখর এই দেশটিতে রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি ঘাঁটি। এটি ভারতের বাইরে বায়ুসেনার একটিমাত্র ঘাঁটি।
২. ভারতের বায়ুসেনা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বায়ুসেনা। কারন আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের পর ই ভারতের বায়ুসেনা রয়েছে। যুদ্ধবিমানের সংখ্যায় আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের থেকে পিছিয়ে থাকলেও টেকনোলোজির দিক থেকে ভারতের বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান গুলি চীনের থেকে অনেক উন্নত বলে মনে করেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বর্তমানে ভারতে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ১৪০০ র কাছাকাছি হলেও খুব শীঘ্রই ভারতের কাছে প্রচুর পরিমান যুদ্ধবিমান সার্ভিসে আসবে।
৩. ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডে বন্যার সময় ভারতীয় বায়ুসেনা ১৭ জুন থেকে শুরু করেছিল উদ্ধারকার্যের অভিযান।যাতে করে তারা প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি দুর্গত মানুষকে বাঁচিয়ে ছিলেন।আর এই উদ্ধারকার্য চালিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল ‘মিশন রাহত’।তারা ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করার পাশাপাশি ৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৪০০ কিলো খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছিল।
৪. ফ্লাইং অফিসার নির্মলজিৎ সেখোঁ যিনি ১৯৭১ সালের পাক যুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব দেখিয়ে ছিলেন।আর তিনি এই অসামান্য বীরত্ব জন্য ১৯৭২ সালে মরণোত্তরভাবে ভারতের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান পরমবীর চক্র পেয়েছিলেন।
৫. পদ্মাবতী বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতীয় বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন।তিনিই ছিলে ভারতের প্রথম মহিলা এয়ার মার্শাল এবং এয়ারফোর্স মেডিক্যালের প্রথম মহিলা এডিজি (অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল)। তার মেধা এবং সাহসিকতার জন্য তিনি অনেক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন।এছাড়াও গত বছরই অর্থাৎ ২০২০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হলেন পদ্মাবতী।
৬. গাজিয়াবাদে অবস্থিত হিন্দো এয়ারফোর্স স্টেশন যেটি এশিয়ার মধ্যে সব চেয়ে বৃহৎ এবং বিশ্বের মধ্যে অষ্টম বৃহত্তম এয়ারবেস।
৭. এত দিন শুধু পুরুষ পাইলটদেরই ভারতীয় যুদ্ধবিমান ওড়ানোর অধিকার ছিল কিন্তু এখন থেকে মহিলা পাইলটরাও ভারতীয় যুদ্ধবিমান ওড়াতে পারবেন।মহিলা পাইলটদের এই অধিকার এ বছরই ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহা ঘোষণা করেছেন ।
৮. নয়াদিল্লির একটি মিউজিয়ামে রয়েছে ১৯৩২ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বায়ুসেনাদের ব্যবহৃত বিমানের বিভিন্ন মডেল ও সরঞ্জাম। আর এই মিউজিয়ামটি দিল্লির পালামে অবস্থিত যেটি ভারতীয় বায়ুসেনার নিজস্ব একটি মিউজিয়াম।
৯. গরুড় কমান্ডো ফোর্স যেটি দেশের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বায়ুঘাঁটিগুলিকে নিরাপদ রাখতে সদাসতর্ক থাকে। এই স্পেশাল ফোর্সটি তৈরি হয়েছিল ২০০৪ সালে। এই বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য অন্তত তিন বছরের প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এই গরুড় বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য যে প্রশিক্ষণ নিতে হয় সেটি ইন্ডিয়ার স্পেশাল ফোর্সগুলির মধ্যে সব চেয়ে দীর্ঘকালীন প্রশিক্ষণ।
১০. ফাইভ স্টার র্যাঙ্কিং ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশর পর একমাত্র মিলিটরি অফিসার অর্জুন সিং পেয়েছেন।