চীন কেন ক্ষমতাবান দেশ হতে পারবেনা? কি এমন কারন রয়েছে এর পেছনে?
ভবিষ্যতে কি হবে সেটা সময়ই বলে দেবে।এটা নিশ্চিত যে চীন খুব তাড়াতাড়ি আমেরিকার অবস্থানে পৌঁছাতে পারবে না।কেননা বর্তমানে বিশ্বে বাণিজ্যের বেশিরভাগই হয় মার্কিন ডলারের মাধ্যমে,ব্যাংকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে লেনদেনের সিংহভাগই হয় মার্কিন ডলারের মাধ্যমে।মার্কিন ডলার আমেরিকার মুদ্রা আর এর নিয়ন্ত্রণও আমেরিকার হাতে।বোঝাই যাচ্ছে,আমেরিকা মার্কিন ডলার সাপ্লাই বন্ধ করে দিলে সেই দেশ অর্থনৈতিক সংকটে ভুগবে। চীনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে। এতো গেলো বিশ্ববাণিজ্যের কথা।
এবার আসা যাক প্রযুক্তির দিকে।বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেটের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে গুগল যেটা মার্কিন প্রতিষ্ঠান।অর্থাৎ ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ আমেরিকার হাতে।চীন নকল করতে এক্সপার্ট কিন্তু তাদের নিজস্ব ব্রান্ডিং কম।বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। সেই ইন্টারনেটের ওপর আমেরিকার আধিপত্য বিদ্যমান। অন্যদিকে ইন্টারনেটের ওপর চীনের আধিপত্য খুবই কম বা নেই চলে।
আরো একটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হল যে সামরিকভাবে শক্তিশালী হতে হলে নিজেদের উন্নতমানের মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রি থাকা দরকার। আমেরিকার Military weapon যে বিশ্বসেরা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।কিন্তু চীনের তৈরি Military Weapon গুলো নিম্নমানের।সামরিক শক্তিতেও চীন অনেকটা পিছিয়ে আছে আমেরিকার তুলনায়।
এছাড়া আমেরিকা অনেক দেশকে বিভিন্নভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়,এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষমতা চীনের নেই।এর পরেও যদি চীন কোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় তাহলে চীনেরও ক্ষতি হবে।
এবার আসা যাক, বিশ্ব রাজনীতিতে। চীন তাদের প্রতিবেশীদের সাথে খারাপ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। যেমনঃভারত,জাপান,ভিয়েতনাম,ইন্দোনেশিয়া। প্রতিবেশীদের সাথে এত খারাপ সম্পর্ক থাকলে সেই দেশের বিপদ অনিবার্য। কিন্তু আমেরিকার প্রতিবেশীদের সাথে তেমন খারাপ সম্পর্ক নেই।
তবে কিউবা,ভেনেজুয়েলার মতো সামরিকভাবে দূর্বল কিছু শত্রু আছে।এটা নিয়ে আমেরিকার মাথাব্যথার কারণ নেই। বাইডেন সাহেব বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই ঐ কথা বলেছেন।
তবে ভবিষ্যতে কি ঘটবে এ ব্যাপারে একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন এবং সময় এলেই তা প্রকাশ পাবে।