চীন-পাকিস্তানের মতো দেশের বিরুদ্ধে লড়তে ভারতবর্ষের কোন আমেরিকান যুদ্ধবিমান ক্রয় করা উচিৎ?
নিউজ ডেস্কঃ রাফালে ভারতে এলেও ভারতবর্ষের বিমান বহরের সংখ্যা বাড়ানো উচিৎ বলে মত একাধিক বিশেষজ্ঞের। এবং সেই কারনে বেশ কিছু আমেরিকান বিমানের দিকে চোখ রাখা উচিৎ। কারন আমেরিকার বিমান গুলির ক্ষমতা সম্পর্কে প্রতিটি দেশই ওয়াকিবহল। সেই কারনে ভারতবর্ষের বিমান বাহিনীতে কিছু আমেরিকার বিধ্বংসী বিমান ক্রয় করলে বিমান বাহিনী যে আরও বেশি বিধ্বংসী হয়ে উঠবে তা একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
আমেরিকার F 15 Ex। আমেরিকার ম্যাকডনাল্ড বোয়িং এর তৈরি এই বিমানে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মিশন কম্পিউটার যা বিমানকে ৮৭ বিলিয়ন তথ্য প্রতি সেকেন্ডে দিতে সক্ষম। রাফালের থেকেও এর পেলোড ক্ষমতা যথেষ্ট বেশি। রাফালের পেলোড ৯.৫ টন সেখানে এফ ১৫ এর পেলোড ১৩টন।
সুখোই এর মত এয়ার সুপেরিয়রিটিতে যেমন সুখোই এর সমতুল্য তেমন মিডিয়াম মাল্টিরোলের মতো লো ফ্লাই করতেও সক্ষম। তাই নয় এসব থাকা সত্ত্বেও সেভাবে দামি নয় এই বিমান। প্রতিটি ফাইটার অস্ত্র ও অন্যান্য মেইন্ট্যনেন্স প্যকেজ ছাড়া ৮০মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবং সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে এখনও পর্যন্ত একটিও এফ-১৫ এয়ার টু এয়ার ব্যটেলে শুট ডাউন হয় নি। মোট কম্ব্যট কিল ১০৪। বিশ্বের যেকোনো যুদ্ধবিমানের থেকে সব থেকে বড় AESA রেডার APG 82(V)1 এতে রয়েছে। একটা কথা বলা বাহুল্য যে, যত বড় রেডারের এ্যন্টেনা তত বেশি TR Module। যত বেশি TR Module তত বেশি রেঞ্জ ও ট্র্যকিং করার ক্ষমতা। একটি লো ফ্লাই করা যুদ্ধবিমানকে ২০০মাইল দুর থেকে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম।
এই যুদ্ধবিমানটি একই সাথে ২২টি আকাশ থেকে আকাশে হামলাকারী মিসাইল বহনে সক্ষম। এই বিমানের মতো বেশি ফায়ার পাওয়ার অন্যকোনো যুদ্ধবিমানের নেই। দুটি F110-GE-129 ইঞ্জিন দ্বারা চালিত এই যুদ্ধবিমানের একটি ইঞ্জিন সর্বোচ্চ 129Kn থ্রাস্ট প্রদান করতে সক্ষম। শুধুতাই নয় এর গতিও বেশ প্রশংসনীয়। ম্যাক ২.৫ বা ৩০১৭কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগে উড্ডয়ন করতে সক্ষম। এছাড়াও রয়েছে কোয়াড মিসাইল রেক। যা একটি হার্ড পয়েন্টে চারটি মিসাইল একই সাথে বহনে সক্ষম।