পাক নৌবাহিনীর নতুন যুদ্ধজাহাজ নিয়ে কেন এত চিন্তিত ভারতবর্ষ?
নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তানকে একের পর এক যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করছে চীন। সত্যি কথা বলতে কি পাকিস্তানকে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র চীন লোণের বিনিময়ে বিক্রি করে থাকে নিজেদের লাভের কারনেই। কারন যুদ্ধের সময় পাকিস্তান ও যদি ভারতের বিপরীত দিক থেকে হামলা করে তাহলে খরচ ছাড়াই এডভান্টেজ পাবে চীন। আর সেই কারনে পাকিস্তানকে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করতে সবসময় মূকীয়ে থাকে এই কমিউনিস্ট দেশটি। সম্প্রতি চীনের থেকে একটি নতুন ফ্রিগেট পেয়েছে পাকিস্তান।
পাক নৌবাহিনীর নতুন টাইপ-৫৪এপি ফ্রিগেট। কি ক্ষমতা আছে এই যুদ্ধজাহাজটির?
এটিতে ২*৪ সি-৮০৩ সাব টু সুপার সনিক এ্যন্টি শিপ মিসাইল ইন্সটল করা আছে। যা প্রথমে সাবসনিক গতীতে লঞ্চ হয়, তারপর Mach 1.3 গতীতে ইন্টারমিডিয়েট ফেজে কাজ করে তারপর Mach 1.7 ফাইনাল এ্যপ্রোচিং আর Mach 2 গতীতে টার্গেট হিট করতে সক্ষম হয় এমনটাই দাবি চীনের। তবে চীনের মিসাইল রাশিয়ার এক মিসাইল থেকেই নকল করা হয়েছে। এর রেঞ্জ ২৮০-৩০০কিমি!
এই ফ্রিগেটে ৩২ টি এইচকিউ-১৬ এর ভিএলএস(ভার্টিক্যাল লঞ্চিং সিস্টেম) রয়েছে। এগুলির রেঞ্জ ভারতের তলোয়ার আর শিভালিক ক্লাসের শ্টিল-১ এর সমান। বলা বাহুল্য যে শ্টিল-১ এর কপি। এর রেঞ্জ ৪০কিমি যেখানে শ্টিল-১ এর রেঞ্জ ৪৫কিমি।
তবে চীনের তৈরি এই ফ্রিগেটের জঘন্য দিক হল এর রেডার সিস্টেম। কারন রাশিয়ার লাইসেন্স ম্যনুফ্যক্চার্ড Type 382 radar ব্যবহার করে চীন, কিন্তু সেখানে পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে SR2410C রেডার যা একটি মিটার ওয়েভ রেডার। ভারতের নৌবাহিনী খুব সহজেই রেডার জ্যামিং করতে সক্ষম হবে বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের। এর রেঞ্জ ২৫০ কিমি হলেও শিবালিক ক্লাসের রেডার EL/M-2238 যার রেঞ্জ ৩৫০কিমি।
আসলে ইসরায়েলের রেডারের সাথে চীনের রেডারের তুলনা করা উচিৎ নয়। বর্তমানে পাকিস্তান হাতে পাওয়া এই ফ্রিগেট গুলি ভারতের শিভালিক ক্লাসের থেকে এগিয়ে থাকলেও ভারতের হাতে আসতে চলা তলোয়ার ক্লাস ফ্রিগেট গুলি আবার পাকিস্তানের থেকে যথেষ্ট এগিয়ে।