১৪ এপ্রিল কেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা দিবস?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার জন্য কোনও মানুষ যদি মনপ্রান থেকে চেষ্টার পাশাপাশি নিজের জীবনকে কষ্ট দিতে বাকি রাখেন নি তাদের মধ্যে অন্যতম তাহলে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। তবে তিনি যে স্বাধীনতা আদায় করে নিতে চেয়েছিলেন তা বলাই বাহুল্য। কাকুতি মিনতি নয় রীতিমতো সংগ্রাম করেই স্বাধীনতা আনতে চেয়েছিলেন তিনি। আর সেই কারনে দেশে বিদেশে স্বাধীনতাগামী মানুষদেরকে এক জোট করেছিলেন।
মণিপুরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অস্ত্রভাণ্ডার
ইতিহাসবিবদের একাংশের মতে ভারতের স্বাধীনতা দিবস হওয়া উচিত ১৪ এপ্রিল। ১৯৪৪ সালের ওই দিন মণিপুরের মইরাঙ্গ দখল করে পতাকা উত্তোলন করে আজাদ হিন্দ ফৌজ (Indian National Army) আর সেই কারনে বলা হয়ে থাকে ঐদিন ই ভারতবর্ষ প্রথম স্বাধীনতা লাভ করেছিল। ব্রিটিশদের তাড়িয়ে সেদিন স্বাধীন ভারতের প্রথম অধ্যায় রচনা করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বিশ্বস্ত সৈনিক কর্নেল শওকত আলি মালিক এবং তাঁর সিপাহিরা। বাকিটা ইতিহাস। সেই স্মৃতি উসকে কিছু মাস আগে মণিপুরে মিলেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অস্ত্রভাণ্ডার।
মাটি কাটতে গিয়ে একটি বিশাল অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজ পান এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত মণিপুরের তেংনোপাল জেলার মোরেহ টাউনে। বাড়ি তৈরি করার জন্য মাটি কাটছিলেন এক ব্যক্তি। তখনই বেশ কয়েকটি বাক্স ও বোমা দেখতে পেয়েছিলেন। আতঙ্কে তড়িঘড়ি কাজ ফেলে পড়শিদের কাছে ছুটে যান। ঘটনাটি জানাজানি হতেই সেখানে ভিড় করে জনতা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মোরেহর পুলিশ আধিকারিক সংবই গাঙতে জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তি মাটি কাটতে গিয়ে একটি বড় অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজ পেয়েছেন।
খবর পেয়ে ওই হাতিয়ারগুলি লোকালয় থেকে সরিয়ে নেয় বম্ব স্কোয়াড। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হয় সেই বম্ব গুলিকে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে অস্ত্রগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের। উদ্ধার হওয়া হাতিয়ারগুলির মধ্যে ছিল, ২৭ বোমা, ৪৩টি বোমার খোলা (shell case), কার্তুজ ও প্রায় ১৫টি বাক্স। তবে সেগুলি ব্রিটিশদের না জাপানি সেনার তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিস্মৃত অধ্যায় গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই মণিপুর। সেখানে জাপ বাহিনী ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে ভয়ানক লড়াই হয় ব্রিটিশ সেনার। শুরুর দিকে মণিপুর ও নাগালল্যান্ডের প্রায় অর্ধেক দখল করে ফেলে আজাদ হিন্দ ফৌজ। তারপর কোহিমা ও ইম্ফলের যুদ্ধে রসদের অভাবে পরাজিত হয়ে বার্মার (বর্তমানে মায়ানমার)পথে পিছু হটতে বাধ্য হয় জাপ ও আজাদ হিন্দ ফৌজ। সেসব যুদ্ধের কথা ফের স্মরণ করিয়ে দিল মণিপুরে উদ্ধার হওয়ায় অস্ত্রগুলি।