অ্যামেরিকা

আমেরিকার যুদ্ধবিমানকে কেন সাপের নামে ডাকে?

নিউজ ডেস্কঃ এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা যুদ্ধবিমানের তকমা পাওয়া বিমানের মধ্যে পরে। এই বিমানের ইতিহাসের পাশাপাশি এর আক্রমণের পাওয়ার দেখে বেশ অনেক বিমানই হতবাক হয়েছিল একটা সময়। তবে এই বিমানকে শুধু এফ ১৬ নয়, একাধিক নামও ডাকা হয়ে থাকে। এই যুদ্ধবিমানকে ভাইপার  বলেও ডাকা হয়, কারণ এর সামনের নোজ এর অংশটুকু দেখতে ভাইপার স্নেক এর মতো।

আজ পর্যন্ত ৪৫০০ এর ওপর এফ-১৬ যুদ্ধবিমান তৈরি হয়েছে, যা মিগ-২১ বাদে অন্য কোনো যুদ্ধবিমান এত বেশি পরিমাণে তৈরি হয়নি(১১০০০)।

এফ-১৬ যুদ্ধবিমানেই প্রথম ফ্রেমলেস বাবল ক্যানোপি ব্যবহার করা হয়। যার ফলে পাইলট 360° সাইড ভিউ চারিদিকে ঘুরে দেখতে পারে।

এফ-১৬ যুদ্ধবিমানেই প্রথম কন্ট্রলিং স্টিক টি হাতের পাশে রাখা হয়েছিল। বেশিরভাগ যুদ্ধবিমান এর সটীক দুই পায়ের মাঝে থাকে।

যুদ্ধবিমান এর ইতিহাসে এফ-১৬ ই প্রথম ৯ জি পর্যন্ত পুল করতে পেরেছিল। এই বিমানের এরোডায়নামিক ডিজাইন গ্রাভিটি ফোর্স কম করতে পারা প্রথম বিমান।

এছাড়াও যুদ্ধবিমানের ইতিহাসে এফ-১৬ ই প্রথম ম্যাক-২+  অর্থাৎ ২০০০ কিমি/ঘণ্টা গতি তুলতে সক্ষম হয়েছিল।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান একটিনেগেটিভ স্টেবেল  ফাইটার জেট. অর্থাৎ  যেকোনো অবস্থায় যুদ্ধবিমান আকাশে থাকা অবস্থায় পাইলট কন্ট্রোল ছেড়ে দিলে তা সি লেভেল অর্থাৎ সোজা অবস্থায় উড়তে থাকবে।

এটাকে পসিটিভ স্টেবেল বলা হয়। কিন্তু এফ-১৬ এর কন্ট্রোল ছেড়ে দিলে ঘুরতে ঘুরতে মাটিতে পরে যাবে।

এই যুদ্ধবিমান আমেরিকা তৈরি করলেও ১৯৮১ সালে এর প্রথম এয়ার টু এয়ার কিল সফলতা আসে ইজরায়েলের হাত ধরে। ইজরায়েলি এক পাইলট গুলি করে একটি এম আই ৮ হেলিকপ্টার নীচে নামান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.