ভারত

ভারতবর্ষের স্পেশাল বাহিনীতে যোগ দিতে গেলে কতোটা যোগ্যতার দরকার?

নিউজ ডেস্কঃ দেশের অভ্যন্তরে শত্রু দমন করতে একাধিক প্রচেষ্টা এবং বাহিনী গড়ে তোলা হয়, ভারতবর্ষ সেক্ষেত্রে বেশ এগিয়েই। দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাস দমনে  ফেডারাল কন্টিনজেন্সি ডিপ্লয়মেন্ট ফোর্স হিসেবে ১৯৮৪ সালে তৈরি করা হয় ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড(NSG)৷ সারা বিশ্ব জুড়ে এর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম উন্নত এবং দক্ষ সন্ত্রাস দমন শাখা এটি৷ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র  পুলিশ বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত হয় এই বাহিনী৷ গ্রেট ব্রিটেনের স্পেশাল এয়ার সার্ভিস এবং জার্মানির বর্ডার প্রটেকশন গ্রুপ জিএসজি-৯ এর মতোই অনেকটা তৈরি করা হয়েছিল ভারতবর্ষেরই বিশেষ বাহিনীকে৷

এর সেভাবে কাউকে জবাবদিহি করেনা। ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে থাকে এই ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজি৷ এই বাহিনীর মাথায় থাকেন একজন ডিরেক্টর জেনারেল বা প্রধান৷ সাধারণত এনএসজি কমান্ডোদের ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ নামেই চেনে সকলে৷ বহু ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস দমন অভিযানের পাশাপাশি বিভিন্ন কাজে লাগান হয় এই ভারতবর্ষের এই বিশেষ বাহিনীটিকে৷

এই বাহিনীতে যে কেউ যোগ দিতে পারেনা। সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে অর্থাৎ এক্ষেত্রে সরাসরি নিযুক্ত করা হয়না। এক্ষেত্রে সেই ব্যাক্তিকে ইন্ডিয়ান আর্মির অন্য কোনও বাহিনীতে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে৷ আবেদনকারীকে হতে হবে ভারতীয় সেনা বা প্যারা-মিলিটারি ফোর্সের সদস্য বা ট্রেনি৷ আর সেখান থেকে বেস্ট অফ দ্য বেস্ট বেছে নেওয়া হয় এই বিশেষ বাহিনীর জন্য।

১৷ প্রথমে ঠিক করতে হবে এনএসজি বাহিনীর কোন পদে যোগদান করার ইচ্ছা আছে৷ স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ নাকি স্পেশাল রেঞ্জার গ্রুপ দুই ধরনের বাহিনীতেই যোগ দিতে পারা যায়৷ তবে দুটির ক্ষেত্রে বয়সের একটি সীমা আছে সেই কারনে বয়স অনুযায়ী আবেদন করতে হবে৷

২৷ আবেদন করার আগে দেখে নিতে হবে আবেদনের জন্য সমস্ত চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে কিনা৷ বয়স, সার্ভিস অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, শারীরিক গঠন৷ এছাড়া নিজেকে প্রমাণ করতে হবে যে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই ও তিন বছরের বেশি সময়ে সেনা বাহিনীতে আছে৷

৩৷ এরপরে দিতে হবে স্বাস্থ্য এবং মানসিক পরীক্ষার ফিট রিপোর্ট৷ কেবল মাত্র মেডিকেল পরীক্ষায় ‘এ গ্রেড’ প্রাপকরাই পাবে যোগদানের সুযোগ পায় এক্ষেত্রে৷

৪৷ এনএসজির অফিসিয়াল স্টাফ হওয়ার জন্য প্রথমে উল্লেখিত অর্থ দিয়ে আবেদন পত্র ফিল আপ করতে হয়৷ সমস্ত নথি জমা করতে হয়৷ যা প্রমাণ করবে আবেদনকারী তাদের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে কিনা৷ তবে ট্রেনিংয়ে সুযোগ পাবে আবেদনকারী৷ সমস্ত তথ্য পাঠিয়ে দিতে হয় দিল্লির কাছে মেহরাম নগে এনএসজির প্রধান দপ্তরে৷

৫৷ অপেক্ষা করতে হয় ডাক আসার৷

৬৷ এসবের পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, মার্শাল আর্ট জানা বাধ্যতামূলক দরকার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published.