আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তা দেবেনা ভারতবর্ষ
নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়ার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে যেকোনও দেশকেই আমেরিকার বানানো অনৈতিক নিয়মের মধ্যে পড়তে হবে তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট বলে মত একাধিক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের। বিশেষ করে রশিয়ার সাথে কোনরূপ আর্থিক লেনদেন থাকলে অর্থাৎ রাশিয়ার থেকে যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করলে এই ধরনের কোপের মধ্যে পড়তে হতে পারে। ইতিমধ্যে তুরস্ক এর স্বীকার হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে ভারতবর্ষ এর আওতায় আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে, এবং মার্কিন কংগ্রেসে এই নিয়ে বিল পাশ হয়েগেছে।
কিছুমাস আগে রাশিয়া থেকে S-400 ক্রয় করার জন্য শেষ পর্যন্ত পাকাপাকিভাবে তুরস্কের উপর স্যাংশন জারি করেছিল আমেরিকা। দি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফর ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি ক্রিস্টোফার ফোর্ড Countering America’s Adversaries Through Sanctions Act (CAATSA) অনুযায়ী এই ঘোষণা করা হয়েছিল। এই নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী তুরস্কের অস্ত্র বিক্রির উপর জারি করা হয়েছে।পাশাপাশি আমেরিকা থেকে লোন নেওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তুরস্ক আমেরিকাকে এখন আর কিছু রপ্তানি করতে পারবে না।
তুরস্কের উপর এই স্যাংশন জারি করার পর ভারতবর্ষকেও সতর্ক করেছিল আমেরিকা। কারন ভারত ও ২০১৮ সালে ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে রাশিয়ার সাথে ৫ রেজিমেন্ট S-400 ক্রয় করছে, যা ইতিমধ্যে প্রথম রেজিমেন্ট ভারতবর্ষের হাতে এসেছে। আমেরিকা ভারতকে চাপে ফেলে এই এস ৪০০ চুক্তি বাতিল করার চেষ্টা করেছিল। S-400 এর বদলে আমেরিকার প্যাট্টিয়ট ও ডেভিড স্লিং ছিল। তাছাড়া এই চুক্তি বাতিল হলে আমেরিকার তরফ থেকে অত্যাধুনিক F-35 ও অফার করা হত বলে মত একাধিক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের।
ভারতের উপরে এই স্যাংশন জারি হলে ভারতবর্ষ আর কোন দেশকে অস্ত্র বিক্রি করতে পারবে না, পাশাপাশি আমেরিকার সাথে ব্যবসা বাতিল হবে। এমনকি আমেরিকার যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করা যাবেনা এবং যেগুলো আছে সে গুলো ব্যবহারের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। তবে তুরস্ক আর ভারত এক নয় আর সেই কারনে ইতিমধ্যে আমেরিকান কংগ্রেসে এই নিয়ে বিল পাশ হয়ে গেছে।