ইউক্রেনের কাছে কি কি মুল্যবান খনিজ সম্পদ রয়েছে জানেন?
ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ইউক্রেন যার জনসংখ্যা প্রায় ৪১ মিলিয়ন এবং ইউক্রেনে প্রচুর খনিজ সম্পদের ভান্ডার রয়েছে যেমন কয়লা, ম্যাঙ্গানিজ, প্রাকৃতিক গ্যাস, সালফার, টাইটেনিয়াম, নিকেল, পারদ।
** টাইটেনিয়াম প্রোডাকশনে ইউক্রেন বিশ্বে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
** ম্যাঙ্গানিজ উৎপাদনে ইউক্রেন বিশ্বে অষ্টম স্থানে রয়েছে। বছরে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিকটন ম্যাঙ্গানিজ উৎপাদন হয়।
** স্টিল রপ্তানিতে বিশ্বে নবম স্থানে রয়েছে ইউক্রেন।
** আয়রন নিষ্কাশনে বিশ্বে সপ্তম স্থানে আছে।
** গ্যালিয়াম নিষ্কাশনে দ্বিতীয় স্থানে।
** জার্মেনিয়াম নিষ্কাশনে পঞ্চম স্থানে।
** গ্রাফাইট নিষ্কাশনে অষ্টম স্থানে।
** ইউরেনিয়াম এর ক্ষেত্রে দশম স্থানে।
** কয়লাতে বিশ্বে সপ্তম।
মোট প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্যে ইউক্রেন বিশ্বে চতুর্থ। এছাড়াও ইউক্রেনে প্রচুর পরিমানে খাদ্যশস্য গম, ভুট্টা, রাই প্রভৃতি উৎপন্ন হয় অর্থাৎ ইউক্রেন একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপ্রধান দেশ। ইউক্রেন প্রায় ৬০০ মিলিয়ন লোকের খাদ্য চাহিদা মেটাতে পারে। ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পোন্নত দেশও ইউক্রেন। এজন্য ইউক্রেন দখল রাশিয়ার জন্য ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বড় কথা ইউক্রেনে সমুদ্র বন্দর গুলো গরম জলের যার জন্য সারবছর ধরে বানিজ্য হয়।
আমেরিকা ও ন্যাটো প্রথম থেকে ইউক্রেনকে সাপোর্ট করে এসে এখন গাছে তুলে মই কেড়ে নিয়েছে। রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী দেশ সেই তুলনায় ইউক্রেন নগন্য। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির জেলেনেস্কি জানাচ্ছে ন্যাটোর ২৭ টি সদস্য দেশ ইউক্রেনকে সাহায্য করতে রাজি নয়। সোজা কথায় আমেরিকা ও ন্যাটো জানিয়ে দিয়েছে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করতে পারবে না। ইউক্রেনের বর্তমান সরকার ও পশ্চিমাদের কথায় নেচে ভুল করল। আমেরিকা যে আসবে না সবাই জানত কারন আমেরিকার বহুদিনের স্বভাব এটা। অতীতে ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান থেকে পালিয়েছে আমেরিকা। পাকিস্তানকেও ১৯৭১ যুদ্ধে বঙ্গোপসাগরে ভারতের বিরুদ্ধে রেখে পালিয়েছিল। এই আমেরিকার কথা শুনে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবার পর ইউক্রেন তাদের পরমানু অস্ত্র রাশিয়াকে দিয়ে দিয়েছিল যার ফল এখন ভোগ করছে। এখন ইউক্রেনেকে শেষ মহূর্তে ডোবালো আমেরিকা। ইউক্রেনের এখন আত্ম সমপর্ন ছাড়া উপায় নেই, যত দেরী করবে তত ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে।
ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের জন্যে কষ্ট লাগছে ঠিকই, কিন্তু আজ ইউক্রেনের সাথে যা হচ্ছে তার জন্যে দায়ী ইউক্রেন নিজেই। নিজের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী না করলে মূল্য তো দিতে হবেই। ঠিক যেমন নেহেরু আমলে ভারত নিজের জমি চীন কে দিতে বাধ্য হয়েছিল।