Tejas মার্ক ২ যুদ্ধবিমানের যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে কেন এতো সমস্যায় আছে ভারতবর্ষ?
ইতিহাসের পাতা উল্টালেই দেখা মেলে নানা রকম যুদ্ধের। ভারতীয় ইতিহাসেও দেখা গেছে যুদ্ধের নানা চিত্র। আর এই যুদ্ধে জেতার জন্য দুই বিপরীত প্রতিপক্ষ দলকেই নানা যুদ্ধকৌশল অবলম্বন করতে দেখা গেছে। কিন্তু এখন যুগের বদল ঘটেছে এবং তার সাথে যুদ্ধ করার জন্য যে সমস্ত অস্ত্রের প্রয়োজন সেই সমস্ত অস্ত্রেও পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি তেমনই একটি অস্ত্র হলো Tejas MK2 যুদ্ধবিমান। ইতিমধ্যে Tejas Mk2 যুদ্ধবিমান প্রজেক্টটির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু জানুয়ারি (২০২৩) মাসের মাঝামাঝি সময় HAL(Hindustan Aeronautics Limited) চেয়ারম্যানের একটি বক্তব্যে চিন্তায় পড়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষী প্রেমীরা। HAL চেয়ারম্যান বলেছেন Tejas MK2 এর উড়ান হবে ২০২৬ এর শেষের দিকে অথবা ২০২৭ এর শুরুর দিকে। কারণ ভারত সরকার Tejas MK2 এর পরিক্ষণীয় বিমান গুলো তৈরি করার প্রয়োজনীয় টাকার অনুমোদন দিয়েছে জানুয়ারী ২০২৩ এ। যদিও HAL কিছু কাজ আগেই করে রেখেছে কিন্তু তাতে মাত্র কিছু মাস এর কাজ এগিয়ে থাকবে। সেই হিসাবে প্রথম বিমানটি তৈরি হবে ২০২৬ এর শেষে। যদি কোনো প্রযুক্তি গত জটিলতা আসে তবে বিমান তৈরী করার কাজ কিছুটা পিছিয়ে ২০২৭ এ গড়াতে পারে। এই বক্তব্যে ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রেমীদের মধ্যে রাগের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে।
তারা কখনো সরকারকে দোষ দিচ্ছে কারণ সরকার এই প্রজেক্টের টাকা দেরিতে দিয়েছে আবার কখনো HAL কে বা DRDO(Defence Research and Development Organisation) কে দোষ দিচ্ছে। আবার IAF (Indian Air Force) বিদেশি এজেন্ট বলে দোষ দিচ্ছে। তাদের ধারণা IAF Tejas MK2 কে নিয়ে উৎসাহিত নয়।
কিন্তু যে কোনো ফাইটার জেট বিমান তৈরী করতে অন্তত ১০-১২ বছর লাগে ।যুদ্ধ বিমান তৈরী করার মোটামুটি সময় এর বিশ্লেষণ এই রকম-
- ২-৩ বছর লাগে বিমানের প্রয়োজনীয় রূপরেখা তৈরি করা। বেশি লাগতে পরে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের বিমানের ক্ষেত্রে অনেক কিছু অজানা থাকে যা গবেষণা করে দেখতে হয়।
- আবার ২-৩ বছর লাগে বিমানের ডিজাইন তৈরি করতে।
- পরের ৭-৮ বছর লাগে বিমানের ওপর সব রকমের পরীক্ষা করতে এবং সার্টিফাইড করতে।
- তারপরে ৩-৪ বছর লাগে প্রোডাকশন এবং অপারেশন এর ব্যবস্থা তৈরী করতে।
সর্বোপরি সব মিলিয়ে ১২-১৪ বছরের ব্যাপার। এই কারণেই Tejas MK2 যুদ্ধবিমান প্রজেক্টটি সম্পূর্ণরূপে তৈরী হতে সময় লাগতে পারে।