পৃথিবী

যুদ্ধবিমানের নতুন ইঞ্জিন তৈরি করবে তুরস্ক

নিউজ ডেস্কঃ এক সাথে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করতে তুরস্কের পাকিস্তান তুর্কির টিএফএক্স এর পঞ্চম প্রজন্মের স্টেল্থ ফাইটার প্রোজেক্টে জয়েন্ট ভেঞ্চার পার্টনার হিসাবে যোগ দিয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় হল তুর্কীর হাতে বর্তমানে প্রযুক্তি নির্মানের সামান্য কিছু দক্ষতা থাকলেও পাকিস্তান ও তুর্কি, দুই দেশের হাতেই অর্থ না থাকার কারনে ধুঁকছে দুই দেশই। ইতিমধ্যে তুর্কির জিডিপি ৮৫২ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে  চলতি বছরে তাদের গ্রোথ ৩.৫শতাংশ হবে। এদিকে দেশে দ্রব্য মূল্য আকাশ ছুয়েছে।

শুধু তাই নয় দুটি দেশের কাছেই এই প্রোজেক্টর জন্য ইঞ্জিন নেই। আমেরিকার F110 ইঞ্জিন ব্যবহার করার কথা চিন্তা করছে, তবে এটা কত বড় বোকামির চিন্তা তা আর নতুন করে কিছু বলার নেই।

ইতিমধ্যে আমেরিকা পাকিস্তানের সাথে এফ-১৬ চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে। এফ-১৬ এর প্রযুক্তি চিনের কাছে যাতে না যায় তাই পাকিস্তানের এফ-১৬ এর ওপর নজর রাখার দায়িত্বে রাখা হয়েছে আমরিকার পার্মানেন্ট অফিসারদের পাকিস্তানের এয়ার বেসে। সেখানে এফ-১১০ তুর্কির পথ ধরে যাবে পাকিস্তানে?

তবে তুরস্কের ইঞ্জিন বানানোর প্রোজেক্ট রয়েছে। তবে নতুন ইঞ্জিন তৈরি করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

পাকিস্তান তুরস্কের সাথে নতুন এই প্রোজেক্ট যে করছে সেটা এই মুহূর্তে সকলের সামনে নিয়ে না আনলেই ভালো হত বলে মত একাধিক সামরিক বিশেষজ্ঞদের। কারন এই মুহূর্তে পাকিস্তান একরকম ভাবে চীনের উপনিবেশে পরিনত হয়েছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। চিনের এফ-৩১ উপেক্ষা করে তুর্কির সাথে জোএফ-১৭ এর রেডার প্রর্যন্ত চুক্তি করতে পারে নি। আর চিন এই পাকিস্তানকে অনুমতি দেবে এই কাজ করতে? 

আসলে এই দুই দেশ একই সাথে এই প্রোজেক্টে সামিল হওয়ার প্রধান কারন হল তাদের হাতে থাকা এফ ১৬ যুদ্ধবিমান গুলিকে রিপ্লেস করা। ২০২৩ সালে প্রোটোটাইপ সকলের সামনে আসবে বলে আশা করছে এই দুই দেশ, পাশাপাশি ২০২৬ প্রথমবার আকাশে দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পঞ্চম প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমান গুলি ২০৪৭ সালের মধ্যে তারা তাদের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের পুরোপুরিভাবে অপারেশানে রাখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.