ভারতবর্ষের গোয়েন্দারা কতোটা একটিভ রয়েছে আফগানিস্থানে?
নিউজ ডেস্কঃ আফগানিস্থানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে শুরু হয়েছে বিভিন্ন চাপানউতোর। আসলে চীন এবং পাকিস্তানের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকা তালিবান ভারতের বিরুদ্ধে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছেন, কিন্তু তালিবান নেতারা জানিয়েছেন যে ভারতবর্ষের সাথে তাদের কোন শত্রুতা নেই এবং ভারতবর্ষ চাইলে আফগানিস্থানে তাদের প্রোজেক্ট চালিয়ে যেতে পারে তার ফলে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল যে এতসব তো মুখের কথা আসলে সমস্যাটা কি হবে বর্তমানে?
আন্তর্জাতিক মহলের মতে সবথেকে বড় সমস্যা হবে দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্থানের মাটি ভারতবর্ষের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে দুর্গের মতো ছিল,যার পতন হবে। অন্যদিকে ভারতবর্ষের যে বিনিয়োগ রয়েছে আফগানিস্থানে সেটা তালিবানদের দখল করাটা ছিল এক মানুষিক যুদ্ধ। কারন আফগানিস্থানে ভারতবর্ষের বিনিয়োগ কখনওই পুঁজিবাদী বিনিয়োগ ছিল না। সেটা ছিল অনুদান।ভারতবর্ষের এমন কিছু বিনিয়োগ কি আফগানিস্থানে ছিল যা ভারতের রাজস্ব আসতে সাহায্য হত ! ভারতের লক্ষ্য ছিল আফগানিস্থানের উন্নতি। গ্রাউন্ড রিয়েলিটিতে আফগান সেনার হাতে থাকলেও যা হত তালিবানের হাতে থাকলেও তাই হবে। ভারতের এতে অর্থনীতির কোনও ক্ষতি হতে পারে না। তবে সমস্যা যেটা হতে পারে তাহল ইরান থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত যে রাস্তা হওয়ার কথা ছিল সেটা কেটে যাবে। রুট পরিবর্তন করা হতে পারে সেক্ষেত্রে। ইরানের চাবাহারে বিনিয়োগ বাড়বে এটাই তার প্রমান।
বর্তমানে ভারতবর্ষ কি করবে?
চুপ করে বসে সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে যেতে হবে। বিশেষ করে ভারতবর্ষের গোয়েন্দা সংস্থা নিজের কাজ করে যাবে।
একটা কথা খুব জরুরী তাহল ভারতবর্ষের প্রতিটা পদক্ষেপ খুব বুঝে ফেলতে হবে। একদিকে তালিবানকে বোঝাতে হবে যে ভারতবর্ষ তাদের বিরুদ্ধে নয়, তাদের শত্রু নয় আবার অন্যদিকে আফগান সেনাকে অস্ত্র সরবরাহ করে যেতে হবে গোপনে। সোজা কথা বলতে গেলে প্রক্সি ওয়ার খেলতে হবে আর মূল কাজ হবে TTP & Afghan Taliban সম্পর্ক উন্নয়ন। যাতে পাকিস্তান সবথেকে বড় সমস্যার মধ্যে পড়ে। কারন যারা বর্তমানে আনন্দ করছে তাদের সেই তরোয়ালকে ধিরে ধিরে তাদের বিরুদ্ধে দাড় করানোর জন্য আফগান তালিবানকে বিরাট আফগানিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখাতে হবে।