২৪ ঘণ্টার বদলে ১৮ ঘণ্টায় দিন। সাবমেরিনের জীবনযাপন
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের ডিফেন্স লাভারসদের প্রত্যেকেরই আশা আমাদের সাবমেরিন ফ্লিট আরো বড় হোক। তবে খুব কম মানুষেরই জানে আছে যে সাবমেরিনের ভেতরে থাকা ক্রুরদের আসল জীবনযাপন কেমন? একটি বন্দিদশা বা জেলের মধ্যে থাকার চেয়েও খুবই বাজে অবস্থায় থাকে বলে মনে করেন একদল বিশেষজ্ঞ। তাদের উপর কোনরকম অত্যাচার করা হয় বা তাদেরকে কোন খারাপ খাবার পরিবেশন করা হয় বা শুতে দেওয়া হয় না একদমই তেমন নয়। বিষয়টা তার চেয়ে আলাদা।
সাবমেরিনের মধ্যে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার দিনের সময় কমে যায়। ২৪ঘন্টার পরিবর্তে কমে হবে ১৮ঘন্টার। ৬ঘন্টার রোটেশান শিফ্ট। এখানে আপনাকে ৬ঘন্টা ওয়াচ টাইমে কাজ করতে হবে। বাকি ১৮ঘন্টায় মেইন্ট্যনেন্স, রিল্যক্স করা, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া এবং ঘুমানোর মত কাজ গুলিকে করতে হয়। পাশাপাশি নিজের বলতে কোন বিছানাই থাকে না। এখানে আপনি সেই বিছানায় ঘুমাবেন যেখানে আপনার সহ কর্মী কিছুসময় আগে তার ঘুম সম্পূর্ণ করে গেছেন। পুরো ক্রু মেম্বারদের জন্য মাত্র ২টো শাওয়ারের ব্যবস্থা থাকে। প্রতি ক্রু মেম্বার দের মাত্র ৩ থেকে ৫মিনিটে স্নান সম্পূর্ণ করতে হয়। খুব সামান্য জায়গায় ৬জন এক সাথে খেতে হয়।
সাবমেরিন ক্রু রা বহু সপ্তাহ থেকে নিউক্লিয়ার সাবমেরিনে বহু মাস একইভাবে দিন কাটাতে হয়। তারা বাড়ির সঙ্গে কোনোরূপ যোগাযোগ রাখতে পারেন না। সেল ফোন সাথে রাখার অনুমতি নেই। বিচ্ছিন্ন থাকেন গোটা পৃথিবী থেকে। কারন যোগাযোগ করতে গেলে সাবমেরিনের লোকেশান শত্রুদের প্যসিভ সেন্সর ট্র্যক করে নেবে।