ভারত

৫ স্কোয়ার্ড এস-৪০০। শক্তি বাড়ছে ভারতবর্ষের

নিউজ ডেস্ক – প্রতিনিয়ত একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশের যুদ্ধ বিমানের পরিকাঠামো।  যুদ্ধে উন্নতি  করা মানে দেশের উন্নয়নও বৃদ্ধি পাওয়া।  সুতরাং সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এবার বেশ নতুন কিছু যুদ্ধবিমান যুক্ত হচ্ছে ভারতে।  যার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার যুদ্ধক্ষেত্রের শক্তি।  

বর্তমানে ভারতে মোট ৫ স্কোয়ার্ডন এস-৪০০ যুক্ত হচ্ছে। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত স্কোয়ার্ডনগুলি এয়ার ডিফেন্স কমান্ড গঠন করে কাজ করবে। কার্যত এই ৫ স্কোয়ার্ড এস-৪০০ যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতে কি কি নতুনত্ব জিনিস কায়েম হতে চলেছে তার একটি তালিকা চট করে ঝালিয়ে নেওয়া যাক  —-  

  • ভারত ৫ স্কোয়ার্ডনে মোট ১০টি ব্যাটারি এস-৪০০ পাচ্ছে। এই সিস্টেম অপারেট করার জন্য ১০টি ব্যাটারির ক্ষেত্রে ৫টি ৫৫কে৬ই কম্যন্ড পোস্ট অথবা দুটি ব্যাটারির জন্য একটি বা প্রতিটির জন্য একটি কম্যন্ডপোস্ট থাকবে।  
  • ৫টি স্কোয়ার্ডনের জন্য  পাঁচটি বিগ বার্ড বা  টম্বস্টোন  রেডার এসা রেডার  রয়েছে অর্থাৎ প্রতি দুটি ব্যাটারির জন্য একটি টম্বস্টোন আছে। এগুলি কমপক্ষে ৮টির  বেশি টার্গেটে শনাক্ত করতে পারে। যথারীতি এদের রেঞ্জ গুলি হচ্ছে ৬০০ কিমি।
  • পাঁচটি স্কোয়ার্ডন  বা ১০টি  ব্যাটারির জন্য ১০টি  চেজবোর্ড রেডার।  প্রতি ২টি ব্যাটারির জন্য একটি টম্বস্টোন এবং চেজবোর্ড রেফারেন্স প্রতি ব্যাটারির স্যামের জন্য। এগুলির প্রত্যেকটি রেঞ্জ  ৩০০ কিমি। 
  • ১০টি ব্যাটারির জন্য ১০টি   গ্রেভস্টোন রেডার ফায়ার কন্ট্রোলার মিসাইলকে গাইড করার জন্য। এগুলি একসঙ্গে ১২টি ৪০এন৬ মিসাইল গাইড করতে পারে।  পাশাপাশি প্রত্যেকটি l/j-Band  -য়ের কাজ করে। এগুলি প্রত্যেকটি রেঞ্জ ৪০০ কিমি।  
  •  প্রতি ব্যাটারীতে ৮টি করে লঞ্চার থাকবে।  তার প্রত্যেকটির মোট ৫ স্কোয়ার্ডন বা ১০টি ব্যাটারিতে ৮×১০ = ৮০টি লঞ্চার এবং প্রতি লঞ্চারে ৪টি মিসাইল থাকবে। অর্থাৎ ৪×৮০ = ৩২০টি মিসাইল রেডি টু ফায়ার মুডে মধ্যে থাকবে

প্রতি ব্যটারিতে ৮টি করে লঞ্চার থাকবে। আর মোট ৫স্কোয়ার্ডন বা ১০ব্যটারিতে ৮*১০ = ৮০টি লঞ্চার। আর প্রতি লঞ্চারে ৪টি মিসাইল। অর্থাৎ ৪*৮০ =৩২০টি মিসাইল রেডি টু ফায়ার মুডে থাকবে। 

কোয়াড হল এমন একটা জিওপলিটিক্যাল পাওয়ার ব্যালেন্স যা প্যাসিফিক এ চীনের ক্রমবর্ধমান ইনফ্লুয়েন্স আটকাতে বদ্ধপরিকর-এর কয়েকটা স্যালিয়েন্ট পয়েন্ট হলো 

◆ চীনের মেরিটাইম স্ট্র্যাটেজির একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট OBOR যা প্যাসিফিক এ চীনের ন্যাভাল ও কমার্সিয়াল প্রেসেন্স যুগ্মভাবে সফল করতে উদ্যত।

◆ প্যাসিফিক এ চীন একচ্ছত্র অধিকার জমাতে পারলে সাউথ চায়না সি চীনের পক্ষে দ্বন্দ্বহীন হয়ে উঠবে।

◆ চীনের মধ্যপ্রাচ্য থেকে এনার্জি সাপলাই সিকিওর হবে ফলে চীনের যে কোনো রকম প্রলংড মিলিটারি একশনের পক্ষে সুবিধাজনক।

◆ ভারতের প্যাসিফিকে ন্যাভাল গতিবিধি চীন সহজেই বুঝতে পারবে।

◆ জাপান সহ চীন বিরোধী দেশ গুলোর ওপর সহজেই চীন প্রেসার ক্রিয়েট করতে পারবে।

◆আফ্রিকান কোন্টিনেন্ট এ চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য আটকানো যাবে।

তাই কোয়াডের মাসল আমেরিকা, হার্ট ভারত, ব্রেন জাপান ও অস্ট্রেলিয়া পুষ্টি। আর মোদীর নেতৃত্বে কোয়াডের বাকি সব নেতৃত্ব ভারতকে “কিং অফ প্যাসিফিক” বানানোর চেষ্টায় রত কারণ প্যাসিফিকে চীনের সাথে ন্যাভাল কনফ্লিক্ট কে ভারত সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা রাখে ও দ্বিতীয়ত যেকোনো রকম ন্যাভাল কনফ্লিক্ট যেমন দক্ষিণ চীন সমুদ্রে যদি কখনো চীনের সাথে ফুল কনফ্লিক্ট ও এনগেজমেন্ট হয় তবে প্যাসিফিক এ চীনকে আক্রমণ সানাতে ভারত , আন্দামান ও নিকবর একটা পারফেক্ট ন্যাভাল ও এয়ার বেস হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.