ভারত

চীন, পাকিস্তানের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ভারতবর্ষের তেজাস একাই যথেষ্ট

নিউজ ডেস্কঃ দেশীয় প্রযুক্তির তেজাসের ক্ষমতা ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। আর সেই কারনে বেশ কিছু দেশ যুদ্ধবিমান ক্রয় করার জন্য জানিয়েছে ভারতবর্ষকে। দাম কম হওয়ার পাশাপাশি এই লাইট ফাইটার যুদ্ধবিমানটি যেকোনো সময় শত্রুপক্ষের ঘুম কেড়ে নিতে পারে।

তেজাসকে আরও শক্তিশালি করতে বেশ কিছু টেকনিক্যাল পরিবর্তন করা হচ্ছে, পাশাপাশি বেশ কিছু জিনিস আপগ্রেড ও করা হচ্ছে। তেজাসের রেডার উত্তম মার্ক-১ এর কাজ প্রায় শেষ। ভারতের শেষ ৬৩টি তেজস মার্ক-১এ ভার্সানে এই রেডার থাকতে চলেছে। উত্তমের হাই স্কেল ভার্সান উত্তম মার্ক-২ তে ব্যবহার করা হবে, আর সেই কারনে এর নির্মানের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছ ইতিমধ্যে। সব থেকে দুটি কম দাম দেওয়া দুটি কোম্পানিকে বেছে নেওয়া হবে এটি তৈরি করার জন্য।

এসা রেডারের সব থেকে বড় সুবিধা হল রেডার গুলো হাইলি স্কেলেবেল। অর্থাৎ একটি এসা রেডারের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোনো বড় টেকনিকাল বাধা সেভাবে নেই। এর এ্যন্টেনাকে বড় করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই, কারন এই অ্যান্টেনাতে যাতে বেশি পরিমানে TR-Module বসাতে পারা যায়। পাশাপাশি পাওয়ার ইউনিটকে একটু বাড়িয়ে দেওয়া।

উত্তম মার্ক-২ তে ৯৯২টি TR-Module থাকতে চলেছে। যেখানে মার্ক-১ ভার্সানে আছে মাত্র ৭৮০টি। এই মার্ক-২ এর এ্যন্টেনার সাইজ বেশ কিছু বড় হতে চলেছে। বাকি সবকিছু মোটামুটি সমান থাকবে।

দুটি টেন্ডার বিজেতা কোম্পানিকে তেজস মার্ক-২ রোল আউটের ৭মাস আগে সিস্টেম ডেলিভারি দিতে হবে। তবে তেজস মার্ক-১এ ভার্সনের তুলনায় মার্ক-২ এর রেডার ডোম ২৭০ এমএম ছোট থাকবে। তবে মার্ক-১ এর তুলনায় মার্ক-২ অনেক বড় রেডার বহন করতে চলেছে।

আসলে উত্তম-২ কে ভারতবর্ষের বিমানবাহিনী এবং নৌসেনার মিগ-২৯ইউপিজি এবং মিগ-২৯কে/কুব ভার্সানে মোতায়েন করা হবে বলে ভাবা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তম মার্ক-৩ উন্নয়নের কথাও চলছে যাতে ১০০০+ TR-Module থাকবে। ভারতবর্ষের প্রধান যুদ্ধবিমান সুখোই-৩০এমকেআই তে মোতায়েন করার জন্য।

( বলা বাহুল্য যে এসা রেডারের পারফর্মেন্স মোট TR-Module এর ওপর নির্ভর করে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে নয়। অনেকসময় কম TR-Module এর রেডার বেশি TR-Module কে নাকানি চুবানি খাওয়াতে পারে পাওয়ার আউটপুট এবং সফ্টওয়্যারের উন্নত ভার্সন থাকার ফলে। যা সেই রেডার গুলির সক্ষমতা অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে)

Leave a Reply

Your email address will not be published.