আমেরিকার কোন ক্লাসের যুদ্ধবিমান সবাই সমীহ করে?
নিউজ ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক বাজারে যুদ্ধবিমানের দাম বিরাট। অর্থাৎ এক যুদ্ধবিমানের দামের সাথে যদি অন্য যুদ্ধবিমানের তুলনা করা হয় তাহলে হয়ত আকাশ পাতাল পার্থক্য হয়ে যায়। এবং এই পার্থক্য হওয়ার পেছনে বহু কারন থাকে। যুদ্ধবিমানের মানের থেকে শুরু করে প্রজন্ম এবং অনেক ক্ষেত্রে যুদ্ধবিমানের সাথে দেওয়া অস্ত্রের উপরও নির্ভর করে। আকাশ যুদ্ধে এগিয়ে থাকা পৃথিবীর বেশ কিছু যুদ্ধবিমান রয়েছে যাদের দাম সত্যি চমকে দেওয়ার মতো।
এফ ২২ র্যাপ্টর– আমেরিকার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। সার্ভিসে আসা এখনও পর্যন্ত এই বিমান যা পৃথিবীর সকল দেশের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সবথেকে ব্যায়বহুল যুদ্ধবিমান এটি। এখু পর্যন্ত আমেরিকা ছাড়া আর কোন দেশের হাতে এই যুদ্ধবিমান নেই। তবে ভবিষ্যতে ইসরায়েলের বায়ুসেনার কাছে এই যুদ্ধবিমান দেখা যাবে। লকহীড মার্টিন এভিয়েশন কর্পোরেশনের তৈরি এফ-২২ র্যাপ্টারের উৎপাদন ব্যয় ১৬২ মিলিয়ন ডলার। মোট ওজন বহন করতে পারে ৮,০০০ কেজি। প্রতি ঘণ্টায় এটির জন্য খরচ হয় প্রায় ৬৫,০০০ ডলার। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন যে এই যুদ্ধবিমান নিজেদের বুমান বহরে রাখতে কত টাকা ব্যয় করতে হয় আমেরিকাকে।
এফ ৩৫- স্টেলথ ক্ষমতা সম্পন্ন আরও এক মার্কিন যুদ্ধবিমান। যুদ্ধবিমানটির বিক্রয় মূল্য ৯০ মিলিয়ন ডলার। তবে এফ-৩৫বি ১০৫ এবং এফ-৩৫সি ১১৫ মিলিয়ন ডলার। যুদ্ধবিমানটির পে-লোড ক্ষমতা ৮,১০০ কেজি। প্রতি ঘণ্টা এই যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ প্রায় ৩৬,০০০ মার্কিন ডলার।
এফ-১৫ ঈগল- আমেরিকার ইতিহাসে এমন এক যুদ্ধবিমান যা সারা পৃথিবীর ত্রাসের কারন। আমেরিকা ছাড়াও প্রচুর দেশের বিমানবাহিনীতে এই যুদ্ধবিমানে দেখা যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম ১০০ মিলিয়ন ডলার। যুদ্ধবিমানটির পে লোড ক্ষমতা ১০,৪০০ কেজি, পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ২২-২৪ হাজার ডলার।
এফ-১৮ সুপার হর্নেট- ভারতের নতুন যুদ্ধজাহাজ আই এন ভিক্রান্তের জন্য এই যুদ্ধবিমানকে ক্রয় করা হতে পারে। যুদ্ধবিমানটির দাম ৭০-৭৫ মিলিয়ন ডলার। পে লোড ক্ষমতা ৮,০০০ কেজি রক্ষানাবেক্ষন খরচ ৯,০০০ ডলার।