রাশিয়া

ফ্রান্সকে কয়েক সেকেন্ডে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে রাশিয়া

নিউজ ডেস্কঃ বর্তমানে প্রায় গোটা বিশ্ব জুড়েই চলছে এক সামরিক অস্থিরতা। টাল মাটাল এই পরিস্থিতিতে দেশের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধিকে পাখির চোখ করেছে তাবড় তাবড় বিভিন্ন দেশ ই। শুধু উন্নত দেশ গুলোই নয়, দৌড়ে সামিল হয়েছে উন্নয়নশীল নানা দেশ ও। এর থেকেই কার্যত শুরু হয়ে গেছে এক সামরিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা। তবে, প্রতিযোগিতায় আমেরিকা, চীনের মত দেশগুলিকে পেছনে ফেলে দিয়ে অনেকটা এগিয়ে গেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার সামরিক শক্তির কথা অজানা নয় কারোরই। ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই ক্রমশ নিজের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে রাশিয়া। সেই দেশের সামরিক বাহিনীর বিপুল অস্ত্রভাণ্ডারে সম্প্রতি যোগ হতে চলেছে আরএক নতুন পালক। শীঘ্রই একটি শক্তিশালী মিসাইল আনতে চলেছে পুতিনের এই দেশ। জানা যাচ্ছে খুব দ্রুত “সারমাত” নামক নতুন প্রজন্মের এই আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আর-এস-২৮ কে ইতিমধ্যে সার্ভিসে নিয়ে এসেছে দেশের সামরিক বাহিনী। সাইবেরিয়ার ক্রাসনোয়ারস্ক অঞ্চলে সারমাত-এর পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। মস্কোর দাবি মহাশক্তিশালী এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ফ্রান্সের মত বৃহদাকার দেশকেও অতি সহজে ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম।

রাশিয়ার এই দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা থাকলেও মিসাইলটি যে প্রচন্ড শক্তিশালী তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে “সারমাত” এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী মিসাইল গুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিধর দেশগুলিকে চাপে ফেলে ইতিমধ্যেই খবরের সত্যতা স্বীকার করে সেখানকার স্থানীয় এক সামরিক পত্রিকাকে জানানো হয়েছে সার্ভিসে থাকলেও অদূর ভবিষ্যতেই  সারমাত আর-২৮ নামক আন্তঃমহাদেশীয় এই  ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা শুরু হবে। এই মিসাইল নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন থাকলেও এখনও অব্দি আশানুরূপ ফল পাওয়া গেছে বলেই দাবি করেন রাশিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

সূত্রের খবর অনুযায়ী সারমাত আর – এস – ২৮ এর ওজন প্রায় ২০৮ টন। শক্তিশালী এই মিসাইলটি খুব সহজেই প্রায় ৬ হাজার ২০০ মাইল দূরে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে, এখানেই থামতে নারাজ রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। অতীব ক্ষমতাশালী এই ব্রহ্মাস্ত্রকে নিখুঁত করে তুলতে বর্তমানে লাগাতার কাজ করে চলেছেন সে দেশের বেশ কিছু বিজ্ঞানী।

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন মিসাইলটির ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন। “সারমাত” এর ওপর রাশিয়ার গবেষণার ব্যাপারে অন্যান্য দেশ গুলির কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত পাওয়া না গেলেও ভবিষ্যতে যে এটি বেশ কিছু শক্তিধর দেশেরই গলার কাঁটা হয়ে উঠতে পারে তা বলা বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published.