ভারত

ভারতীয় নৌবাহিনী দপ্তরে গোয়েন্দাগিরি চীনের!

নিউজ ডেস্কঃ চীনের সাথে ভারতের সংঘর্ষের পর দুই দেশের ব্যবসার উপর যে এক বিরাট প্রভাব পড়েছে তা বলাই বাহুল্য। বিশেষ করে চীনের সমস্ত ধরনের টেকনোলোজির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। কারন একাধিক সুত্রের মতে চীনের এই টেকনোলোজির মাধ্যমেই ভারতের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। এর সেই কারনে চীনের সমস্তরকম টেকনোলোজি দেখার পাশাপাশি বর্জন করা হচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে বিরাট বড় পদক্ষেপ ভারতের নৌবাহিনীর। চীনের কোম্পানি গুলির সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা ধ্বংস করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কয়েক মাস আগে।

ভারতীয় নৌবাহিনীর জরুরী ভিত্তিতে ভারতবর্ষের সমস্ত দপ্তরের সিসিটিভি খুলে ফেলার  নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হটাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত নিল ভারত? আসলে ভারতবর্ষের Apex সিকিউরিটি এন্ড ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি জানিয়েছে ভারতে যত CCTV ক্যামেরা রয়েছে তার বেশীরভাগই চীনের সাথে জড়িত বা সেখান থেকেই এসেছে।আর তার ফলে ডাটা বা তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

ভারতীয় নৌবাহিনী যেসব সারভিলেন্স ক্যামেরা ব্যবহার করে তার বড় অংশ Hikvision এর। আর এই কোম্পানির ৪১% শেয়ার চীনের।শুধু দিল্লিতেই ১.৫ লাখ ক্যামেরা সরবরাহ করা হয়েছে। এমনকী শিয়ালদহ স্টেশনেও এই ক্যামেরা ব্যবহার হয়, ট্রাফিক সিগন্যালেও। ভারতে মোট CCTV ক্যামেরার ৩৫% Hikvision এর। ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে বিশেষ পোগ্রাম বা কোডিং সার্ভারের মাধ্যমে অথবা Wi-fi কানেক্টিভিটির স্পেশাল হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে এই তথ্য ফাঁস হতে পারে। এরপরই নৌবাহিনী এইসব ক্যামেরা সরানোর নির্দেশ দিয়েছে এবং ইতিমধ্যে নতুন ক্যামেরার অর্ডার ও করা হয়েগেছে। পুরোনো সব চীনের এই ক্যামেরা গুলি ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।

সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে চীনের ক্যামেরা বসানোর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যারা ছাড়পত্র দিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.