ভারত

চীনের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জবাব দিতে কি প্ল্যান ভারতবর্ষের?

নিউজ ডেস্কঃ ২০১৭ সালে চীনের হাতে এসেছিল তাদের তৈরি করা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। তাদের তৈরি করা এই যুদ্ধবিমানের ডিসাইন থেকে শুরু করে স্টেলথ ক্ষমতা যে আমেরিকার থেকে চুরি করা তা অনেকদিন আগেই প্রকাশ পেয়েছে। এবং সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে তাদের তৈরি এই যুদ্ধবিমান গুলি এখনও সকলের সামনে নিয়ে আসা হয়নি, অর্থাৎ তারা এই যুদ্ধবিমান গুলি কোন দেশের এয়ার শো তে নিজেদের প্রমান করার সাহস দেখায়নি। বেশিরভাগটাই গোপনে হয়েছে। অর্থাৎ তাদের এই যুদ্ধবিমান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে একাধিক সংশয় রয়েছে, যে তাদের তৈরি এই যুদ্ধবিমান আদৌ পঞ্চম প্রজন্মের ক্ষমতা আছে তো? যাই হোক এই যুদ্ধবিমান চীনের বায়ুসেনার হাতে আসার পর অনেকের প্রশ্ন যে ভারত এই যুদ্ধবিমানের মোকাবেলা করতে সক্ষম?

সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন থেকে শুরু করে স্টেলথ ক্ষমতা বা ইঞ্জিন কেমন সেটা সম্পর্কে কোন সঠিক তথ্য জানা যায়। কিন্তু চীন সেইভাবে এখনও কিছু জানায়নি তাদের এই যুদ্ধবিমান নিয়ে অর্থাৎ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের সবথেকে বড় ব্যাপার হল সেই যুদ্ধবিমানের স্টেলথ ক্ষমতা। চীনের এই যে ২০ যুদ্ধবিমানের স্টেলথ ক্ষমতা আমেরিকার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এফ ২২ র‍্যাপ্টরের সাথে তুলনা করে যা সকলের সামনে নিয়ে এসে কোনোদিন প্রমাণই করেনি, অতয়েব বিরাট একটা প্রশ্ন থেকে যায়। এই যুদ্ধবিমানের স্টেলথ ক্ষমতা সম্পন্ন করার জন্য যুদ্ধবিমানটির নোস এবং ক্যানোপির ডিসাইন আমেরিকার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান থেকে চুরি করা। 

ইঞ্জিন। যুদ্ধবিমানটির ইঞ্জিন হল রাশিয়ার সু ২৭ যে ইঞ্জিন ব্যবহার করে সেই ইঞ্জিন।saturn al 31 ইঞ্জিন ব্যবহার করে এই যুদ্ধবিমান যা ভারতবর্ষের প্রধান যুদ্ধবিমান সুখই সু ৩০ ব্যবহার করে থাকে। বলা বাহুল্য যে এই ইঞ্জিনটি ১৪৫ kn থ্রাস্ট উৎপন্ন করে থাকে। অতয়েব চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন ব্যবহার করে থাকে চীন। এবং রাশিয়ার এই ইঞ্জিন গুলি অর্থাৎ চীনের হাতে থাকা যে ২০ র ইঞ্জিনে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। 

রেডার বা জ্যামিং ক্ষমতা। এই যুদ্ধবিমানের রেডার চীনের নিজের তৈরি যা এখনও পর্যন্ত জানায়নি যে তারা কি রেডার ব্যবহার করে। যুদ্ধবিমানটির কমিউনিকেশান বা যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য আবার তারা আমেরিকার এফ ৩৫ এর টেকনোলোজি চুরি করেছে। যাই হোক যুদ্ধবিমানটির রেডার এবং জ্যামিং ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

খুব ভালোভাবে দেখলে যুদ্ধবিমানটির বেশিরভাগ জিনিস চুরি করা এবং বিদেশ থেকে ক্রয় করা।। অর্থাৎ চীন যতই বলুক যে তাদের এই যুদ্ধবিমান দেশীয় প্রযুক্তির, সেটা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয় বলে মোট সামরিক বিশেষজ্ঞদের। 

এবার প্রশ্ন হল যে ভারতবর্ষ কি চীনের এই বিমানের মোকাবেলা করতে সক্ষম?

চীনের এই যুদ্ধবিমানের সামসামনি হতে ভারতের দুটি ভালো যুদ্ধবিমান আছে। প্রথমটি হল ভারতের ব্যাক বোন সুখই সু ৩০ এবং দ্বিতীয়টি রাফালে। ভারতের হাতে থাকা  যুদ্ধবিমান দুটির ইঞ্জিন, কমিউনিকেশান ব্যবস্থা চীনের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান থেকে বেশ এগিয়ে। অপরদিকে তাদের এই যুদ্ধবিমান গুলি ব্যাটেল প্রুভেন নয়। ভারতের যুদ্ধবিমান গুলি রেডার থেকে শুরু করে জ্যামিং ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলের অত্যাধুনিক টেকনোলোজি ব্যবহার করে থাকে। 

চিনের সামরিক শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক সেনা অফিসার জানিয়েছেন, বায়ুসেনা খুব সহজেই সামলে নিতে সক্ষম J20-র আক্রমণ।

অপরদিকে রাশিয়া থেকে আসছে S-400 মিসাইল সিস্টেম। আর তা দিয়েই উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব চিনের ওই যুদ্ধবিমান। চিনের ওই যুদ্ধবিমান আসলে প্রকৃত অর্থে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নয়। কারণ এতে স্টিলথ ফিচারের অভাব রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন এক সামরিক বিশেষজ্ঞ।

গত মাসেই J-20 ফাইটার জেটের কথা ঘোষণা করেছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যদিও এখনও সেই যুদ্ধবিমান কার্যকর হতে অনেক দেরি। এয়ার মার্শাল কেকে নোওয়ার জানিয়েছেন, ‘J-20 কে আয়ত্তে আনা ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে কোনও ব্যাপারই নয়।এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেম ৪০০ কিলোমিটার দুরে থাকা যুদ্ধবিমান, মিসাইল ওই ড্রোন উড়িয়ে দিতে সক্ষম। অতয়েব চীনের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের মোকাবেলা করা কোন প্রশ্ন চিহ্ন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *