অ্যামেরিকা

“ধ্বংসের অস্ত্র”। আমেরিকার বিরুদ্ধে পুতিনের কিঞ্জাল মিসাইল কতোটা ভয়ংকর?

নিউজ ডেস্কঃ আমেরিকার এবং রাশিয়ার সম্পর্ক যে আদায় কাচকলায় তা কমবেশি সকলেরই জানা। রাশিয়ার ডিফেন্স বাজেট আমেরিকার ডিফেন্স বাজেটের ১০ ভাগের এক ভাগের থেকেও কম। অর্থাৎ আমেরিকার ডিফেন্স বাজেট প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার, আর সেখানে রাশিয়ার মাত্র ৭০ মিলিয়ন ডলার ও না। কিন্তু তারা যে আমেরিকার থেকে কোনও অংশে কম নয় তা একাধিকবার স্পষ্ট হয়েছে। কিছুদিন আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন যে তারা শব্দের থেকে ১০ গুন বেশি গতির ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে। আর ঠিক সেই মতো সকলকে চমকে দিয়ে শব্দের থেকে ১০ গুন গতির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে তারা। বিশেষজ্ঞেরা এই ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্রকে “ধ্বংসের অস্ত্র” বলে আখ্যায়িত করেছে।

অস্ত্রটির অফিসিয়াল নাম ‘কে এইচ -৪৭ এম ২ কিঞ্জাল’ (Kh-47M2 Kinzhal)। রাশিয়ার এই অস্ত্রটিকে “ডুমসডে ওয়েপন’ বা ধ্বংসের অস্ত্র বলে অভিহিত করা হয়েছে। এটির গতিবেগ ১২,২৫০ থেকে ১৪,৭০১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এটি একটি এয়ার টু সার্ফেস অর্থাৎ আকশ থেকে ভুমিতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রকে যেকোনো বিধ্বংসী প্রযুক্তি দিয়েও আটকানো বা ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।

রাশিয়ার এই ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্রটির রেঞ্জ ২০০০ কিলোমিটার। এটি জলের নীচে থাকা যেকোনো টার্গেটও নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রের দৈর্ঘ্য আট মিটার ও প্রস্থ এক মিটার। এতে প্রায় ৫০০ কেজির নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড থাকা সম্ভব। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে মিগ-৩১ বি এম (MiG-31BM) থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়। এছাড়াও রাশিয়ার সু ৫৭ পঞ্চম প্রজন্মের বিমানেও লাগানো হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *