ফিচার আর্টিকেল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভারতবর্ষ, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামের মতো দেশ গুলিকে স্বাধীন করতে কেন বাধ্য হয়েছিল ফ্রান্স, ইংল্যান্ড?

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্য বলা হয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ থেকে বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিক পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিস্তার এতটা হয়ে গিয়েছিল যে বলা হত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনও সূর্যাস্ত হয়না। যদিও সভ্যতার প্রাচীন কাল থেকেই একটি গোষ্ঠী বা একটি ছোট ভূমির অধিপতি কিংবা কোন দেশের রাজা পাশের কোনও অঞ্চলের শাসকের উপর আক্রমন করতো নিজের ভূখন্ডের বিস্তার বাড়াতে। তবে আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে ঔপনিবেশবাদের সূচনা করে পনেরো শতক এডিতে ইউরোপীয়ান শক্তিগুলো। পনেরো শতক থেকেই ব্রিটেন, ফ্রান্স, পর্তুগাল, ডাচ, স্পেন সহ একাধিক ইউরোপীয়ান দেশ নতুন নতুন দেশ আবিষ্কার ও সেই দেশকে নিজেদের উপনিবেশ করার প্রতিযোগিতা শুরু করে। ধীরে ধীরে সমস্ত ইউরোপীয়ান শক্তিগুলোর মধ্যে ব্রিটেন ও ফ্রান্স সুপার পাওয়ার হয়ে ওঠে। তবে ব্রিটিশদের মতো শক্তিশালী ফ্রান্সও ছিলনা। বরাবরই ব্রিটিশ নৌবাহিনী সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল যার কারনে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্য তৈরি করে ব্রিটেন। তবে বিংশ শতাব্দীতে বিশেষ করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয়ান শক্তিগুলোর সাম্রাজ্যে সূর্যাস্ত শুরু হয়, একের পর এক দেশ স্বাধীন হতে থাকে। কখনও সূর্যাস্ত না হওয়া বিশাল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যও ভেঙে পড়ে। 

পনেরো শতকে ইউরোপীয়ান দেশগুলো শক্তিশালী নৌবাহিনী থাকার কারনে নতুন সমুদ্র পথ ও নতুন দেশ আবিষ্কারের প্রতিযোগিতা শুরু করে। পনেরো শতকে পর্তুগাল ও স্পেন এবং ষোলো শতকে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং ডাচরা ইউরোপের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল। কিন্তু বিংশ শতক আসতে আসতে এই তালিকায় জার্মানি, রাশিয়া ও জাপান যুক্ত হয়, যদিও জাপান একটি এশিয়ান দেশ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি ও অটোমান সাম্রাজ্যের পরাজয়ের পর তাদের উপনিবেশ লিগ অফ নেশনসের অধীনে চলে আসে। কিন্তু যেহেতু লিগ অফ নেশনসের নিজস্ব কোনও সেনাবাহিনী ছিলনা তাই জার্মানি ও অটোমান সাম্রাজ্যের উপনিবেশ মিত্র শক্তি অর্থাৎ ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। ব্রিটেনের উপনিবেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ ছিল ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও কেনিয়া। আলজেরিয়া, ভিয়েতনামের মতোন বড় দেশ ফ্রান্সের অধীনে ছিল এবং মধ্য এশিয়ান দেশগুলো যেমন কাজাখিস্তান, উজবেকিস্তান রাশিয়ার অধীনে ছিল। অ্যাঙ্গোলো, মোজাম্বিক ছিল পর্তুগালের অধীনে। 

১৯৪০ সাল আসতে আসতে অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এশিয়ার দেশ জাপানও তার সাম্রাজ্য বিস্তার শুরু করে। ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালাক্কা প্রনালীর আশেপাশের অঞ্চল, ভিয়েতনাম, মায়ানমার এবং উত্তর পূর্ব ভারতের কিছু অংশ পর্যন্ত জাপানের দখলে চলে যায়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর জাপানের সাম্রাজ্য আবারও পূর্বের ইউরোপীয়ান দেশগুলোর অধীনে চলে যায়। আমেরিকা উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে থাকলেও প্রশান্ত মহাসাগরে ফিলিপিন্স, সামোয়ার মতোন দেশ আমেরিকার অধীনেই ছিল কারন প্রশান্ত মহাসাগরে আমেরিকার আধিপত্য বজায় রাখতে এই দেশগুলো দরকার ছিল আমেরিকার। ঔপনিবেশবাদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই ধ্বংস হতে শুরু করে। ঔপনিবেশবাদ ধ্বংস হওয়ার প্রধান কারন বলা হয় দেশগুলোর মধ্যে ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া জাতীয়তাবাদ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে উপনিবেশ গুলোর মধ্যে স্বাধীনতার দাবী উঠতে শুরু করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে থেকে একমাত্র ভারতবর্ষ বাদে কোনও দেশে স্বাধীনতার দাবী ওঠেনি তেমন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেন ভারত, ইন্দোনেশিয়ার মতোন দেশগুলোক স্বাধীনতা দেওয়ার দাবী করে কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন তাদের দাবী থেকে সরে আসে। যার কারনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথমের দিকে অক্ষশক্তি যখন ব্রিটেন, ফ্রান্স সহ মিত্রশক্তির অবস্থা খারাপ করে দেয় এবং সেনা সংখ্যায় ঘাটতি দেখা যায়, তখন বাধ্য হয়ে উপনিবেশ অঞ্চল গুলোকে যুদ্ধে নিজেদের পক্ষে করতে আমেরিকা ও ব্রিটেন ১৯৪১ সালে আটলান্টিক চার্টার ঘোষনা করে যাতে বলা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোন ঔপনিবেশবাদ থাকবেনা। এই আটলান্টিক চার্টারই পরে জাতিসংঘের গঠনের ভিত রচনা করে। 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন দুই সুপার পাওয়ারের উত্থান ঘটে। আমেরিকা বিশ্বজুড়ে মুক্ত বানিজ্য ও গনতন্ত্র প্রচারের লক্ষ্য নেয় এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন কমিউনিজম প্রচারের লক্ষ্য নেয় যার জন্য উপনিবেশ গুলোকে স্বাধীন হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে কারন কোন দেশের অধীনস্থ দেশের কোন স্বাধীনতা থাকেনা। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উপনিবেশ গুলোর স্বাধীনতা সহজে আসেনি। দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়। অনেক দেশে যেমন উগান্ডা, রোয়ান্ডাতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, জিম্বাবুয়ে, প্যালেস্টাইন, ভিয়েতনাম, আলজেরিয়ার মতোন দেশ শর্তসাপেক্ষে স্বাধীনতা পায়। 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দক্ষিন পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো একে একে স্বাধীন হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আফ্রিকাতে ব্রিটেন, স্পেন ও ইতালি তুলনামূলক তাড়াতাড়ি সহজ ভাবে উপনিবেশ গুলোকে স্বাধীনতা দিয়েছিল কিন্তু সেই তুলনায় ফ্রান্স, পর্তুগাল যথেষ্ট লড়াইয়ের পর আফ্রিকান দেশগুলোকে স্বাধীনতা দিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে আফ্রিকাতে একমাত্র মিশর, লাইবেরিয়া ও ইথিওপিয়া স্বাধীন ছিল। কিন্তু মিশরে রাজতন্ত্র ফিরে এসেছিল। ১৯৫২ সালে মিশরে রাজতন্ত্র গামাল আব্দেল নাসের উৎখাত করে মিশরের রাষ্ট্রপতি হয় এবং আশেপাশের দেশগুলোকে স্বাধীনতায় সাহায্য করে। ১৯৫৬ সালে সুয়েজ যুদ্ধে ব্রিটিশ ও ফ্রান্সের সেনাবাহিনীকে যথেষ্ট টেক্কা দিয়েছিল মিশর যার পরেই ব্রিটেন বুঝে যায় আফ্রিকার উপনিবেশ গুলোকে স্বাধীনতা দিতে হবে। আফ্রিকাতে ব্রিটেন উপনিবেশ গুলোকে স্বাধীনতা দিয়েছিল সাদা চামড়ার মানুষের জনঘনত্বের বিচারে। যেমন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানা ১৯৫৭ সালে স্বাধীন হয় কিন্তু মধ্য আফ্রিকার অধিক সাদা চামড়ার জনঘনত্ব যুক্ত জিম্বাবুয়ে সবচেয়ে শেষে ১৯৮০ সালে স্বাধীনতা পায়। জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতার পিছনে পাশ্ববর্তী দেশ মোজাম্বিকের অনেক ভূমিকা আছে। 

১৯৭৫ সালে ব্যাপক সংঘর্ষের পর মোজাম্বিক ও অ্যাঙ্গোলা দেশ দুটোকে স্বাধীনতা দিতে বাধ্য হয় পর্তুগাল। মোজাম্বিক জিম্বাবুয়ের লোককে গোরিলা প্রশিক্ষন দিয়ে আশ্রয় দেয় এবং সেখান থেকে ব্রিটেনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়। অবশেষে ১৯৮০ সালে ব্রিটেন বাধ্য হয় জিম্বাবুয়েকে স্বাধীনতা দিতে। ইউরোপীয়ান শক্তিগুলোর মধ্যে ফ্রান্স একমাত্র দেশ যারা দীর্ঘ সংঘর্ষের পর আফ্রিকান দেশগুলোকে স্বাধীনতা দেয়। যেমন আলজেরিয়াকে ফ্রান্স আলাদ দেশ ভাবতোইনা। ফ্রান্সের বক্তব্য ছিল আলজেরিয়া তাদেরই অংশ। ১৯৫৪ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর বিশ্বরাজনীতিতে ফ্রান্সের প্রভাব কমে যায় যার কারনে তিউনিসিয়া, মরোক্ক, মাদাগাস্কার ও আলজেরিয়ার মতোন দেশ একে একে স্বাধীন হয়ে যায়। আলজেরিয়া স্বাধীন হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে গোরিলা যুদ্ধ করেছিল ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। তাছাড়া মিশরের রাষ্ট্রপতি গামাল আব্দেল নাসেরের আরব জাতীয়তাবাদও সাহায্য করেছিল আলজেরিয়ার স্বাধীনতায়। ইতালিও সোমালিয়াকে স্বাধীন করে দেয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। দক্ষিন পূর্ব এশিয়াতে ভিয়েতনাম ফ্রান্সের উপনিবেশ, মায়ানমার, সিঙ্গাপুর ব্রিটিশ উপনিবেশ এবং ফিলিপিন্স আমেরিকার উপনিবেশ ছিল। এদের মধ্যে ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সবচেয়ে জটিল ও রক্তাক্ষয়ী ছিল। 

১৮৬০ থেকে ১৯৪০ অবধি ভিয়েতনাম ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। ১৯৪১ সালে জাপান ভিয়েতনাম দখল করে নেয় ফ্রান্সের থেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর ভিয়েতনামের উত্তরাংশ মিত্র শক্তি এবং দক্ষিন অংশ ব্রিটেনের অধীনে চলে যায়। কিছু মাস বাদে ব্রিটেন দক্ষিনাংশ ফ্রান্সকে দিয়ে দেয়। কিন্তু ফ্রান্স যখন উত্তর ভিয়েতনাম নিজের নিয়ন্ত্রনে নিতে যায় তখন উত্তর ভিয়েতনামে চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থনে হো চি মিন গোরিলা যুদ্ধ শুরু করে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৪ সাল অবধি আট বছর ধরে চলা গোরিলা যুদ্ধে ফ্রান্স পরাজিত হয় এবং ১৯৫৪ সালে জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী উত্তর ভিয়েতনাম ও দক্ষিন ভিয়েতনাম দুটো আলাদা দেশ গঠন হয় এবং লাওস, কম্বোডিয়া স্বাধীন হয়। দক্ষিন ভিয়েতনামের শাসক স্বৈরাচারী, দূর্নীতি পরায়ন হওয়ায় এবং সংখ্যা গরিষ্ঠ বৌদ্ধ জনসংখ্যার উপর অত্যাচার করায় উত্তর ভিয়েতনামের ভিয়েতকং গোরিলা যোদ্ধারা দক্ষিন ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। 

১৯৬৫ সালে আমেরিকা দক্ষিন ভিয়েতনামের সরকারকে বাঁচানোর জন্য উত্তর ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে সেনা পাঠায় কিন্তু ভিয়েতকং বাহিনীর প্রবল যুদ্ধে বাধ্য হয়ে প্যারিস শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ১৯৭৩ সালে আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ভিয়েতনাম থেকে এবং দক্ষিন ভিয়েতনাম দখল করে নেয় উত্তর ভিয়েতনাম এবং দুই ভিয়েতনাম যুক্ত হয়ে ১৯৭৫ সালে ভিয়েতনাম দেশ গঠিত হয়। ইন্দোনেশিয়া ছিল ডাচ বা নেদারল্যান্ডসের উপনিবেশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান ইন্দোনেশিয়া দখল করে নেয়। জাপানের পরাজয়ের পর ১৯৪৫ সালে ইন্দোনেশিয়াতে সেনা পাঠায় নেদারল্যান্ডস কিন্তু আমেরিকার চাপে নেদারল্যান্ডস পিছিয়ে আসে এবং ১৯৪৯ সালে ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা পায়। অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর তুরস্ক স্বাধীন হয়ে যায় কিন্তু বাকী মধ্যপ্রাচ্যকে ব্রিটেন ও ফ্রান্স নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। ইরাক, প্যালেস্টাইন, জর্ডন যায় ব্রিটেনের অধীনে। সিরিয়া, লেবানন ফ্রান্সের অধীনে চলে যেত। বাহরিন, কাতার, কুয়েত পরোক্ষ ভাবে ব্রিটেনের অধীনেই যায়। মধ্যপ্রাচ্যের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একাধিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।

১৯১৭ সালে ব্যালফোর ডিক্লেয়ারেশনের মাধ্যমে প্যালেস্টাইনকে ভাগ করে ইসরায়েল তৈরির ঘোষনা করে। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে তৈরি হয় ইসরায়েল নামক দেশ কিন্তু এরই সাথে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি সংঘর্ষেরও জন্ম হয়। ইসরায়েল দেশ তৈরি হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে একাধিক সংঘর্ষ হয় যার প্রত্যেকটিতেই ইসরায়েল জয় লাভ করে। ইসরায়েল ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ইরাক যুদ্ধ, গল্ফ যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ সহ একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় শক্তিগুলো উপনিবেশ গুলোকে স্বাধীনতা দেওয়ার আরও একটি বড় কারন ছিল অর্থনৈতিক দুর্দশা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে সুপার পাওয়ার ব্রিটেন ও ফ্রান্সের অর্থনীতি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরই ভেঙে পড়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের অর্থনীতির কফিনে শেষ পেড়েকটি যোগ হয় যার কারনে উপনিবেশকে শাসন করার ক্ষমতা ছিলনা ইউরোপীয়ানদের। ইউরোপীয় দেশগুলো আমেরিকার থেকে ঋন নিয়ে নিজেরাই তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যস্ত ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.