ফিচার আর্টিকেল

আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বর্তমানে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ক্রুড অয়েল প্রতি ব্যারেল পিছু দাম অত্যন্ত বেড়ে গেছে। বর্তমানে প্রতি ব্যারেল পিছু দাম প্রায় ১০০+ ডলার হয়েছে যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশী। এবার আপনাদের একটা কথা বলি অনেকের ধারনা ক্রুড অয়েলের দাম বাড়লে হয়ত শুধু পেট্রোল ডিজেলের দামই বেড়ে যাবে কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। ক্রুড অয়েল পেট্রোলিয়ামেরই একটি অংশ তবে ক্রুড অয়েল কে সংশোধন করে অনেক প্রোডাক্ট তৈরি করা হয় যা আমাদের নিত্য প্রয়োজনে দরকার হয়। আমাদের রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাসের দাম ও অনেকাংশে নির্ভর করে এই ক্রুড অয়েলের উপর। সোজা কথায় ক্রুড অয়েল কে গরম করে তাপমাত্রার পরিবর্তনে বিভিন্ন উপাদান তৈরি করা হয়। যেমন এলপিজি বা লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস। ক্রুড অয়েল কে রিফাইন করে একদম প্রাথমিক স্টেজে প্রোপেন ও বিউটেন ন্যাচারাল গ্যাস পাওয়া যায়। প্রোপেন গ্যাস কে অত্যাধিক চাপে বিউটেন গ্যাসের সাথে কমপ্রেস করে এলপিজি পাওয়া যায় যা আমাদের ঘরে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পেট্রোল, ডিজেল ও এটিএফ পাওয়া যায়। এটিএফ মানে অ্যাভিয়েশন টারবাইন ফুয়েল। প্রোপেন গ্যাসকে বিভিন্ন ভাবে সংশোধন করে পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিন পাওয়া যায়। এদের মধ্যে সবচেয়ে শুদ্ধ হচ্ছে পেট্রোল, এই জন্য পেট্রোল সবচেয়ে দামি। কেরোসিনকেই সংশোধন করে এটিএফ তৈরি করা হয়। এই এটিএফই বিমানের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

এটিএফে বিশেষ কেমিক্যাল মেশানো হয় যাতে বিমান যখন ৫০০০০ ফুট উচ্চতায় ওঠে তখন কম তাপমাত্রায় যেনো এটা জমে না যায়। এটা লক্ষ্য রাখা হয় যাতে এটিএফে এক ফোটাও জল না মেশানো হয়। পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিনের সংশোধনের পর যেটা পড়ে থাকে সেটাকে ন্যাপথা বলা হয়। বাজারে যে পকেট লাইটার পাওয়া যায় তাতে ন্যাপথাই ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া অনেক ইন্ডাস্ট্রি তে এবং পোকামাকড় তাড়াতেও ন্যাপথা ব্যবহার করা হয়। কাঁচা তেল থেকে নেপাম নামেও একটি উপাদান পাওয়া যায় যা একটি বিস্ফোরকের মত কাজও করে। কাঁচাতেল থেকে মটোর অয়েল ও গ্রিজও পাওয়া যায়। মটোর অয়েল গাড়ির ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয় যা ইঞ্জিন কে ঠান্ডা রাখে এবং ঘর্ষের হাত থেকে বাঁচায়। গাড়িতে মটোর অয়েল না দিলে গাড়ির ইঞ্জিন অতিরিক্ত ঘর্ষনের ফলে নষ্ট হয়ে যায়, সাথে সাথে অতিরিক্ত গরমের কারনে ইন্জিনে আগুন লেগে যাবার সম্ভবনা থেকে যায়। গ্রিজ দেখতে অনেকটা ঘিয়ের মত, এটাও ঘর্ষন রোধ করতে ব্যবহার করা হয় সাথে সাথে যে সব জায়গায় মটোর অয়েল দেওয়া সম্ভব হয় না সেখানেও ব্যবহার করা যায় যেমন দরজার লকে, মেশিনের বেয়ারিং এ। গ্রিজ তৈরি করবার পর অবশিষ্ট কাঁচা তেল থেকে তৈরি করা হয় পেট্রোলিয়াম জেলি। দৈন্যন্দিন জীবনে ব্যবহৃত ভেসলিন এই পেট্রোলিয়াম জেলিই। কসমেটিকসেও এটি ব্যবহৃত হয়। মোম ও পাওয়া যায় কাঁচা তেল থেকে। রাস্তা তৈরিতে ব্যবহৃত যে কালো পিচের মত অংশ ব্যবহার করা হয় তাকে কোলতার বলা হয়। এটিও তৈরি হয় ক্রুড অয়েল থেকে। প্লাস্টিক ও তৈরি হয় কাঁচাতেল থেকে। অবশ্য বনস্পতি তেল থেকেও প্লাস্টিক তৈরি করা সম্ভব কিন্তু এই প্লাস্টিকের দাম কাঁচা তেল থেকে তৈরি প্লাস্টিকের থেকে অনেক বেশী হয়। সুতরাং এটা বুঝতেই পারছেন কাঁচা তেল থেকে শুধু পেট্রোল ডিজেলই পাওয়া যায় না বরং আরও ১২-১৩ রকমের জিনিস পাওয়া যায়। সুতরাং ক্রুড অয়েলের দাম বাড়লে এই সমস্ত দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায়। 

রাশিয়ার উপর বর্তমানে আমেরিকা ক্রড অয়েল আমদানীতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর ভয়ানক প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে। ২০২০ এর ডাটা অনুযায়ী রাশিয়া প্রতিদিন প্রায় ১১ মিলিয়ন ব্যারেল ক্রুড অয়েল তৈরি করে। রাশিয়া আমেরিকা ও সৌদি আরবের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ক্রুড অয়েল প্রোডিউসার। রাশিয়া সৌদি আরবের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রুড অয়েল রপ্তানিকারক। রাশিয়ার তেলের প্রায় ৬০ শতাংশ যায় ইউরোপে এবং ২০ শতাংশ যায় চীনে।

আমেরিকা চাইছে এই মহূর্তে রাশিয়াকে বিশ্বে একঘরে করে ফেলতে যাতে রাশিয়ার লোকই ভ্লাদিমির পুতিন কে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। আর এর জন্য সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে রাশিয়ার অর্থনীতির মূলভিত্তি ক্রুড অয়েল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর নিষেধাজ্ঞা। দেখুন এখানে সমস্যা কী হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বড় তেল উৎপাদন দেশ ভেনেজুয়েলা ও ইরানকে আমেরিকা ইতিপূর্বেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবার যদি রাশিয়াকেও দেয় তাহলে বিশ্ব তেল বাজারে ব্যাপক তেলের দাম বাড়বে। হয়ত ভবিষ্যতে ক্রুড অয়েল প্রতি ব্যারেল প্রতি ১৬০ ডলার ও হতে পারে। এতে সবচেয়ে বেশী লাভবান হবে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মত গল্ফ দেশ গুলি কিন্তু ভারত, চীন ও আফ্রিকার দেশ গুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারন ভারত তাদের বাজেটে তেলের অতিরিক্ত দাম বাড়ার বিষয়ে কোন ঘোষণা করে নি কারন এটা কোনওদিন কেউ ভাবেই নি এত দাম বাড়বে তেলের। ইতিমধ্যে তেলের দাম বাড়ার কারনে ভারতীয় কারেন্সি রুপির আমেরিকার ডলারের বীপরীতে একটু পতন হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে হয়ত ১ ইউএস ডলার= ৭৮ রুপি হতে পারে। আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প একটা ভাল নীতি নিয়েছিলেন যে তিনি আমেরিকা তে ক্রুড অয়েল তৈরি শুরু করেছিলেন যার জন্য তেলের দাম কমেছিল কিন্তু বর্তমান আমেরিকান রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সেই নীতি থেকে সরে এসে ক্রুড অয়েল উৎপাদন আমেরিকা তে বন্ধ করে দিয়েছেন কারন এতে নাকী পরিবেশের ক্ষতি হয়। 

আমেরিকা নিজে তেল উৎপাদন করছে না পাশাপাশি ইরান, ভেনেজুয়েলা ও রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার কারনে বিশ্ব বাজারে তেলের আগুন দাম কমাতে আমেরিকা একটা নীতি নিয়েছে। সম্ভবত আমেরিকা ইরান ও ভেনেজুয়েলার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে। এতে হয়ত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৬০ থেকে ৭০ ডলার হতে পারে। কিন্তু ইরান ও ভেনেজুয়েলা এত সহজে রাজি নাও হতে পারে। ইতিমধ্যে ইন্টারনেটে ইরান ও ভেনেজুয়েলার মানুষ আমেরিকা কে নিয়ে ব্যাঙ্গ করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি থাকলে এই সমস্যা কোনওদিনই আসত না। ক্রুড অয়েল এই যে ১২০-১৩০ ডলার হতে চলেছে এর জন্য ভারত কে কয়েক বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত দাম দিতে হবে। ২০২০-২১ অর্থ বর্ষে ভারত ১৯৬.৫ মিলিয়ন টন ক্রুড অয়েল আমদানি করেছিল যাতে ৬২.২ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল ভারতের। এই বছর প্রায় ১৭৫.৯ মিলিয়ন টন ক্রুড অয়েল লাগবে, যদি দাম বাড়তে থাকে এভাবে হয়ত আমাদের ৯২ বিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করতে হবে!!!! যা অনেকটাই বেশী, এই হিসাবে ২০২৩ এ শুধু তেলের জন্য ভারতের খরচ হবে ১০০ বিলিয়ন ডলার। এর প্রভাবে ভারতের রুপি হয়ত ১ ডলার পিছু ৮০ ও হয়ে যেতে পারে, যা আমাদের জিডিপিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কারন ভারতের পরিকল্পনা অনুযায়ী ডলারের বিপরীতে রুপির মান হয়ত ৭০-৭৫ থাকবে ২০২৩ এ। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই গত কয়েকদিন আগে রাশিয়া ভারতকে ২৫-২৭ শতাংশ ব্যাপক ডিসকাউন্টে ক্রুড অয়েল অফার করে। এবার এখানে একটা কথা আছে অনেকে হয়ত বলবেন রাশিয়া ভারতের বিরাট বড় বন্ধু বলে হয়ত এত ছাড় দিচ্ছে, তাহলে বলি এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। কারন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কেউ কারও বন্ধু হয় না সবাই নিজের স্বার্থ আগে দেখে। রাশিয়া এত ছাড় দিয়েছে ভারত কে যার জন্য তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারের নীচে নেমে যাবে। রাশিয়া দেখছে কী যদি ইরান ও ভেনেজুয়েলার উপর থেকে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় তাহলে হয়ত ব্যারেল প্রতি ৭০-৮০ ডলারে ভারত তেল পেয়ে যাবে, তাই ভারত কে হাতে রাখতে গেলে এই অফার দিতে হবে তাতে অন্তত বিশ্বজুড়ে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লেও প্রতিবছর তেলের জন্য ভারত থেকে অন্তত ৮০ বিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে।

সবচেয়ে বড় খবর তো এটা যে ভারত রাশিয়ার অফার গ্রহন করে নিয়ে তিন মিলিয়ন ব্যারেল ক্রুড অয়েল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া থেকে। বিশ্ব রাজনীতিতে খুব বড় পরিবর্তন হতে চলেছে এই ঘটনা। এরপরই আমেরিকার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন ইতিহাস ভারত কে মনে রাখবে, ভবিষ্যতে এটা বলা হবে যে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণে ভারত সমর্থন করেছিল। আরও বলা হয় আমেরিকা এই মহূর্তে ভারতকে কোন নিষেধাজ্ঞা দেবে না? দেখুন এখানে একটা জিনিস স্পষ্ট হল যে ভারতের কুটনৈতিক রাজনীতি বিশ্বে কতটা সফল। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা অবজ্ঞা করে রাশিয়া থেকে তেল কেনার অর্থ আমেরিকা কে সরাসরি বার্তা দেওয়া যে ভারত আমেরিকার হাতের পুতুল না, ভারত নিজের স্বার্থে যে কোন দেশের সাথেই ব্যবসা করতে পারে। আর আমেরিকা ভারতকে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে না কারন দক্ষিণ এশিয়ায় চীন কে আটকাতে ভারতের কোন বিকল্প নেই আমেরিকার কাছে। আর এসব ইতিহাস কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না কারন যদি সত্যি কোনওদিন ইতিহাস লেখা হয় তাহলে আমেরিকার পক্ষে সেটা সত্যিই সুখকর হবে না। 

নেলসন ম্যান্ডেলা একবার বলেছিলেন যে পৃথিবীতে আমেরিকা একমাত্র দেশ যারা মানবজাতির কথা ভাবে না, তাদের নিজেদের স্বার্থে তারা সব কিছু করতে পারে। নিজেদের স্বার্থে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পরমানু বোম্ব ফেলেছিল আমেরিকা যাতে লাখ লাখ লোক মারা গেছিল এবং এখনও ভুগছে। মধ্যে প্রাচ্যের লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া সহ এশিয়ায় আফগানিস্তান কে ধ্বংসের জন্যও আমেরিকা দায়ী। সুতরাং আমেরিকার মুখে ইতিহাস ভারতকে কি বলল এটা বলা সাজে না। ভারত রাশিয়ার থেকে তিন মিলিয়ন ব্যারেল ক্রুড অয়েল কিনছে এটা এমন কিছু বিশাল সংখ্যা না কিন্তু আমেরিকার চিন্তাটা অন্য জায়গায়। আমেরিকা ভাবছে এভাবে চলতে থাকলে ভারত হয়ত বছরে ৮০-১০০ বিলিয়ন ডলারের শুধু ক্রুড অয়েলই ক্রয় করবে রাশিয়া থেকে। তাছাড়া রাশিয়া ইতিমধ্যে জানিয়েছে তারা ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের স্বাগতম জানাচ্ছে, আমেরিকার চিন্তা এটাই যদি ভারত রাশিয়া তে বিনিয়োগ করে তাহলে রাশিয়ার অর্থনীতি অনেকটাই বুস্ট হবে যেটা আমেরিকা চায় না। তাছাড়া পুরো কার্বন মুক্ত দুনিয়া হতে হতে ২০৫০-৬০ সাল হয়ে যাবে সুতরাং প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেলের মূল্য ভবিষ্যতেও থাকবে। সেজন্য আমেরিকা চাইছে ভারত যেন তাদের কথা শুনে চলে। কিন্তু যদি অতীতে আমেরিকা ও পাকিস্তানের সম্পর্ক দেখেন দেখবেন এদের সম্পর্ক ছিল অনেকটা মালিক ও চাকরের মত। আমেরিকা যা বলত পাকিস্তান তাই করত, মূলত আফগানিস্তান কে ধ্বংস করা থেকে শুরু করে, টেরোরিস্ট তৈরি সব কিছু। পরে নিজেদের দরকার ফুরোলে পাকিস্তান কে ছেড়ে চলে যায় আমেরিকা। এবার ভারত পাকিস্তানের মত আমেরিকার কথায় চলে না কারন আমাদের নিজস্ব স্বাধীন মতাদর্শ রয়েছে, আমরা কোন পক্ষে যোগ দিইনা, নিরপেক্ষ থাকি। আর এটাই আমেরিকার মত বড় সুপার পাওয়ার দেশের ইগো তে লাগছে। তবে এই মহূর্তে হয়ত আমেরিকা ভারতকে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারছে না, ভবিষ্যতে কিন্তু এমন নাও হতে পারে। কারন পরিস্থিতি যা এগোচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে আমেরিকা সহ ইউরোপের অনেক দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি জোট গঠন করবে আর তখন ভারত কে চাপ দিতো পারে। তখন ভারত কী করে সেটাই দেখার। এটাও শোনা যাচ্ছে হয়ত ভারত চীনের কারেন্সি ইউয়ানের মাধ্যমে রাশিয়ার সাথে ব্যবসা করতে পারে। এবার অনেকের মনে হতে পারে রুপি থাকতে ইউয়ান কেনো।

দেখুন এই মহূর্তে ভারতীয় কারেন্সি রুপি ও রাশিয়ান কারেন্সি রুবেল এই দুটোই খুব আনস্টেবল কারন ইউএস ডলারের বিপরীতে এদের পতন হচ্ছে। সুতরাং দুই দেশই চাইবে একটি স্ট্রং কারেন্সির মাধ্যমে ব্যবসা করতে। সত্যি কথা বলতে কী এই মহূর্তে চাইনিজ ইউয়ান যথেষ্ট শক্তিশালী কারেন্সি। এক ইউএস ডলার = ৬.৩৫ ইউয়ান। চীনের গ্লোবাল টাইমস এই রিপোর্ট দিয়েছে। যদিও ভারত সরকার অফিসিয়ালী কীছু জানায় নি। তবে যদি ভারত সত্যি ইউয়ানের মাধ্যমে ব্যাবসা করে তাহলে জিও পলিটিক্সে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে। এমনও হতে পারে ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ভারত, রাশিয়া, চীন, ইরানের জোট তৈরি হল। ঠিক এই জিনিসটাই ভাবাচ্ছে আমেরিকাকে কারন এর ফলে সারা বিশ্বে আমেরিকার প্রভাব অনেকটাই খর্ব হবে এবং আমেরিকান ডলারের মান ও কমবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.