রাশিয়া

২০২৯ এর মধ্যে সার্ভিসে আসতে চলেছে রাশিয়ার ভয়ঙ্কর সাবমেরিন

নিউজ ডেস্কঃ সাবমেরিন। এই কথাটি বললেই সবার আগে ভারতবর্ষের মানুষের সামনে একটি নাম আসবে তা হল সোভিয়েত ইউনিয়ন। কারন আজ পর্যন্ত ভারতীয় নৌবহরে যা ব্যবহার করা হয়েছে তাঁর বেশিরভাগ টাই তাদের কাছ থেকে নেওয়া। সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবমেরিনের উপর ভর করেই এতদিন ভারত নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। ভারতকে সাহায্য করার পাশাপাশি একাধিক উচ্চমানের সাবমেরিন রয়েছে তাদের হাতে।

ইয়াসেন ক্লাস সাবমেরিন (Yasen class submarine): রাশিয়ান এই সাবমেরিনটি বিশ্বের কয়েকটি সাবমেরিনের মধ্যে পড়ে যারা সমুদ্রের গভীরে যেতে সক্ষম। এই সাবমেরিনটি  প্রয়োজনে ৬০০ মিটার পর্যন্ত ডুবতে পারে। এর গতিবেগ দেখলে অবাক হবেন। আর সেই কারনে এই সাবমেরিনকে পারফরম্যান্স এর দিক থেকে ১০ এ ১০ দেওয়া হয়।

এই সাবমেরিনটির  সর্বোচ্চ গতি ৩৫ নট। ইয়াসেন ক্লাস সাবমেরিন  প্রপেলার দিয়েই চলে তবে সদ্যই পাম্প জেটের অনুমোদন হয়েছে। এই সাবমেরিনটির সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হল যে  ১০-১৫ নটের বেশি গতিতে গেলেই এটি শব্দ করতে শুরু করে। যার ফলে এই সাবমেরিনটির গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যায়।

রাশিয়ার এই সাবমেরিনটি বিশ্বের সকল সাবমেরিনদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র  রয়েছে। ইয়াসেনের সর্বমোট অস্ত্র হল ৬৪ টি। যার মধ্যে  ৩২ টি অস্ত্র ১০ টি টর্পেডো দিয়ে ছোড়া হয় এবং এদের ক্যালিবার ৫৩৩ মিমি থেক ৬৫০ মিমি পর্যন্ত। তার উপর এতে ৮ টি সাইলো রয়েছে যা ৯০০ মিমি ক্যালিবারের LACM বা  ৫০০ মিমি এর ASHM দিয়ে ব্যবহার করা যায়।

ইয়াসেনে প্রশস্ত এপার্চার এরে ব্যবহার করে। এবং এর সাথে রয়েছে একটি টোড সোনার যা সোনার স্যুইটে তথ্য জমা করে। এছাড়াও ইয়াসেনের একটি  স্ফেরিক্যাল সোনারও রয়েছে।

ইয়াসেন আকারের দিক থেকে বড়ো হলেও এতে  ক্রু লাগে কম অর্থাৎ ৯০০০ টনের এই সাবমেরিনের জন্য মাত্র ৯০ জন ক্রু লাগে। এই ইয়াসেন ক্লাস সাবমেরিমের প্রতি ইউনিটে খরচ ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৯ পর্যন্ত এই সাবমেরিন গুলি আসতে আসতে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে সার্ভিসে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.