পৃথিবীর একমাত্র অ্যান্টি-ব্যালাস্টিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কোন দেশের কাছে রয়েছে?
নিউজ ডেস্কঃ ইসরায়েল যে কতোটা শক্তিশালী তা আর নতুন করে কিছু বলার নেই ইতিমধ্যে তা একাধিকবার প্রমান দিয়েছে তারা। গাজার বিরুদ্ধে তাদের প্রমান দিয়েছে যে তাদের ড্রোন এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কতোটা শক্তিশালী। এককথায় মধ্যপ্রাচ্যের সুপার পাওয়ার বলা যেতে পারে এই ছোট্ট দেশটিকে।
একবার ভেবে দেখুন যে ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যের সব আরব দেশ যদি ইসরায়লকে আক্রমণ করে তাহলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী প্রতিটা দেশের হাল খারাপ করবে শুধু তাই নয় পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় দুই তিন লক্ষ বর্গমাইল এলাকা নতুন করে নিজ দখলে নিয়ে নিতে পারে। এছাড়াও আরও বলে রাখা ভালো যে অনেকগুলো কারণেই বর্তমানে ইসরাইলের মিলিটারি প্রযুক্তি বিশ্ব বিখ্যাত। ইসরাইলের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি ক্ষুদ যুদ্ধাস্ত্র, বর্মাচ্ছাদিত যুদ্ধযান (ট্যাঙ্ক, ট্যাঙ্ক-কনভার্টার এপিসি, বর্মাচ্ছাদিত বুলডোজার ইত্যাদি), মানুষ ছাড়া যুদ্ধ করতে পারে এবং ননকমব্যাট ড্রোন (ইউএভি), এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং মিসাইল প্রযুক্তিকে মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশেই এমনকি ইরান কিংবা তুরস্ক কেউই প্রতিহত করতে সক্ষম নয়।
ইসরায়েল পৃথিবীর একমাত্র দেশ যাদের কাছে অপারেশনাল অ্যান্টি-ব্যালাস্টিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে। পাশাপাশি এই দেশটি আমেরিকার সাথে যৌথভাবে মধ্যম রেঞ্জের রকেট উচ্চ প্রযুক্তির লেজার সিস্টেম নিয়েও কাজ করছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে নটিলাস বা টিএইচইএল।
এখানেই শুধু থেমে নেই তারা মহাকাশে নিজস্ব প্রযুক্তির স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইসরায়েলের স্বাধীনভাবে যে কোন দেশের উপর স্বাধীনভাবে নজরদারি চালাতে পারে। ইসরায়েল ছাড়া আর এই ক্ষমতা রয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, ভারত, জাপান এবং ইউক্রেনের। তবে সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে ইসরাইল প্রতি বছর আমেরিকার কাছ থেকে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সাহায্য পায়। শুধু তাই নয় আমেরিকা থেকে বিশ্বের যে কোন দেশ অপেক্ষা একেবারে সীমিত মূল্যে এবং সহজ শর্তে অস্ত্র ক্রয় করে থাকে তারা। ইসরায়েলকে কড়া নিরাপত্তা দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং যুক্তরাজ্য বদ্ধপরিকর। তাদের অস্ত্র ভাণ্ডারে আনুমানিক ৮০-২০০টি পর্যন্ত পরমানু যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে বলে সুত্রের খবর। যদিও দেশটি এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোন ধরণের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেনি।