ভারত

নিজামকে শায়েস্তা করতে মারাঠা বীর বাজিরা কি করেছিলেন?

নিউজ ডেস্কঃ ইতিহাস যে বিকৃত করা হয়েছে তা একাধিকবার প্রমান হয়েছে। বিশেষ করে ইতিহাস বইয়ের পাঠ্য নিয়ে একাধিক সময় আলোচনা হয়েছে। বর্তমান ইতিহাসের পাঠ্য বইয়ে হিন্দু বীরেদের কাহিনী আশানুরূপ মর্যাদা পায় নি তা একাধিক বিশেষজ্ঞদের কথায় উঠে এসেছে। কিন্তু যদি ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানো যায় এত হিন্দু মহারথী দের কাহিনী পাবেন যাদের বীরত্ব সত্যি প্রশংসনীয়। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের কত জনই বা জানেন এদের কাহিনী! ভারতের কিংবদন্তী সম্রাট মহারাজ মারাঠা বীর শ্রীমন্ত পেশোয়া বাজিরাও বল্লাল ভাট এর ব্যাপারে।

সময় টা ১৭০০ সালের দিকে, ভারতবর্ষে মুঘল শাসক দের বিরুদ্ধে মারাঠা সাম্রাজ্য দাড়িয়ে আছে, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের নেতৃত্বে দিকে দিকে মারাঠা সাম্রাজ্যের বিস্তার ভীত করেছিল মুঘল দের কিন্তু ১৬৮০ সালে তার মৃত্যুর পর মুঘলরা আবার শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই কঠিন সময়ে ১৭০০ সালে মারাঠা সাম্রাজ্যের পঞ্চম পেশোয়া বালাজী বিশ্বনাথের ঘরে জন্ম হয় বাজিরাও বল্লাল ভাটের। ১৭২০ সালে তার পিতার মৃত্যুর পর তাকে মারাঠা সাম্রাজ্যের পেশোয়া নিযুক্ত করেন। বাজিরাও বল্লাল দেবের লক্ষ্য ছিল ভারতবর্ষ জুড়ে হিন্দু সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। শিবাজি মহারাজের মৃত্যুর পর তৎকালীন মুঘল সম্রাট মহম্মদ শাহ ডেকানের অনেকাংশ দখল করে নেন, তার উপর মাত্র ১৯ বছর বয়সেই পেশোয়া নিযুক্ত হওয়ার ফলে বাজিরাও বল্লাল দেব অনেক ষড়যন্ত্রের শিকার হন। এমন সব পরিস্থিতি তে পেশোয়া নিযুক্ত হয়ে তিনি মারাঠা সাম্রাজ্যের রাশ শক্ত হাতে ধরেন।

২০ বছরের পেশোয়া জীবনে তিনি ৪১ টি যুদ্ধ করেছিলেন এবং প্রতিটি যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন। একটি যুদ্ধেও তিনি হারেননি। হায়দ্রাবাদের নিজাম থেকে শুরু করে এলাহাবাদের নবাবকেও তিনি যুদ্ধে পরাস্ত করেন।

অবশেষে ১৭৪০ সালে হঠাৎ জ্বরে তিনি দেহত্যাগ করেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে তিনি ভারতবর্ষে মারাঠা সাম্রাজ্যের ভীত শক্ত করে দিয়েছিলেন। ভারতবর্ষের ইতিহাস ঘাটলে এমন বহু শক্তিশালী বীরের জীবনি দেখতে পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.